মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
পত্রিকায় প্রকাশ ঈদ যাত্রা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বেশ কিছু গারমেন্টস কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেয়া হয়নি। শ্রমিক সংগঠনের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজিএমই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তিন ধাপেই ছুটি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে যেসব কারখানায় বেতন বোনাস দেয়া হয়েছে এবং শিপমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের ছুটি দেয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিল। এরপর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন বোনাসসহ দুই ধাপে ছুটি দেয়ায় কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বিদেশে পোষাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বা শিপমেন্টে কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে বেতন বোনাস আর ছুটি আটকে থাকবে কি ? তা যদি হয় তবে রাজধানী বা আশেপাশের এলাকা থেকে ঈদে লাখ লাখ শ্রমিকের বাড়ি ফেরা হবে অনিশ্চিত, বাড়বে শ্রমিক অসন্তোষ, উদ্ভব হবে অবরোধের মত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির। এ রকম আশংকা অমূলক হোক এটাই প্রত্যশা।
আমরা জানি বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বানিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয় এই পোষাক শিল্প থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। পরোক্ষভাবে এই সব সেবাখাতে প্রায় আড়াই লাখের মতো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্প সাড়ে ২২ লাখ নারী শ্রমিকের জীবনযাত্রার লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তারা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা নারী-পুরুষ সারা বছর গার্মেন্টসএ নিবেদিত হয়ে কাজ করে। বছরের পর বছর তারা যেমন কাজের সুযোগ পেয়েছে তেমনি অভুতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
তবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফেতরের খুশী ভাগাভাগি করে নেয়ার এই অভিযাত্রায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রাজধানী ছাড়বে। কর্মব্যস্ততার কারণে শহরে থাকা মানূষগুলো যেন অপেক্ষায় থাকে এই খুশির দিনটির জন্য। খুশির এই ঈদে অপেক্ষায় থাকা পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন জামা কাপড় বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাবে গ্রামে। কিন্তু বেতন বোনাস আর ছুটির অনিশ্চয়তায় তাদের কেনাকাটা, পরিবহনের টিকেট সংগ্রহ আর বাড়ি ফেরার অবর্ণনীয় কষ্টের কথা ভেবে তারা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছে।
শীপমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তো একটি বছর ব্যাপী পরিকল্পনার অংশ। তবে কেন এই ঈদযাত্রায় পোষাক শ্রমিককে প্রতি বছর উদ্বেগ সাথে নিয়ে অমানবিক ঈদযাত্রায় শামিল হতে হবে ? বানিজ্যিক পরিকল্পনার মধ্যে যেমন রপ্তানি শিপমেন্ট থাকবে তেমন উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও শ্রম ব্যবস্থাপনাও থাকতে হবে। আধুনিক ব্যবসা প্রশাসনে কোনটিই গুরুত্বহীন নয় । কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোন কোন সেক্টরে শ্রম ব্যবস্থাপনা যেন সেই মধ্যযুগীয় কায়দায় চলমান রয়েছে।
এসবের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত ভীড় এবং যাত্রীদের চাপ এড়াতে পোশাক কারখানাগুলো একদিনে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জারি করেছে সতর্কতা, আইনি পদক্ষেপ আর অব্যাহত রেখেছে অবকাঠামোগত উন্নয়নে কর্মসূচি। এসকল পদক্ষেপ শুধু এবছরই নয়, প্রতি বছর ঈদপূর্ব রুটিন দায়িত্ব হিসেবেই আমরা পরিলক্ষ করে আসছি। ইতোমধ্যে পুলিশ বিভাগ থেকে ঈদ যাত্রার সাথে সম্পর্কিত সকল যানবাহন কতৃপক্ষ, যাত্রি সাধারণ, চালক এবং সহযোগী সংস্থার দায়িত্ব পালনে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুধু ছুটি পেলেই কি ঈদে বাড়ি যাওয়া সম্ভব – তাদের কেনাকাটার জন্য চাই বেতন-বোনাস। অবশেষে যখন বেতন হবে তখন কোনভাবে কেনাকাটা করতে সমর্থ হলেও টিকেট পাওয়া যাবেনা। ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ চলাচল করে। ২০১৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক হিসেব অনুযায়ী প্রায় ষাট লাখ মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছেড়ে ছিলো। একারণে ঈদের আগে কিছু ট্রেনের বগি বাড়িয়ে, তাৎক্ষণিক ভাবে সড়ক উন্নয়নে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেক সময় তা কার্যকর হয়ে উঠেনা, বরং দুর্ভোগ বাড়ে। বহু পরিবারের ঈদের আনন্দ বিষাদেও পরিণত হয়।
পরিবহনের টিকেট না পাওয়ায় বহু যাত্রীকে সন্তান-সন্ততি আর মাথায় লাগেজ নিয়ে রৌদ্র কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে হেটে হেটে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ। অধিকাংশ শ্রমিকেরা এই দুর্দশার কথা ভেবে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে, অবরোধ করে রাজপথ, সরকার হয় বিব্রত। ফিটনেস বিহীন গাড়ি আর অদক্ষ চালকের কারণে দুরঘটনায় প্রান হারায় শত শত মানুষ, ঈদের খুশি পরিণত হয় বিষাদে। যথাসময়ে বেতন-বোনাস না পাওয়ার এই চেইন ইফেক্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হ্য় সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশ।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই পোষাক শিল্প করোনা মহামারি কাটিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। একই সাথে বিবেচনায় নিতে হবে এদেশের লক্ষ্য লক্ষ্য দক্ষ পোষাক শ্রমিকের অবদানের কথা। তাদের শ্রমে উৎপাদন না হলে শিপমেন্ট হবে না, হবে না রপ্তানী। তাই পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রার স্বার্থেই যথাসময়ে তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দূর গ্রামে অপেক্ষায় থাকা প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ করে দেয়ার কোন বিকল্প নেই ।
[লেখকঃ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ]
মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান
শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
পত্রিকায় প্রকাশ ঈদ যাত্রা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বেশ কিছু গারমেন্টস কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেয়া হয়নি। শ্রমিক সংগঠনের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজিএমই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তিন ধাপেই ছুটি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে যেসব কারখানায় বেতন বোনাস দেয়া হয়েছে এবং শিপমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে তাঁদের ছুটি দেয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিল। এরপর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন বোনাসসহ দুই ধাপে ছুটি দেয়ায় কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু বিদেশে পোষাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বা শিপমেন্টে কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে বেতন বোনাস আর ছুটি আটকে থাকবে কি ? তা যদি হয় তবে রাজধানী বা আশেপাশের এলাকা থেকে ঈদে লাখ লাখ শ্রমিকের বাড়ি ফেরা হবে অনিশ্চিত, বাড়বে শ্রমিক অসন্তোষ, উদ্ভব হবে অবরোধের মত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির। এ রকম আশংকা অমূলক হোক এটাই প্রত্যশা।
আমরা জানি বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বানিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয় এই পোষাক শিল্প থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধন করেছে। পরোক্ষভাবে এই সব সেবাখাতে প্রায় আড়াই লাখের মতো মানুষের কর্মসংস্থান হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ছাড়াও তৈরি পোশাক শিল্প সাড়ে ২২ লাখ নারী শ্রমিকের জীবনযাত্রার লক্ষণীয় পরিবর্তন সাধন করেছে এবং তারা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা নারী-পুরুষ সারা বছর গার্মেন্টসএ নিবেদিত হয়ে কাজ করে। বছরের পর বছর তারা যেমন কাজের সুযোগ পেয়েছে তেমনি অভুতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
তবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফেতরের খুশী ভাগাভাগি করে নেয়ার এই অভিযাত্রায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রাজধানী ছাড়বে। কর্মব্যস্ততার কারণে শহরে থাকা মানূষগুলো যেন অপেক্ষায় থাকে এই খুশির দিনটির জন্য। খুশির এই ঈদে অপেক্ষায় থাকা পরিবার-পরিজনদের জন্য নতুন জামা কাপড় বা প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ছুটে যাবে গ্রামে। কিন্তু বেতন বোনাস আর ছুটির অনিশ্চয়তায় তাদের কেনাকাটা, পরিবহনের টিকেট সংগ্রহ আর বাড়ি ফেরার অবর্ণনীয় কষ্টের কথা ভেবে তারা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছে।
শীপমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তো একটি বছর ব্যাপী পরিকল্পনার অংশ। তবে কেন এই ঈদযাত্রায় পোষাক শ্রমিককে প্রতি বছর উদ্বেগ সাথে নিয়ে অমানবিক ঈদযাত্রায় শামিল হতে হবে ? বানিজ্যিক পরিকল্পনার মধ্যে যেমন রপ্তানি শিপমেন্ট থাকবে তেমন উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও শ্রম ব্যবস্থাপনাও থাকতে হবে। আধুনিক ব্যবসা প্রশাসনে কোনটিই গুরুত্বহীন নয় । কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোন কোন সেক্টরে শ্রম ব্যবস্থাপনা যেন সেই মধ্যযুগীয় কায়দায় চলমান রয়েছে।
এসবের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত ভীড় এবং যাত্রীদের চাপ এড়াতে পোশাক কারখানাগুলো একদিনে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতাদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জারি করেছে সতর্কতা, আইনি পদক্ষেপ আর অব্যাহত রেখেছে অবকাঠামোগত উন্নয়নে কর্মসূচি। এসকল পদক্ষেপ শুধু এবছরই নয়, প্রতি বছর ঈদপূর্ব রুটিন দায়িত্ব হিসেবেই আমরা পরিলক্ষ করে আসছি। ইতোমধ্যে পুলিশ বিভাগ থেকে ঈদ যাত্রার সাথে সম্পর্কিত সকল যানবাহন কতৃপক্ষ, যাত্রি সাধারণ, চালক এবং সহযোগী সংস্থার দায়িত্ব পালনে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুধু ছুটি পেলেই কি ঈদে বাড়ি যাওয়া সম্ভব – তাদের কেনাকাটার জন্য চাই বেতন-বোনাস। অবশেষে যখন বেতন হবে তখন কোনভাবে কেনাকাটা করতে সমর্থ হলেও টিকেট পাওয়া যাবেনা। ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ চলাচল করে। ২০১৭ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক হিসেব অনুযায়ী প্রায় ষাট লাখ মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছেড়ে ছিলো। একারণে ঈদের আগে কিছু ট্রেনের বগি বাড়িয়ে, তাৎক্ষণিক ভাবে সড়ক উন্নয়নে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেক সময় তা কার্যকর হয়ে উঠেনা, বরং দুর্ভোগ বাড়ে। বহু পরিবারের ঈদের আনন্দ বিষাদেও পরিণত হয়।
পরিবহনের টিকেট না পাওয়ায় বহু যাত্রীকে সন্তান-সন্ততি আর মাথায় লাগেজ নিয়ে রৌদ্র কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে হেটে হেটে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ। অধিকাংশ শ্রমিকেরা এই দুর্দশার কথা ভেবে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে, অবরোধ করে রাজপথ, সরকার হয় বিব্রত। ফিটনেস বিহীন গাড়ি আর অদক্ষ চালকের কারণে দুরঘটনায় প্রান হারায় শত শত মানুষ, ঈদের খুশি পরিণত হয় বিষাদে। যথাসময়ে বেতন-বোনাস না পাওয়ার এই চেইন ইফেক্টের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হ্য় সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক পরিবেশ।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই পোষাক শিল্প করোনা মহামারি কাটিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। একই সাথে বিবেচনায় নিতে হবে এদেশের লক্ষ্য লক্ষ্য দক্ষ পোষাক শ্রমিকের অবদানের কথা। তাদের শ্রমে উৎপাদন না হলে শিপমেন্ট হবে না, হবে না রপ্তানী। তাই পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রার স্বার্থেই যথাসময়ে তাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে দূর গ্রামে অপেক্ষায় থাকা প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ করে দেয়ার কোন বিকল্প নেই ।
[লেখকঃ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ]