মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাঙালির জীবন থেকে পয়লা বৈশাখ তার জৌলুস হারাচ্ছে। ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখে না দেখলাম দোকানে দোকানে হালখাতা। আর পাড়ামহল্লায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মিছিল তো দূরের কথা, এবারের বৈশাখের প্রথম দিনে এদিক-সেদিক ঘুরেও কোন দিকে মেলাটেলা চোখেও পড়ল না।
পহেলা বৈশাখে গ্রামের রাস্তায়, গাছের ছায়ায় বা বাঁশের মাচানের ওপর ছাউনি করে, মাটির জালা বা কুঁজ ভরে রাখতেন জল, সঙ্গে রসগোল্লা-বাতাসাও। জ্যাঠামশায় সেই জল বাতাসা-রসগোল্লা নিয়ে বসে থাকতেন। তৃষ্ণার্ত যারা আসতেন, মগে করে জল তুলে কুঁজ বা জালার ঠান্ডা জল গ্লাসে ভরে ধরিয়ে দিতেন বাতাসা বা রসগোল্লা সহযোগে। দু-চার মিনিট সেখানে বিশ্রাম নিয়ে পথিক হাঁটা দিতেন আবার। চোখেমুখে একটা তৃপ্তির ছাপ থাকত।
দেশের দোকানদারদের পয়লা বৈশাখে হালখাতা ও খদ্দেরদের মিষ্টিমুখ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কারণ কি বাংলাদেশির ব্যবসায় মন্দা? যদি তাই হয়, তাহলে উদ্বেগের বিষয় বই কী।
লিয়াকত হোসেন খোকন
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৮ মে ২০২৩
বাঙালির জীবন থেকে পয়লা বৈশাখ তার জৌলুস হারাচ্ছে। ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখে না দেখলাম দোকানে দোকানে হালখাতা। আর পাড়ামহল্লায় পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মিছিল তো দূরের কথা, এবারের বৈশাখের প্রথম দিনে এদিক-সেদিক ঘুরেও কোন দিকে মেলাটেলা চোখেও পড়ল না।
পহেলা বৈশাখে গ্রামের রাস্তায়, গাছের ছায়ায় বা বাঁশের মাচানের ওপর ছাউনি করে, মাটির জালা বা কুঁজ ভরে রাখতেন জল, সঙ্গে রসগোল্লা-বাতাসাও। জ্যাঠামশায় সেই জল বাতাসা-রসগোল্লা নিয়ে বসে থাকতেন। তৃষ্ণার্ত যারা আসতেন, মগে করে জল তুলে কুঁজ বা জালার ঠান্ডা জল গ্লাসে ভরে ধরিয়ে দিতেন বাতাসা বা রসগোল্লা সহযোগে। দু-চার মিনিট সেখানে বিশ্রাম নিয়ে পথিক হাঁটা দিতেন আবার। চোখেমুখে একটা তৃপ্তির ছাপ থাকত।
দেশের দোকানদারদের পয়লা বৈশাখে হালখাতা ও খদ্দেরদের মিষ্টিমুখ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কারণ কি বাংলাদেশির ব্যবসায় মন্দা? যদি তাই হয়, তাহলে উদ্বেগের বিষয় বই কী।
লিয়াকত হোসেন খোকন