alt

উপ-সম্পাদকীয়

সংস্কারের ভবিষ্যত কী?

মাজহার মান্নান

: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

একটি বৃহৎ আন্দোলন করে সরকার ফেলে দেয়া যতটা সহজ, রাজনৈতিক হিসাব মেলানো ততোটা সহজ নয়। রাজনৈতিক মাঠের হিসাব যে বড়ই জটিল। পুঁজিবাদী বিশ্বে রাজনৈতিক দর্শন বড় স্বার্থকেন্দ্রিক। ১৬ বছরের একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর দেশের নানা পর্যায়ের প্রশাসনিক অবকাঠামো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে এমন একটি সময় সরকার গঠিত হয়েছে যখন দেশের অবস্থা নাজুক ছিল। রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার এসেই তিন মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে দিবে সে অবস্থা ছিল না। জনগণের বড় দাবি হলো রাষ্ট্রের মধ্যে একটি মানসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করে নির্বাচনে যাওয়া।

সরকার গঠনের পর সংস্কার শুরু হলো। ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠিত হলো। কমিশনগুলো তাদের সংস্কার প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে। সেগুলোর বিশ্লেষণ চলছে। সরস্কার ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই দশ মাসেও সংস্কারের দৃশ্যত কোন ফল আমাদের চোখে পড়েনি। সংস্কারগুলোও যেন একটি লেজেগবরে অবস্থার মধ্যে পড়েছে। প্রশাসন চালাতে ইউনূস সরকার যেন গলদঘর্ম হয়ে পড়েছে। এত চাপ সামাল দিতে পারছেন না। পারবেন বা কি করে? আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে বড্ড স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি করে। ক্ষমতায় যাওয়াই যেন তাদের লক্ষ্য। রাজনৈতিক কর্মীরা দল ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তাদের সুপ্ত স্বার্থ হাসিল হচ্ছে না। তাই তারা মরিয়া। দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দলবাজি, কারসাজি এগুলো যেন রাজনৈতিক কর্মীদের নেশায় পরিণত হয়েছে। তবে সব রাজনৈতিক কর্মী এমন নয়। নিবেদিত বহু কর্মী আছে যারা দেশ প্রেমের ধারক ও বাহক।

সংস্কার নিয়ে কিছুদিন জোরালো অবস্থান থাকলেও এখন সেটা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা গেছে। প্রশাসনে কেন এত অস্থিরতা? কার স্বার্থে এমন অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে? ক্ষুদ্র স্বার্থের কাছে কি বৃহৎ স্বার্থ পরাজিত হবে? প্রফেসর ইউনূসকে কেন স্বস্তিতে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না? প্রতিদিন আন্দোলন হচ্ছে। শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, যমুনার আশপাশ আন্দোলনকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জনদুর্ভোগের যেন শেষ নেই। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় একটি সুন্দর একটি সংস্কার উপহার দিবে এমন চিন্তা সাধারন মানুষ করে না। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোন সংস্কার জনগণের পক্ষে যাবে না। সেটা দলীয় স্বার্থকে রক্ষা করবে মাত্র। ফ্যাসিজম থেকে মুক্ত হবার সুযোগ থাকবে না।

রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ভয়াবহ রূপধারণ করছে দেশে। রাজনীতির সুবিধা নিয়ে কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, দখল বাণিজ্য সবই মসৃণভাবে করা যায়। আম জনতাকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার লোকের অভাব হয় না। ইউনূস সরকার দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে; কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে তাদের স্বার্থের জালে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। আমাদের রাজনৈতিক দর্শন কি পরিবর্তন হবে না কখনই?

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রাজনৈতিক বাহাস চলছে। প্রচারটা এমন হচ্ছে যে ইউনূস বন্দর বিদেশিদের দিয়ে দিচ্ছেন। আর আমরা আবেগী জাতি সেটাই বিশ্বাস করি। যে যেভাবে বুঝায় সেটাই বুঝতে থাকি। কোন স্টাডি আমরা করি না। রাজনৈতিক দলগুলো খুব ভালো করে জানে যে কিছু টাকাপয়সা ব্যয় করে জনগণকে মাঠে নামাতে পারলেই স্বীয় ফায়দা কায়েম করা যায়। আমাদের মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি প্রকল্পেতো বিদেশিরা যুক্ত আছে। সেটা নিয়েতো মাঠ গরম হতে দেখি না। আমাদের প্রতিবেশী দেশের কয়েকটি বন্দরও তো বিদেশি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। শ্রীলংকা, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত হয়। দেখার বিষয় হলো সরকার কি কি শর্তে সেটা করছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে সমস্যা কি? হ্যাঁ সমস্যাতো একটাই। আর সেটা হলো লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন যেখানে সেখানো তো ভাগ বসানোর ইচ্ছা কারও থাকতেই পারে।

কিন্তু কজন বুঝে এই খেলা। যে সাধারন জনগণ ভোট দেয় তাদের কজন বুঝে অর্থনৈতিক শোষণ ও লুটপাট বিষয়ে। আর বুঝে না বলেই তাদের ভোটটা ক্ষমতায় যাবার জন্য খুব দরকার। প্রায়ই শুনি এটা এই সরকারের কাজ না, ওটা এই সরকারের কাজ না। সব করবে নির্বাচিত সরকার। মনে হচ্ছে নির্বাচিত সরকার জাদু-টুনা দিয়ে রাতারাতি সব করে ফেলবে। নির্বাচিত সরকার কেমন হয় দেশে তা কি জনগণ দেখে নি? গত ৫৩ বছরে অনেকগুলো নির্বাচিত সরকার জনগণ দেখেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা কি বলে? প্রফেসর ইউনূসের মতো বিশ্ব বরেণ্যকে যদি কাজে লাগাতে না পারি তবে বুঝতে হবে আমরা দুর্ভাগা।

একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাসীন করলেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে? পাগলেও তা বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করে না বলেইতো সংস্কারের প্রশ্ন এত জোরালো। প্রতিটি নির্বাচিত সরকার নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান সংশোধন করেছে। সংশোধন ঠিক সেই জায়গাগুলোতে হয়েছে যেগুলোর দ্বারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। নির্বাচিত সরকারগুলো কি পারতো না একটি সুন্দর নির্বাচন কাঠামো গড়ে তুলতে। অবশ্যই পারতো। কিন্তু তারা সেপথে হাঁটে নি। বিগত সরকার কি ধরনের নির্বাচন করেছে তা সবাই জানে। জনগণ তার পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে চায়; কিন্তু তারা তাদের ভোটের মূল্যায়ন ও প্রতিফলন দেখতে চায়; কিন্তু বিদ্যমান সংবিধান রেখে সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন দিলে যেই লাউ সেই কদু হবে। তাই আগে দরকার সংস্কার।

প্রশ্ন হলো দশ মাসেও সংস্কারগুলো কেন আলোর মুখ দেখলো না? এর জন্য কি সরকার একমাত্র দায়ী? নাকি অন্য খেলা আছে? খুব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে বড় দল ভেটো দিয়েছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কয় মেয়াদে থাকতে পারবেন সেটা নিয়ে বড় রাজনৈতিক দল ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়েও বেশ কিছু ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নেও দ্বিমত আছে। সংবিধান সংশোধনে গণভোট লাগবে এমন প্রস্তাবেও দ্বিমত দৃশ্যমান। বড় দলের একজন বড় নেতা দুঃখ করে বলেই ফেলেছেন যে যেসব সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো মেনে নিলে আর রাজনীতি করার কিছু থাকে না রাজনীতিবিদদের হাতে। এই যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে তা কতজনে বুঝে? শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও অনেকে এটা বুঝে না। আর সাধারন জনতা এটা গভীরে বুঝে না বলেই রাজনীতিবিদরা ধূম্রজাল সৃষ্টির সুযোগ পেয়ে থাকে।

এ সরস্কারের বিষয় নিয়েতো আন্দোলন হতে দেখলাম না! সংস্কারও নিয়েও অনেক অপতথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গুজবের মহাউৎসব চলছে। রাজনৈতিক ভুলের মাসুল খুব ভয়াবহ হয়। জনতা কি সেই মাসুল বারবার দিবে? মোড়ল দেশগুলো আমাদের নিয়ে কি ভাবছে সেটাও আমলে নিতে হবে। দেশ-বিদেশের নানা কূটচালে যদি সরকার আটকা পড়ে তবে অভ্যত্থানের উদ্দেশ্যটাই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। যারা প্রাণ দিলো তাদের প্রতি কি রাষ্ট্রের কোন দায় নেই? দেশের প্রশাসনিক সংস্কার করতে গিয়ে সরকারকে গলদঘর্ম হতে হবে এটা সবাই বুঝে। আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া মোটেও সহজ কোন বিষয় নয়।

প্রফেসর ইউনূসকে ছাত্র জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু কেন এখন তাকে পদে পদে নাজেহাল হতে হচ্ছে? কি করেছেন তিনি? নির্বাচন নিয়ে কেন ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার প্রধানতো বারবার বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন। তাহলে নির্বাচন নিয়ে কেন এত খিস্তিখেওর? কেন বড় রাজনৈতিক দল সরকার প্রধানের কথায় আস্থা রাখতে পারছে না? একটু দেরিতে নির্বাচন হলে তাদের জনপ্রিয়তা কমে যাবে এই ভয়ে! নাকি অন্য কিছু। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বড়ই অদ্ভূত আর বিচিত্র। যারা পছন্দ করে উপদেষ্টা বানালো তারাই এখন তাদের পদত্যাগ দাবি করছে। তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে বিএনপি আর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে এনসিপি। বাহ! এই না হলো রাজনীতি। পক্ষে থাকলে সঙ্গী আর বিপক্ষে গেলে জঙ্গি।

ছাত্রদের একটি নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সেটা হতেতো কোন বাধা নেই। তারা যদি জনগণের ভোটে সংসদে আসতে পারে তবে আসবে। কিন্তু জটিল রাজনৈতিক সমীকরণে সরকার বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারকে বিরোধী দলের ভূমিকাও নিতে হচ্ছে। এই সরকারের নিজস্ব কোন দল নেই। ১৫ বছেের সাজানো প্রশাসনকে নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার যে হাতিয়ার দিয়ে কাজ সারবে সেই হাতিয়ারতো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে নেই। তাহলে সহজেই বুঝা যায় কত ধরনের চাপ সামলে সরকারকে সামনে চলতে হচ্ছে। গত ৫৩ বছরে যত আন্দোলন হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুন আন্দোলন হয়েছে গত দশ মাসে। অনেেেকর দাবিতো সরকার পূরণও করেছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দ্বিগুণ করেছে সরকার। সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘভাতা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে সরকার। বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবুও ইউনূস সরকারকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার গতানুগতিক ধারা এখন সচল। বড় দলের বড় নেতা প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে থিউরি অব ইউরিন (প্রস্রাবতত্ত্ব) আবিস্কার করলেন এবং বঙ্গোপসাগরের সাথে সেই তত্ত্বকে সংযুক্ত করে দিলেন। শব্দ চয়নের এত দীনতা? ইশরাক ইস্যুতে কেন এত জল ঘোলা হলো? ইশরাক সাহেব এমনিতেই জনপ্রিয়। তবুও জল ঘোলা হলো। নিয়ম অনুযায়ী শপথ নিলে মেয়াদ পাবে ১৫ দিনের মতো। পুরো রাজনৈতিক সিস্টেমকে গলাচিপে ধরেছিল বিগত সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে সবাই। সবাই এখন মুক্ত। প্রফেসর ইউনূস বেগম খালেদা জিয়াকে যে সম্মান দিয়েছেন তা অন্য কেউ দেয়নি। যারা এক সময় ঘরে থাকতে পারতো না, শত শত মামলার চাপে পিষ্ট ছিল, তারা আজ মুক্ত। ইতিহাস ভুলে গেলে চরম মূল্য দিতে হবে। তারেক রহমান বলেছিলেন এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না; কিন্তু তারেক অনুসারীরা কি তাদের নেতার কথায় আস্থা রাখতে বদ্ধপরিকর? প্রফেসর ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন তবে টালমাটাল হয়ে পড়বে রাজনীতিসহ সব কিছু। প্রফেসর ইউনূসকে সংস্কার করতে দিন। এর সুফল পাবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

চিকিৎসা যেন বাণিজ্যের হাতিয়ারে পরিণত না হয়

পথশিশু ও বাংলাদেশে সামাজিক চুক্তির ব্যর্থতা

মেগা প্রকল্প : প্রশ্ন হওয়া উচিত স্বচ্ছতা নিয়ে

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি

স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : উপগ্রহ চিত্র ও ওয়েবসাইটের অপরিহার্যতা

ক্ষমতা ও জনপ্রশাসন : আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা

জনসংখ্যা : সম্পদ না সংকট?

ব্রিকসে নতুন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থার উত্থান

রম্যগদ্য : ‘ল্যাংড়া-লুলা, আতুড়-পাতুড়’

আষাঢ়ী পূর্ণিমা : আত্মশুদ্ধির সাধনায় বুদ্ধের অনন্ত আলো

বদলে যাওয়া মাটিতে সাহসী বীজ : জলবায়ুর বিপরীতে বাংলাদেশের কৃষির অভিযোজনগাথা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থান-গাথা : ‘শিকলে নাহি দিব ধরা’

প্রাচীন যৌধেয় জাতি ও তাদের সাম্যবাদী শাসন

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন

টেকসই উন্নয়নের স্বপ্নপূরণে উপগ্রহ চিত্রই চাবিকাঠি

রাবার শিল্প : সংকট, করণীয় ও উত্তরণের দিশা

রম্যগদ্য : দুধ, দই, কলা...

ছবি

কোপার্নিকাস : আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

জলবায়ু সংকটে মানবসভ্যতা

টেকসই অর্থনীতির জন্য চাই টেকসই ব্যাংকিং

ডিজিটাল দাসত্ব : মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : আস্থা ভঙ্গ ও জবাবদিহিতার সংকট

আসামি এখন নির্বাচন কমিশন

কোথায় হারাল একান্নবর্তী পরিবার?

এই শান্তি কি মহাঝড়ের পূর্বলক্ষণ?

মেগাসিটি : দারিদ্র্য যখন ‘অবাঞ্ছিত বর্জ্য’

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

ছবি

তৃতীয় শক্তির জন্য জায়গা খালি : বামপন্থীরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারে না

জমি আপনার, দখল অন্যের?

সিধু-কানু : ধ্বংসস্তূপের নিচেও জেগে আছে সাহস

ছবি

বাংলার অনন্য লোকসংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক চেতনা

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান

তিন দিক থেকে স্বাস্থ্যঝুঁকি : করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

দেশের অর্থ পাচারের বাস্তবতা

খাদ্য নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত

আবারও কি রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবে বিশ্ব?

tab

উপ-সম্পাদকীয়

সংস্কারের ভবিষ্যত কী?

মাজহার মান্নান

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

একটি বৃহৎ আন্দোলন করে সরকার ফেলে দেয়া যতটা সহজ, রাজনৈতিক হিসাব মেলানো ততোটা সহজ নয়। রাজনৈতিক মাঠের হিসাব যে বড়ই জটিল। পুঁজিবাদী বিশ্বে রাজনৈতিক দর্শন বড় স্বার্থকেন্দ্রিক। ১৬ বছরের একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর দেশের নানা পর্যায়ের প্রশাসনিক অবকাঠামো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে এমন একটি সময় সরকার গঠিত হয়েছে যখন দেশের অবস্থা নাজুক ছিল। রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার এসেই তিন মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে দিবে সে অবস্থা ছিল না। জনগণের বড় দাবি হলো রাষ্ট্রের মধ্যে একটি মানসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করে নির্বাচনে যাওয়া।

সরকার গঠনের পর সংস্কার শুরু হলো। ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠিত হলো। কমিশনগুলো তাদের সংস্কার প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে। সেগুলোর বিশ্লেষণ চলছে। সরস্কার ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই দশ মাসেও সংস্কারের দৃশ্যত কোন ফল আমাদের চোখে পড়েনি। সংস্কারগুলোও যেন একটি লেজেগবরে অবস্থার মধ্যে পড়েছে। প্রশাসন চালাতে ইউনূস সরকার যেন গলদঘর্ম হয়ে পড়েছে। এত চাপ সামাল দিতে পারছেন না। পারবেন বা কি করে? আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে বড্ড স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি করে। ক্ষমতায় যাওয়াই যেন তাদের লক্ষ্য। রাজনৈতিক কর্মীরা দল ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তাদের সুপ্ত স্বার্থ হাসিল হচ্ছে না। তাই তারা মরিয়া। দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দলবাজি, কারসাজি এগুলো যেন রাজনৈতিক কর্মীদের নেশায় পরিণত হয়েছে। তবে সব রাজনৈতিক কর্মী এমন নয়। নিবেদিত বহু কর্মী আছে যারা দেশ প্রেমের ধারক ও বাহক।

সংস্কার নিয়ে কিছুদিন জোরালো অবস্থান থাকলেও এখন সেটা অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন শোনা গেছে। প্রশাসনে কেন এত অস্থিরতা? কার স্বার্থে এমন অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে? ক্ষুদ্র স্বার্থের কাছে কি বৃহৎ স্বার্থ পরাজিত হবে? প্রফেসর ইউনূসকে কেন স্বস্তিতে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না? প্রতিদিন আন্দোলন হচ্ছে। শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, যমুনার আশপাশ আন্দোলনকারীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। জনদুর্ভোগের যেন শেষ নেই। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় একটি সুন্দর একটি সংস্কার উপহার দিবে এমন চিন্তা সাধারন মানুষ করে না। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোন সংস্কার জনগণের পক্ষে যাবে না। সেটা দলীয় স্বার্থকে রক্ষা করবে মাত্র। ফ্যাসিজম থেকে মুক্ত হবার সুযোগ থাকবে না।

রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ভয়াবহ রূপধারণ করছে দেশে। রাজনীতির সুবিধা নিয়ে কমিশন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, দখল বাণিজ্য সবই মসৃণভাবে করা যায়। আম জনতাকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার লোকের অভাব হয় না। ইউনূস সরকার দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে; কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে তাদের স্বার্থের জালে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। আমাদের রাজনৈতিক দর্শন কি পরিবর্তন হবে না কখনই?

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রাজনৈতিক বাহাস চলছে। প্রচারটা এমন হচ্ছে যে ইউনূস বন্দর বিদেশিদের দিয়ে দিচ্ছেন। আর আমরা আবেগী জাতি সেটাই বিশ্বাস করি। যে যেভাবে বুঝায় সেটাই বুঝতে থাকি। কোন স্টাডি আমরা করি না। রাজনৈতিক দলগুলো খুব ভালো করে জানে যে কিছু টাকাপয়সা ব্যয় করে জনগণকে মাঠে নামাতে পারলেই স্বীয় ফায়দা কায়েম করা যায়। আমাদের মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি প্রকল্পেতো বিদেশিরা যুক্ত আছে। সেটা নিয়েতো মাঠ গরম হতে দেখি না। আমাদের প্রতিবেশী দেশের কয়েকটি বন্দরও তো বিদেশি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। শ্রীলংকা, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত হয়। দেখার বিষয় হলো সরকার কি কি শর্তে সেটা করছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে সমস্যা কি? হ্যাঁ সমস্যাতো একটাই। আর সেটা হলো লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন যেখানে সেখানো তো ভাগ বসানোর ইচ্ছা কারও থাকতেই পারে।

কিন্তু কজন বুঝে এই খেলা। যে সাধারন জনগণ ভোট দেয় তাদের কজন বুঝে অর্থনৈতিক শোষণ ও লুটপাট বিষয়ে। আর বুঝে না বলেই তাদের ভোটটা ক্ষমতায় যাবার জন্য খুব দরকার। প্রায়ই শুনি এটা এই সরকারের কাজ না, ওটা এই সরকারের কাজ না। সব করবে নির্বাচিত সরকার। মনে হচ্ছে নির্বাচিত সরকার জাদু-টুনা দিয়ে রাতারাতি সব করে ফেলবে। নির্বাচিত সরকার কেমন হয় দেশে তা কি জনগণ দেখে নি? গত ৫৩ বছরে অনেকগুলো নির্বাচিত সরকার জনগণ দেখেছে। কিন্তু অভিজ্ঞতা কি বলে? প্রফেসর ইউনূসের মতো বিশ্ব বরেণ্যকে যদি কাজে লাগাতে না পারি তবে বুঝতে হবে আমরা দুর্ভাগা।

একটি নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাসীন করলেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে? পাগলেও তা বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করে না বলেইতো সংস্কারের প্রশ্ন এত জোরালো। প্রতিটি নির্বাচিত সরকার নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান সংশোধন করেছে। সংশোধন ঠিক সেই জায়গাগুলোতে হয়েছে যেগুলোর দ্বারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। নির্বাচিত সরকারগুলো কি পারতো না একটি সুন্দর নির্বাচন কাঠামো গড়ে তুলতে। অবশ্যই পারতো। কিন্তু তারা সেপথে হাঁটে নি। বিগত সরকার কি ধরনের নির্বাচন করেছে তা সবাই জানে। জনগণ তার পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে চায়; কিন্তু তারা তাদের ভোটের মূল্যায়ন ও প্রতিফলন দেখতে চায়; কিন্তু বিদ্যমান সংবিধান রেখে সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন দিলে যেই লাউ সেই কদু হবে। তাই আগে দরকার সংস্কার।

প্রশ্ন হলো দশ মাসেও সংস্কারগুলো কেন আলোর মুখ দেখলো না? এর জন্য কি সরকার একমাত্র দায়ী? নাকি অন্য খেলা আছে? খুব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে বড় দল ভেটো দিয়েছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কয় মেয়াদে থাকতে পারবেন সেটা নিয়ে বড় রাজনৈতিক দল ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিষয়েও বেশ কিছু ভিন্নমত দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যের প্রশ্নেও দ্বিমত আছে। সংবিধান সংশোধনে গণভোট লাগবে এমন প্রস্তাবেও দ্বিমত দৃশ্যমান। বড় দলের একজন বড় নেতা দুঃখ করে বলেই ফেলেছেন যে যেসব সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো মেনে নিলে আর রাজনীতি করার কিছু থাকে না রাজনীতিবিদদের হাতে। এই যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে তা কতজনে বুঝে? শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও অনেকে এটা বুঝে না। আর সাধারন জনতা এটা গভীরে বুঝে না বলেই রাজনীতিবিদরা ধূম্রজাল সৃষ্টির সুযোগ পেয়ে থাকে।

এ সরস্কারের বিষয় নিয়েতো আন্দোলন হতে দেখলাম না! সংস্কারও নিয়েও অনেক অপতথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। গুজবের মহাউৎসব চলছে। রাজনৈতিক ভুলের মাসুল খুব ভয়াবহ হয়। জনতা কি সেই মাসুল বারবার দিবে? মোড়ল দেশগুলো আমাদের নিয়ে কি ভাবছে সেটাও আমলে নিতে হবে। দেশ-বিদেশের নানা কূটচালে যদি সরকার আটকা পড়ে তবে অভ্যত্থানের উদ্দেশ্যটাই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। যারা প্রাণ দিলো তাদের প্রতি কি রাষ্ট্রের কোন দায় নেই? দেশের প্রশাসনিক সংস্কার করতে গিয়ে সরকারকে গলদঘর্ম হতে হবে এটা সবাই বুঝে। আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া মোটেও সহজ কোন বিষয় নয়।

প্রফেসর ইউনূসকে ছাত্র জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু কেন এখন তাকে পদে পদে নাজেহাল হতে হচ্ছে? কি করেছেন তিনি? নির্বাচন নিয়ে কেন ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার প্রধানতো বারবার বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন। তাহলে নির্বাচন নিয়ে কেন এত খিস্তিখেওর? কেন বড় রাজনৈতিক দল সরকার প্রধানের কথায় আস্থা রাখতে পারছে না? একটু দেরিতে নির্বাচন হলে তাদের জনপ্রিয়তা কমে যাবে এই ভয়ে! নাকি অন্য কিছু। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বড়ই অদ্ভূত আর বিচিত্র। যারা পছন্দ করে উপদেষ্টা বানালো তারাই এখন তাদের পদত্যাগ দাবি করছে। তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে বিএনপি আর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে এনসিপি। বাহ! এই না হলো রাজনীতি। পক্ষে থাকলে সঙ্গী আর বিপক্ষে গেলে জঙ্গি।

ছাত্রদের একটি নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সেটা হতেতো কোন বাধা নেই। তারা যদি জনগণের ভোটে সংসদে আসতে পারে তবে আসবে। কিন্তু জটিল রাজনৈতিক সমীকরণে সরকার বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারকে বিরোধী দলের ভূমিকাও নিতে হচ্ছে। এই সরকারের নিজস্ব কোন দল নেই। ১৫ বছেের সাজানো প্রশাসনকে নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার যে হাতিয়ার দিয়ে কাজ সারবে সেই হাতিয়ারতো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে নেই। তাহলে সহজেই বুঝা যায় কত ধরনের চাপ সামলে সরকারকে সামনে চলতে হচ্ছে। গত ৫৩ বছরে যত আন্দোলন হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুন আন্দোলন হয়েছে গত দশ মাসে। অনেেেকর দাবিতো সরকার পূরণও করেছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দ্বিগুণ করেছে সরকার। সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘভাতা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে সরকার। বাজারে স্বস্তি বিরাজ করছে। তবুও ইউনূস সরকারকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার গতানুগতিক ধারা এখন সচল। বড় দলের বড় নেতা প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে থিউরি অব ইউরিন (প্রস্রাবতত্ত্ব) আবিস্কার করলেন এবং বঙ্গোপসাগরের সাথে সেই তত্ত্বকে সংযুক্ত করে দিলেন। শব্দ চয়নের এত দীনতা? ইশরাক ইস্যুতে কেন এত জল ঘোলা হলো? ইশরাক সাহেব এমনিতেই জনপ্রিয়। তবুও জল ঘোলা হলো। নিয়ম অনুযায়ী শপথ নিলে মেয়াদ পাবে ১৫ দিনের মতো। পুরো রাজনৈতিক সিস্টেমকে গলাচিপে ধরেছিল বিগত সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে সবাই। সবাই এখন মুক্ত। প্রফেসর ইউনূস বেগম খালেদা জিয়াকে যে সম্মান দিয়েছেন তা অন্য কেউ দেয়নি। যারা এক সময় ঘরে থাকতে পারতো না, শত শত মামলার চাপে পিষ্ট ছিল, তারা আজ মুক্ত। ইতিহাস ভুলে গেলে চরম মূল্য দিতে হবে। তারেক রহমান বলেছিলেন এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না; কিন্তু তারেক অনুসারীরা কি তাদের নেতার কথায় আস্থা রাখতে বদ্ধপরিকর? প্রফেসর ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন তবে টালমাটাল হয়ে পড়বে রাজনীতিসহ সব কিছু। প্রফেসর ইউনূসকে সংস্কার করতে দিন। এর সুফল পাবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো।

[লেখক : প্রাবন্ধিক]

back to top