মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সম্প্রতি দেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার ফলে ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশ্নে রপ্তানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জোগান আসে রেমিট?্যান্স থেকে। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। ফরেন কারেন্সি রিজার্ভে প্রধান অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স। বিদেশে কর্মরত প্রতিটি প্রবাসী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।
রপ্তানিকারকরা বিকল্প বাজার ধরার চেষ্টা করলেও তেমন সুবিধা করতে পাচ্ছে না। এহেন পরিস্থতিতে সরকারের উচিত রপ্তানিকারকদের চাহিদানুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক শ্রমবাজারের দিকে নজর দেয়া। কারণ শ্রমবাজার সংকুচিত হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাবে আর বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার অর্থ হলো ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় হ্রাসের ফলে একদিকে রিজার্ভে যেমন চাপ পড়ে, অন্যদিকে টাকার মান কমে যায়।
অর্থনীতিবিদরা রেমিট্যান্স বাড়াতে বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রোডাক্ট ডাইভারসিফাই করে রপ্তানি আয় বাড়নোর পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি ব্যয় বিশেষ করে বিলাসী পণ্য আমদানিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি আয় হ্রাস ও ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি আমলে নেয়ার বিকল্প নেই।
মাহমুদুল হক হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২২
সম্প্রতি দেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার ফলে ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশ্নে রপ্তানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জোগান আসে রেমিট?্যান্স থেকে। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। ফরেন কারেন্সি রিজার্ভে প্রধান অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স। বিদেশে কর্মরত প্রতিটি প্রবাসী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।
রপ্তানিকারকরা বিকল্প বাজার ধরার চেষ্টা করলেও তেমন সুবিধা করতে পাচ্ছে না। এহেন পরিস্থতিতে সরকারের উচিত রপ্তানিকারকদের চাহিদানুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক শ্রমবাজারের দিকে নজর দেয়া। কারণ শ্রমবাজার সংকুচিত হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাবে আর বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার অর্থ হলো ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় হ্রাসের ফলে একদিকে রিজার্ভে যেমন চাপ পড়ে, অন্যদিকে টাকার মান কমে যায়।
অর্থনীতিবিদরা রেমিট্যান্স বাড়াতে বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের প্রোডাক্ট ডাইভারসিফাই করে রপ্তানি আয় বাড়নোর পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি ব্যয় বিশেষ করে বিলাসী পণ্য আমদানিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি আয় হ্রাস ও ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি আমলে নেয়ার বিকল্প নেই।
মাহমুদুল হক হাসান