মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি ১ লাখ ৫১ হাজার। গত দুই বছরে নিবন্ধন পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এ সময়ে আরও ৪৩৬টি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর। তবে নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ফার্মেসি আছে, তার সঠিক হিসাব নেই কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম বিক্রি হয় এসব দোকানে। নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি ব্যবসায়িক মনোভাব এবং জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই অবৈধ দোকানগুলো ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অফিসিয়ালি তিন ক্যাটেগরির ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ফার্মেসিতে চার বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বিফার্ম) অথবা পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রফেশনাল (বিফার্ম প্রফেশনাল) পাশ করেন, তারা তাদের গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ফার্মেসি কাউন্সিলে জমা দিলে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন পান। আর তারাই সেবা ধর্মী এ কাজে নিয়োজিত হবেন।
ফার্মেসি ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা; কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। সারা দেশে ভেজাল ওষুধ বাণিজ্যের এই অরাজকতা পরিস্থিতির জন্য কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় ভেজালকারীরা আরও সুযোগ নিচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশের সব অবৈধ ফার্মেসিগুলোর লাগাম টেনে ধরা। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র মানুষের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যার ফলে মানুষ সুস্থতার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে। তাই দেশের সব অবৈধ ফার্মেসি উৎখাতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে- এটাই আশা করি।
মিজানুর রহমান মিজান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি ১ লাখ ৫১ হাজার। গত দুই বছরে নিবন্ধন পেয়েছে ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এ সময়ে আরও ৪৩৬টি মডেল ফার্মেসির অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর। তবে নিবন্ধন ছাড়া কতগুলো ফার্মেসি আছে, তার সঠিক হিসাব নেই কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে। তদারকি না থাকায় নকল, ভেজাল, মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম বিক্রি হয় এসব দোকানে। নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, ওষুধ কোম্পানিগুলোর অতি ব্যবসায়িক মনোভাব এবং জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই অবৈধ দোকানগুলো ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অফিসিয়ালি তিন ক্যাটেগরির ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ফার্মেসিতে চার বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বিফার্ম) অথবা পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি প্রফেশনাল (বিফার্ম প্রফেশনাল) পাশ করেন, তারা তাদের গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ফার্মেসি কাউন্সিলে জমা দিলে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন পান। আর তারাই সেবা ধর্মী এ কাজে নিয়োজিত হবেন।
ফার্মেসি ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা; কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ফার্মাসিস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স নিতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। সারা দেশে ভেজাল ওষুধ বাণিজ্যের এই অরাজকতা পরিস্থিতির জন্য কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কঠোর মনিটরিং ও কার্যকর শাস্তির ব্যবস্থা না থাকায় ভেজালকারীরা আরও সুযোগ নিচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দেশের সব অবৈধ ফার্মেসিগুলোর লাগাম টেনে ধরা। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র মানুষের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যার ফলে মানুষ সুস্থতার পরিবর্তে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে। তাই দেশের সব অবৈধ ফার্মেসি উৎখাতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে- এটাই আশা করি।
মিজানুর রহমান মিজান