তরিকুল ইসলাম
ঈদ এলেই যেন মহসড়কে দুর্ঘটনার (রোডক্র্যাশ) সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সামনেই ঈদুল আজহা। প্রত্যেক ঈদ বা উৎসবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আমাদের কত আপনজন। যেসব পরিবারের সদস্যরা রোডক্র্যাশে আহত বা নিহত হন সেসব পরিবারের ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। গত ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঈদযাত্রায় সড়কে ২৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩০ জন নিহত এবং ৩০১ জন আহত হন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত বছরের ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার এই তথ্য প্রকাশ করে।
ঈদ উৎসবে বেশিরভাগ মানুষ পরিবার নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটলে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের প্রাণ ঝরে যেতে পারে। আজকাল অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় দেখা যায় একই পরিবারের একাধিক সদস্য কিংবা প্রায় সব সদস্য মারা যাচ্ছেন। এখন চলাচল মানেই যানবাহনে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সবাইকে পথ চলতে হয়। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনের প্রয়োগ যেমন কঠোর হওয়া দরকার তেমনি জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।
কোনোভাবেই যেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর আবার যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং বাইক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং বাইক দুর্ঘটনা। বিআরটিএর তথ্যমতে, গেল এপ্রিলে তিন হাজারের বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮০ জন নিহত ও ৫৫০ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বাংলাদেশে বছরে ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়; আহত হন ৩ লাখের বেশি। এই প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ দরকার।
সড়কে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ঈদে মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীদের অবশ্যই গতিসীমা মেনে চলা ও মানসম্মত হেলমেট পরার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার, কারণ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণেই ঘটে।
সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ এ সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ওই বিধিমালায় গাড়ির গতিসীমা, সিটবেল্ট, মানসম্মত হেলমেট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং শিশু আসন ইত্যাদি বিষয়ে পরিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দেয়া হয়নি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া থাকলেও চালকরা তার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবছর ঈদ পূর্ব যাতায়াতকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে।
বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ ও ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সড়কে মৃত্যু ও আহত কমাতে প্রয়োজন শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে হোক নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার।
দেশে এখনো অনেক মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন ও ধীরগতির যানবাহনকে একই লেনে চলতে দেখা যায়। মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবে সব লেন ধরেই চলাচল করে। এ কারণে একদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলা নষ্ট হয় অন্যদিকে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। সব যানবাহনকেই নিজ নিজ লেন ধরে চলার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু চালকরা অনেকেই সে আইন মানছেন না। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য সুযোগ বুঝে অন্য লেনে চলে যাচ্ছেন এবং ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেকিং করছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে। ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া যানবাহনকে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য দ্রতগতির ও ধীরগতির যানবাহনের আলাদা লেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন অপসারণ করতে হবে, মদ্যপ অবস্থায় যানবাহন চালালে কঠোর আইন ব্যবহার করতে হবে, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অনিয়ন্ত্রিত গতি পরিহার করতে হবে, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং তাদের দক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে, সিএনজি-অটোবাইক ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত লেনে চলছে কি-না সে বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারে। হাইওয়েতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন-ভটভটি জাতীয় যানবাহন যাতে কোনোভাবেই চলতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
এ কথা সত্য যে, চালকরা বেপরোয়া না হলে এবং তাদের আইন মেনে চলার প্রবণতা তৈরি হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য অবশ্য কঠোরভাবে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেকটি যানবাহনের চালক ও আরোহীদের সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে পথচারীদেরও সতর্কতার সঙ্গে রাস্তা পারাপার হতে হবে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের বড় অংশ পথচারী। সবার সম্মিলিত চেষ্টা, সতর্কতার সঙ্গে সড়ক ব্যবহার এবং আইন মেনে চলার সংস্কৃতিই পারবে বাংলাদেশের সড়কগুলোকে নিরাপদ করে তুলতে।
সড়ক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করতে পারলে লাখ লাখ মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে। কারও আনন্দের ঈদযাত্রা যাতে বিষাদে পরিণত না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ থাকবেন আশা করি। এ সময়ের জনপ্রত্যাশা হলো-সবার সতর্কতায় ঈদযাত্রা হোক রোডক্র্যাশমুক্ত।
আসন্ন ঈদুল আজহায় যেন সড়কে মর্মান্তিকভাবে কাউকে প্রাণ হারাতে না হয় এটাই থাকবে সবার প্রত্যাশা। আর সেজন্য সবার অর্থাৎ সবার মঙ্গলের জন্য আমাদের এই প্রাণহানি রোধে সব পক্ষকেই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। তাহলেই একটি নিরাপদ সড়ক গড়ে উঠবে এবং ঈদের যাত্রা বিষাদে পরিণত হবে না।
[ লেখক : অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন), রোড সেফটি প্রকল্প, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ]
তরিকুল ইসলাম
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
ঈদ এলেই যেন মহসড়কে দুর্ঘটনার (রোডক্র্যাশ) সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সামনেই ঈদুল আজহা। প্রত্যেক ঈদ বা উৎসবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আমাদের কত আপনজন। যেসব পরিবারের সদস্যরা রোডক্র্যাশে আহত বা নিহত হন সেসব পরিবারের ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। গত ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মানুষের ঈদযাত্রায় সড়কে ২৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩০ জন নিহত এবং ৩০১ জন আহত হন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত বছরের ঈদুল আজহার আগে ও পরে ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার এই তথ্য প্রকাশ করে।
ঈদ উৎসবে বেশিরভাগ মানুষ পরিবার নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ যাত্রায় দুর্ঘটনা ঘটলে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের প্রাণ ঝরে যেতে পারে। আজকাল অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় দেখা যায় একই পরিবারের একাধিক সদস্য কিংবা প্রায় সব সদস্য মারা যাচ্ছেন। এখন চলাচল মানেই যানবাহনে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই সবাইকে পথ চলতে হয়। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনের প্রয়োগ যেমন কঠোর হওয়া দরকার তেমনি জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।
কোনোভাবেই যেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর আবার যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং বাইক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং বাইক দুর্ঘটনা। বিআরটিএর তথ্যমতে, গেল এপ্রিলে তিন হাজারের বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮০ জন নিহত ও ৫৫০ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বাংলাদেশে বছরে ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়; আহত হন ৩ লাখের বেশি। এই প্রতিরোধযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ দরকার।
সড়কে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ঈদে মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীদের অবশ্যই গতিসীমা মেনে চলা ও মানসম্মত হেলমেট পরার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার, কারণ ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ মোটরসাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণেই ঘটে।
সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ এ সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ওই বিধিমালায় গাড়ির গতিসীমা, সিটবেল্ট, মানসম্মত হেলমেট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং শিশু আসন ইত্যাদি বিষয়ে পরিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দেয়া হয়নি। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া থাকলেও চালকরা তার কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবছর ঈদ পূর্ব যাতায়াতকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে।
বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ ও ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সড়কে মৃত্যু ও আহত কমাতে প্রয়োজন শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে হোক নিরাপদ সড়কের অঙ্গীকার।
দেশে এখনো অনেক মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন ও ধীরগতির যানবাহনকে একই লেনে চলতে দেখা যায়। মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবে সব লেন ধরেই চলাচল করে। এ কারণে একদিকে মহাসড়কের শৃঙ্খলা নষ্ট হয় অন্যদিকে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। সব যানবাহনকেই নিজ নিজ লেন ধরে চলার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু চালকরা অনেকেই সে আইন মানছেন না। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য সুযোগ বুঝে অন্য লেনে চলে যাচ্ছেন এবং ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেকিং করছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে। ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া যানবাহনকে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য দ্রতগতির ও ধীরগতির যানবাহনের আলাদা লেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন অপসারণ করতে হবে, মদ্যপ অবস্থায় যানবাহন চালালে কঠোর আইন ব্যবহার করতে হবে, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অনিয়ন্ত্রিত গতি পরিহার করতে হবে, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং তাদের দক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে, সিএনজি-অটোবাইক ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত লেনে চলছে কি-না সে বিষয়টি কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারে। হাইওয়েতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন-ভটভটি জাতীয় যানবাহন যাতে কোনোভাবেই চলতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
এ কথা সত্য যে, চালকরা বেপরোয়া না হলে এবং তাদের আইন মেনে চলার প্রবণতা তৈরি হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য অবশ্য কঠোরভাবে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেকটি যানবাহনের চালক ও আরোহীদের সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে পথচারীদেরও সতর্কতার সঙ্গে রাস্তা পারাপার হতে হবে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের বড় অংশ পথচারী। সবার সম্মিলিত চেষ্টা, সতর্কতার সঙ্গে সড়ক ব্যবহার এবং আইন মেনে চলার সংস্কৃতিই পারবে বাংলাদেশের সড়কগুলোকে নিরাপদ করে তুলতে।
সড়ক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করতে পারলে লাখ লাখ মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে। কারও আনন্দের ঈদযাত্রা যাতে বিষাদে পরিণত না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাই সজাগ থাকবেন আশা করি। এ সময়ের জনপ্রত্যাশা হলো-সবার সতর্কতায় ঈদযাত্রা হোক রোডক্র্যাশমুক্ত।
আসন্ন ঈদুল আজহায় যেন সড়কে মর্মান্তিকভাবে কাউকে প্রাণ হারাতে না হয় এটাই থাকবে সবার প্রত্যাশা। আর সেজন্য সবার অর্থাৎ সবার মঙ্গলের জন্য আমাদের এই প্রাণহানি রোধে সব পক্ষকেই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। তাহলেই একটি নিরাপদ সড়ক গড়ে উঠবে এবং ঈদের যাত্রা বিষাদে পরিণত হবে না।
[ লেখক : অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন), রোড সেফটি প্রকল্প, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ]