alt

চিঠিপত্র

চিঠি : মেট্রোরেলে যুক্ত হোক পুরান ঢাকা

: শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ২০১৫ সালে প্রথম ঢাকায় আসা। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় ঢাকায় বসবাস শুরু হয়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে আছি। ঢাকায় আরও কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের বারবার ক্যাম্পাসে ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও যানজটের এই শহরে আমার ক্যাম্পাসে আসতে অনীহা।

কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর এক শেষপ্রান্ত সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত। রাজধানীর অন্য যে কোন জায়গা থেকে ক্যাম্পাসে আসতে অথবা এই এলাকায় আসতে একজন ব্যক্তিকে ঢাকা শহরের প্রায় প্রধান সবগুলো যানজটপূর্ণ স্থান অতিক্রম করে আসতে হবে। কেউ যদি মিরপুর থেকে সদরঘাটে আসার পরিকল্পনা নেন, তবে পাঁচ মিনিট পথ আধাঘন্টার বেশি অনুপাতে ধরেই তাকে বের হতে হয়। দেখা যাবে এই যাতায়াতের জন্যই দিনের পুরো সময় ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন অথবা ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় থাকছেন তাদেরও জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ যানজট। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেশের প্রধান নদী বন্দর অবস্থিত। প্রতিদিন এই সদরঘাট নদীবন্দর ব্যবহার করে রাজধানীতে আসছে দক্ষিণ অঞ্চলের বাসিন্দারা। রয়েছে ফল, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যর বৃহৎ পাইকারি বাজার ও আড়ৎ। পদ্মা সেতু থেকেও রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ হচ্ছে এই পুরান ঢাকা। এখান থেকে লাখো মানুষের প্রতিদিন যাতায়াত রাজধানীর নানান প্রান্তে।

উদ্বোধন হয়েছে রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল। যেই মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে দিনের পর সড়কে দুর্ভোগ ও কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে। এখন তার সুফল নেয়ার সময়। কিন্তু কোন সুফল পাবে না পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। তাই মেট্রোরেল প্রকল্পে যুক্ত করে নেয়া হোক পুরান ঢাকাকে। এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তি ও গতির সঙ্গে চলাচলে সুযোগ পেলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতেও আসবে গতি। বদলে দেয়ার এই পরিকল্পনা নেয়া হোক দ্রুত।

আশিকুজ্জামান আশিক

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

চিঠি : অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণ রোধে ব্যবস্থা নিন

চিঠি : প্রচারণায় অংশ নিতে সেলিব্রেটিদের সতর্কতা প্রয়োজন

চিঠি : বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র চুরি রোধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : বিশ্বের আধুনিকতম প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি

চিঠি : গেমিং আসক্তি

চিঠি : শব্দ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়

চিঠি : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে চাই সচেতনতা

চিঠি : আত্মহত্যা এক ব্যাধি

চিঠি : ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পথশিশুদের শিক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

চিঠি : বিদ্যুৎ মিটার রিচার্জ সহজ করতে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : অন্ধত্ব রোধে সচেতনতা

চিঠি : ‘আমার কী?’

চিঠি : ট্রেনে পাথর ছোড়া

চিঠি : গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার নব আলোকবর্তিকা

চিঠি : জবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সংস্কার চাই

চিঠি : এসি বিস্ফোরণ এড়াতে সচেতন হোন

চিঠি : এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা

চিঠি : মাছ-মাংসের লাগামহীন দাম

চিঠি : চবি মেডিকেলে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স চাই

চিঠি : চবিতে সমাবর্তন চাই

চিঠি : সিটি করপোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : পানি সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন

চিঠি : নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা

চিঠি : তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ

চিঠি : বাকৃবির শিক্ষাভাতা বাড়ানো হোক

চিঠি : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানুন

চিঠি : সিলেটে ভূমির খাজনা আদায়ের জটিলতা নিরসন করুন

চিঠি : শিক্ষার্থীর সুপ্ত মেধা বিকাশে উদ্যোগ নিন

চিঠি : মশার উৎপাতে দিশেহারা নগরবাসী

চিঠি : লোক প্রশাসন বিষয়ের পরিধি ও শিক্ষা ক্যাডার

চিঠি : বাংলাদেশ বেতারের অতীত-বর্তমান

চিঠি : নতুন প্রজন্ম আগ্রহ হারাচ্ছে বইয়ের প্রতি

চিঠি : বইয়ের মান ভালো রেখে দাম কমান

চিঠি : জিপিএ-৫ পাওয়া কি অপরাধ

চিঠি : সাইনবোর্ডে বাংলার ব্যবহার চাই

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : মেট্রোরেলে যুক্ত হোক পুরান ঢাকা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ২০১৫ সালে প্রথম ঢাকায় আসা। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় ঢাকায় বসবাস শুরু হয়। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে আছি। ঢাকায় আরও কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের বারবার ক্যাম্পাসে ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও যানজটের এই শহরে আমার ক্যাম্পাসে আসতে অনীহা।

কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর এক শেষপ্রান্ত সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত। রাজধানীর অন্য যে কোন জায়গা থেকে ক্যাম্পাসে আসতে অথবা এই এলাকায় আসতে একজন ব্যক্তিকে ঢাকা শহরের প্রায় প্রধান সবগুলো যানজটপূর্ণ স্থান অতিক্রম করে আসতে হবে। কেউ যদি মিরপুর থেকে সদরঘাটে আসার পরিকল্পনা নেন, তবে পাঁচ মিনিট পথ আধাঘন্টার বেশি অনুপাতে ধরেই তাকে বের হতে হয়। দেখা যাবে এই যাতায়াতের জন্যই দিনের পুরো সময় ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন অথবা ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় থাকছেন তাদেরও জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ যানজট। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেশের প্রধান নদী বন্দর অবস্থিত। প্রতিদিন এই সদরঘাট নদীবন্দর ব্যবহার করে রাজধানীতে আসছে দক্ষিণ অঞ্চলের বাসিন্দারা। রয়েছে ফল, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যর বৃহৎ পাইকারি বাজার ও আড়ৎ। পদ্মা সেতু থেকেও রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম পথ হচ্ছে এই পুরান ঢাকা। এখান থেকে লাখো মানুষের প্রতিদিন যাতায়াত রাজধানীর নানান প্রান্তে।

উদ্বোধন হয়েছে রাজধানীবাসীর স্বপ্নের মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল। যেই মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে দিনের পর সড়কে দুর্ভোগ ও কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে। এখন তার সুফল নেয়ার সময়। কিন্তু কোন সুফল পাবে না পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। তাই মেট্রোরেল প্রকল্পে যুক্ত করে নেয়া হোক পুরান ঢাকাকে। এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তি ও গতির সঙ্গে চলাচলে সুযোগ পেলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতেও আসবে গতি। বদলে দেয়ার এই পরিকল্পনা নেয়া হোক দ্রুত।

আশিকুজ্জামান আশিক

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top