alt

চিঠিপত্র

চিঠি : অবৈধ ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি ১ লাখ ৫১ হাজার। গত দুই বছরে নিবন্ধন পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এ সময়ে আরও ৪৩৬টি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর। তবে নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ফার্মেসি আছে, তার সঠিক হিসাব নেই কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম বিক্রি হয় এসব দোকানে। নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি ব্যবসায়িক মনোভাব এবং জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই অবৈধ দোকানগুলো ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অফিসিয়ালি তিন ক্যাটেগরির ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ফার্মেসিতে চার বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বিফার্ম) অথবা পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রফেশনাল (বিফার্ম প্রফেশনাল) পাশ করেন, তারা তাদের গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ফার্মেসি কাউন্সিলে জমা দিলে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন পান। আর তারাই সেবা ধর্মী এ কাজে নিয়োজিত হবেন।

ফার্মেসি ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা; কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। সারা দেশে ভেজাল ওষুধ বাণিজ্যের এই অরাজকতা পরিস্থিতির জন্য কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় ভেজালকারীরা আরও সুযোগ নিচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশের সব অবৈধ ফার্মেসিগুলোর লাগাম টেনে ধরা। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র মানুষের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যার ফলে মানুষ সুস্থতার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে। তাই দেশের সব অবৈধ ফার্মেসি উৎখাতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে- এটাই আশা করি।

মিজানুর রহমান মিজান

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : অবৈধ ফার্মেসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি ১ লাখ ৫১ হাজার। গত দুই বছরে নিবন্ধন পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এ সময়ে আরও ৪৩৬টি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর। তবে নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ফার্মেসি আছে, তার সঠিক হিসাব নেই কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম বিক্রি হয় এসব দোকানে। নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি ব্যবসায়িক মনোভাব এবং জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই অবৈধ দোকানগুলো ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অফিসিয়ালি তিন ক্যাটেগরির ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ফার্মেসিতে চার বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বিফার্ম) অথবা পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রফেশনাল (বিফার্ম প্রফেশনাল) পাশ করেন, তারা তাদের গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ফার্মেসি কাউন্সিলে জমা দিলে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন পান। আর তারাই সেবা ধর্মী এ কাজে নিয়োজিত হবেন।

ফার্মেসি ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা; কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। সারা দেশে ভেজাল ওষুধ বাণিজ্যের এই অরাজকতা পরিস্থিতির জন্য কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় ভেজালকারীরা আরও সুযোগ নিচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশের সব অবৈধ ফার্মেসিগুলোর লাগাম টেনে ধরা। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র মানুষের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যার ফলে মানুষ সুস্থতার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে। তাই দেশের সব অবৈধ ফার্মেসি উৎখাতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে- এটাই আশা করি।

মিজানুর রহমান মিজান

back to top