alt

মুক্ত আলোচনা

আবদুল গাফফার চৌধুরী: একুশের এক কিংবদন্তি

রাজিব শর্মা

: শনিবার, ২১ মে ২০২২

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।

কী এক মায়া ভরা গান! শোনার সাথে সাথে গায়ের সমস্ত লোম দাঁড়িয়ে যায়। শরীরের সমস্ত রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে থাকে। মনের মাঝে কেমন যেন অদ্ভুত একটা শিহরণ কাজ করে। বুকের চাপা আর্তনাদ চোখ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। সব ঘটনা, সব কিছুই যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে আমাদের। ১৯৫২ সালের সেই একুশে ফেব্রুয়ারি যেন চোখের সামনে দেখতে পাই আমরা। কালে কালে এই গান উজ্জীবিত করে তোলে গোটা দেশকে। ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলের সীমানা পেরিয়ে এই গানের সুরে সুরে ভাষা শহীদদের আত্মদানের ইতিহাস পৌঁছে যায় বিশ্ববাসীর কাছে।

হ্যাঁ, এটাই সেই কালজয়ী একুশের গান। যার জন্মদাতা আবদুর গাফফার চৌধুরী। ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই চারিদিক থেকে শোনা যায় এই কালজয়ী একুশের গানটি।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সারাদেশে তখন চলছে আন্দোলন। এই আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে, ঢাকা শহরে সমস্ত মিছিল, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) সকালবেলা এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে গুলিবর্ষণ করে।

গুলিতে নিহত হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে। ঢাকা মেডিকেলের বারান্দায় রাখা হয় লাশগুলো। এই সময় ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন। মেডিকেলের আউটডোরে তিনি ভাষা সংগ্রামী রফিকের মাথার খুলি উড়ে যাওয়া লাশ দেখতে পান। লাশটি দেখে তার বারবার মনে হতে থাকে, এটা যেন তার নিজের ভাইয়েরই রক্তমাখা লাশ। তখনই এই গানের প্রথম দুটো লাইন তার মাথায় আসে। এরপরের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি পুরো গানটি লিখে ফেলেন। ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রকাশিত প্রথম লিফলেটে এটা ‘একুশের গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৫৩ সালের মার্চে হাসান হাফিজুর রহমান ‘একুশে সংকলনে’ ও এটি প্রকাশ করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার এই সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।

‘একুশের গান’ কবিতাটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। তিনি তখন এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়া শুরু করেছিলেন। এই গানটি গাওয়ার অপরাধে ঢাকা কলেজ থেকে ১১ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত এই গানটি প্রথমে আবদুল লতিফ সুর করলেও পরবর্তীতে গানটিতে সুরারোপ করেন সেই সময়ের নামকরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদের সুরে প্রভাত ফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় এটি। এরপর থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই গানটি গেয়ে থাকে বাংলার মানুষ। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এর অবস্থান তৃতীয়। বর্তমানে এই গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১৫টি ভাষায় গাওয়া হয়।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমাদের সবার মুখে মুখে থাকে গানটি। কিন্তু আমরা কি জানি এই গানটির স্রষ্টার কথা। কার চেষ্টায় আমরা পেলাম ফেব্রুয়ারির এই অবিনাশী গান? কালজয়ী গানটি সৃষ্টির পেছনে আছে যে মানুষগুলোর হাত, তাঁরা এ দেশেরই সূর্যসন্তান।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার উলানিয়ার গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এই সময় পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কর্মজীবনও পরিপূর্ণভাবে শুরু করে দিয়েছিলেন।

ঢাকায় আসার পরপরই তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। খুব ছোটবেলা থেকেই তার ঝোঁক ছিল লেখালেখির উপর। সাহিত্যকর্মী হিসেবে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তরুণ বয়সে তিনি প্রচুর কবিতা লিখেছেন, যার অকাট্য দলিল হলো ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, রাজনৈতিক প্রবন্ধ, নাটক, কবিতা, ছোটদের উপন্যাসসহ সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনেই তাঁর বিচরণ রয়েছে।‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘রক্তাক্ত আগস্ট’, ‘নীল যমুনা’ সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ত্রিশটি।

তিনি অনেক রকম সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়েছেন। এগুলার মধ্যে ১৯৬৩ সালের ইউনেস্কো পুরষ্কার, ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক উল্লেখযোগ্য।

একুশের গানের স্রষ্টা চিরবিদায় নেন ১৯ মে ২০২২।

[লেখক: সংবাদকর্মী]

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

বিশ্ব শিক্ষক দিবস : শিক্ষা পুনরুদ্ধারে শিক্ষকদের চ্যালেঞ্জ

tab

মুক্ত আলোচনা

আবদুল গাফফার চৌধুরী: একুশের এক কিংবদন্তি

রাজিব শর্মা

শনিবার, ২১ মে ২০২২

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি

আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।

কী এক মায়া ভরা গান! শোনার সাথে সাথে গায়ের সমস্ত লোম দাঁড়িয়ে যায়। শরীরের সমস্ত রক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে থাকে। মনের মাঝে কেমন যেন অদ্ভুত একটা শিহরণ কাজ করে। বুকের চাপা আর্তনাদ চোখ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায়। সব ঘটনা, সব কিছুই যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে আমাদের। ১৯৫২ সালের সেই একুশে ফেব্রুয়ারি যেন চোখের সামনে দেখতে পাই আমরা। কালে কালে এই গান উজ্জীবিত করে তোলে গোটা দেশকে। ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলের সীমানা পেরিয়ে এই গানের সুরে সুরে ভাষা শহীদদের আত্মদানের ইতিহাস পৌঁছে যায় বিশ্ববাসীর কাছে।

হ্যাঁ, এটাই সেই কালজয়ী একুশের গান। যার জন্মদাতা আবদুর গাফফার চৌধুরী। ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই চারিদিক থেকে শোনা যায় এই কালজয়ী একুশের গানটি।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সারাদেশে তখন চলছে আন্দোলন। এই আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে, ঢাকা শহরে সমস্ত মিছিল, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) সকালবেলা এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে গুলিবর্ষণ করে।

গুলিতে নিহত হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ আরো অনেকে। ঢাকা মেডিকেলের বারান্দায় রাখা হয় লাশগুলো। এই সময় ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে যান আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন। মেডিকেলের আউটডোরে তিনি ভাষা সংগ্রামী রফিকের মাথার খুলি উড়ে যাওয়া লাশ দেখতে পান। লাশটি দেখে তার বারবার মনে হতে থাকে, এটা যেন তার নিজের ভাইয়েরই রক্তমাখা লাশ। তখনই এই গানের প্রথম দুটো লাইন তার মাথায় আসে। এরপরের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি পুরো গানটি লিখে ফেলেন। ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রকাশিত প্রথম লিফলেটে এটা ‘একুশের গান’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৫৩ সালের মার্চে হাসান হাফিজুর রহমান ‘একুশে সংকলনে’ ও এটি প্রকাশ করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার এই সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।

‘একুশের গান’ কবিতাটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। তিনি তখন এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়া শুরু করেছিলেন। এই গানটি গাওয়ার অপরাধে ঢাকা কলেজ থেকে ১১ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবদুল গাফফার চৌধুরী রচিত এই গানটি প্রথমে আবদুল লতিফ সুর করলেও পরবর্তীতে গানটিতে সুরারোপ করেন সেই সময়ের নামকরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদের সুরে প্রভাত ফেরিতে প্রথম গাওয়া হয় এটি। এরপর থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই গানটি গেয়ে থাকে বাংলার মানুষ। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এর অবস্থান তৃতীয়। বর্তমানে এই গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১৫টি ভাষায় গাওয়া হয়।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই আমাদের সবার মুখে মুখে থাকে গানটি। কিন্তু আমরা কি জানি এই গানটির স্রষ্টার কথা। কার চেষ্টায় আমরা পেলাম ফেব্রুয়ারির এই অবিনাশী গান? কালজয়ী গানটি সৃষ্টির পেছনে আছে যে মানুষগুলোর হাত, তাঁরা এ দেশেরই সূর্যসন্তান।

১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলার উলানিয়ার গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এই সময় পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি কর্মজীবনও পরিপূর্ণভাবে শুরু করে দিয়েছিলেন।

ঢাকায় আসার পরপরই তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। খুব ছোটবেলা থেকেই তার ঝোঁক ছিল লেখালেখির উপর। সাহিত্যকর্মী হিসেবে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তরুণ বয়সে তিনি প্রচুর কবিতা লিখেছেন, যার অকাট্য দলিল হলো ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’। গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, রাজনৈতিক প্রবন্ধ, নাটক, কবিতা, ছোটদের উপন্যাসসহ সাহিত্যের প্রায় সব অঙ্গনেই তাঁর বিচরণ রয়েছে।‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘রক্তাক্ত আগস্ট’, ‘নীল যমুনা’ সহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ত্রিশটি।

তিনি অনেক রকম সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়েছেন। এগুলার মধ্যে ১৯৬৩ সালের ইউনেস্কো পুরষ্কার, ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক উল্লেখযোগ্য।

একুশের গানের স্রষ্টা চিরবিদায় নেন ১৯ মে ২০২২।

[লেখক: সংবাদকর্মী]

back to top