শাহাদাৎ হোসেন
দেশের আয়কর আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে বিদ্যমান আয়কর আইনটি হচ্ছে ‘আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪’। এ অধ্যাদেশ রহিতপূর্বক সরকার ‘আয়কর আইন-২০২২’ প্রণয়ন করছে। সরকারের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যে অধ্যাদেশটি বর্তমানে বিদ্যমান তা ৩৭ বছরের পুরোনো। বিগত ৩৭ বছরে দেশের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।
দেশের মানুষের আয় অর্জনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতা এসেছে। সেই বিবেচনায় বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশটি পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রণয়ন অনেকটাই সময়ের দাবি। বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশটি পরিবর্তন করে যে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে সেটির ওপর কিছু মতামত পেশ করাই এ লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য।
খসড়া আয়কর আইনের ওপর মতামত প্রকাশের পূর্বে যে বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য তাহলো আয়কর একটি প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা।
প্রত্যক্ষ করের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি প্রগতিশীল যা সমাজের আয় এবং সম্পদ বৈষম্য রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আয়করের বিধান হচ্ছে উচ্চবিত্ত সম্পদশালীর কাছ থেকে করের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সেটি নিম্নবিত্তের জন্য খরচ করা। অর্থনৈতিক এ নীতির মাধ্যমেই উচ্চবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস এবং নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিপূর্বক সমাজে সমতা আনয়নে ভূমিকা পালন করে।
উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, বিগত দেড় দশকে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি সাধিত হয়েছে। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, সর্বোপরি গড় আয়ু বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই নির্দেশক। এসব অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাঝেও যে নেতিবাচক কিছু প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তাহলো ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান আয় ও সম্পদ বৈষম্য। ১৯৮৪ সালে পাঁচ শতাংশ সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী মানুষের আয়ের পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন আয় অর্জনকারী পাঁচ শতাংশ মানুষের আয়ের ১৬ গুণ।
বর্তমানে এ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ শতাংশ সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী মানুষের আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন আয় অর্জনকারী পাঁচ শতাংশ মানুষের আয়ের ১১৬ গুণ। আয় বৈষম্য পরিমাপক জিনিসহগের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৪ সালে দেশে আয় বৈষম্যের মাত্রা ছিল দশমিক ২৭, বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৮; যা আয় বৈষম্যে বিপজ্জনক মাত্রা নির্দেশ করে। এ পরিস্থিতিতে দেশের জন্য আয়কর আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্বরোপ করা বাঞ্ছনীয় সেটি হলো সমাজের মানুষের আয় বৈষম্য হ্রাস করতে সহায়ক বিধানগুলোর অন্তর্ভুক্তি।
কিন্তু খসড়া আয়কর আইনটি বিশ্লেষণে এটি অনুধাবন করা যায় যে, বিদ্যমান আয় বৈষম্য হ্রাসের প্রচেষ্টার বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। খসড়া আয়কর আইনের ৮১ ধারায় আয় করযোগ্য হওয়া সাপেক্ষে, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হইতে এর কোন সুবিধাভোগীকে ২৫০০০ টাকার ঊর্ধ্বে কোনো অর্থ প্রদানকালে ৫% হারে কর কর্তন করার বিধান রাখা হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হইতে অর্থ প্রদানের পূর্বে কর কর্তনের বিধান নিঃসন্দেহে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর করের চাপে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করাই নির্দেশ করে।
বর্তমানে দেশে কর ব্যবস্থার আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হচ্ছে- জাতীয় আয়ের তুলনায় আহরিত করের পরিমাণ বেশ নগণ্য। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের কর-জিডিপির অনুপাতে অনেক কম। বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ মোতাবেক কোনো দেশের আদর্শ কর-জিডিপি অনুপাত হওয়া উচিত ১৫%, ভারতে এটি ১১%, শ্রীলংকায় ১১.৬%, মালয়েশিয়ায় ১০.৮% অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৯%। এ অবস্থা উন্নয়নের জন্য খাতভিত্তিক কর এবং জিডিপিতে অবদানের একটি বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এ বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে খাত থেকে আহরিত করের পরিমাণ তুলনামূলক কম তা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উপযুক্ত বিধান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু খসড়া আয়কর আইনে এরূপ কোনো বিশ্লেষণের ফলাফলভিত্তিক বিধানের সংযোজন লক্ষ্য করা যায় না।
বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে কর কর্তৃপক্ষের বিবেচনামূলক (discretionary) ক্ষমতা অধিক হওয়ায় করদাতা এবং কর কর্তৃপক্ষ একে-অপরের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়, যা কর আহরণে বাধা সৃষ্টি করে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্তপক্ষের এ বিবেচনামূলক ক্ষমতা হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তার কোনো নিদর্শন লক্ষ্য করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ খসড়া আয়কর আইনের ২১(১) ধারায় ভাড়া হতে আয় পরিগণনার সময় সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত ভাড়ার পরিমাণ বা ভাড়া প্রদানকৃত সময়ের জন্য যৌক্তিকভাবে প্রাপ্য ভাড়ার পরিমাণ- এই দুয়ের মধ্যে যেটি বেশি সেটিই আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। সম্পদের মালিক যৌক্তিক ভাড়ার বিনিময়ে সম্পদের ভাড়া দিয়ে ভাড়াপ্রাপ্ত হবেন এটিই স্বাভাবিক, কিন্তু প্রাপ্ত ভাড়ার সাথে কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যৌক্তিকভাবে প্রাপ্য ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারণের বিবেচনামূলক ক্ষমতা সম্পদের মালিক এবং কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসের সুযোগ সৃষ্টি করে কর আহরণ ব্যাহত করতে পারে। এরূপ বিবেচনামূলক ক্ষমতা যতদূর সম্ভব পরিহার করা উচিত। সবশেষে দেশে একটি বাস্তবধর্মী আয়কর আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে শুধু কর আহরণের বিষয়টির প্রাধান্য না দিয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা অপরিহার্য।
[লেখক : সিনিয়র পার্টনার, ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স; চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস]
শাহাদাৎ হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
দেশের আয়কর আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে বিদ্যমান আয়কর আইনটি হচ্ছে ‘আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪’। এ অধ্যাদেশ রহিতপূর্বক সরকার ‘আয়কর আইন-২০২২’ প্রণয়ন করছে। সরকারের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যে অধ্যাদেশটি বর্তমানে বিদ্যমান তা ৩৭ বছরের পুরোনো। বিগত ৩৭ বছরে দেশের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।
দেশের মানুষের আয় অর্জনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যতা এসেছে। সেই বিবেচনায় বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশটি পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রণয়ন অনেকটাই সময়ের দাবি। বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশটি পরিবর্তন করে যে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে সেটির ওপর কিছু মতামত পেশ করাই এ লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য।
খসড়া আয়কর আইনের ওপর মতামত প্রকাশের পূর্বে যে বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য তাহলো আয়কর একটি প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা।
প্রত্যক্ষ করের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি প্রগতিশীল যা সমাজের আয় এবং সম্পদ বৈষম্য রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আয়করের বিধান হচ্ছে উচ্চবিত্ত সম্পদশালীর কাছ থেকে করের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সেটি নিম্নবিত্তের জন্য খরচ করা। অর্থনৈতিক এ নীতির মাধ্যমেই উচ্চবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস এবং নিম্নবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিপূর্বক সমাজে সমতা আনয়নে ভূমিকা পালন করে।
উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, বিগত দেড় দশকে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি সাধিত হয়েছে। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি, মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, সর্বোপরি গড় আয়ু বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই নির্দেশক। এসব অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাঝেও যে নেতিবাচক কিছু প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তাহলো ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান আয় ও সম্পদ বৈষম্য। ১৯৮৪ সালে পাঁচ শতাংশ সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী মানুষের আয়ের পরিমাণ ছিল সর্বনিম্ন আয় অর্জনকারী পাঁচ শতাংশ মানুষের আয়ের ১৬ গুণ।
বর্তমানে এ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ শতাংশ সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী মানুষের আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন আয় অর্জনকারী পাঁচ শতাংশ মানুষের আয়ের ১১৬ গুণ। আয় বৈষম্য পরিমাপক জিনিসহগের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৪ সালে দেশে আয় বৈষম্যের মাত্রা ছিল দশমিক ২৭, বর্তমানে সেটি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৮; যা আয় বৈষম্যে বিপজ্জনক মাত্রা নির্দেশ করে। এ পরিস্থিতিতে দেশের জন্য আয়কর আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্বরোপ করা বাঞ্ছনীয় সেটি হলো সমাজের মানুষের আয় বৈষম্য হ্রাস করতে সহায়ক বিধানগুলোর অন্তর্ভুক্তি।
কিন্তু খসড়া আয়কর আইনটি বিশ্লেষণে এটি অনুধাবন করা যায় যে, বিদ্যমান আয় বৈষম্য হ্রাসের প্রচেষ্টার বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। খসড়া আয়কর আইনের ৮১ ধারায় আয় করযোগ্য হওয়া সাপেক্ষে, শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হইতে এর কোন সুবিধাভোগীকে ২৫০০০ টাকার ঊর্ধ্বে কোনো অর্থ প্রদানকালে ৫% হারে কর কর্তন করার বিধান রাখা হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল হইতে অর্থ প্রদানের পূর্বে কর কর্তনের বিধান নিঃসন্দেহে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর করের চাপে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করাই নির্দেশ করে।
বর্তমানে দেশে কর ব্যবস্থার আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হচ্ছে- জাতীয় আয়ের তুলনায় আহরিত করের পরিমাণ বেশ নগণ্য। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের কর-জিডিপির অনুপাতে অনেক কম। বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণ মোতাবেক কোনো দেশের আদর্শ কর-জিডিপি অনুপাত হওয়া উচিত ১৫%, ভারতে এটি ১১%, শ্রীলংকায় ১১.৬%, মালয়েশিয়ায় ১০.৮% অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৯%। এ অবস্থা উন্নয়নের জন্য খাতভিত্তিক কর এবং জিডিপিতে অবদানের একটি বিশ্লেষণ প্রয়োজন। এ বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে খাত থেকে আহরিত করের পরিমাণ তুলনামূলক কম তা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উপযুক্ত বিধান থাকা প্রয়োজন। কিন্তু খসড়া আয়কর আইনে এরূপ কোনো বিশ্লেষণের ফলাফলভিত্তিক বিধানের সংযোজন লক্ষ্য করা যায় না।
বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশে কর কর্তৃপক্ষের বিবেচনামূলক (discretionary) ক্ষমতা অধিক হওয়ায় করদাতা এবং কর কর্তৃপক্ষ একে-অপরের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়, যা কর আহরণে বাধা সৃষ্টি করে। নতুন আয়কর আইনে কর কর্তপক্ষের এ বিবেচনামূলক ক্ষমতা হ্রাস করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তার কোনো নিদর্শন লক্ষ্য করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ খসড়া আয়কর আইনের ২১(১) ধারায় ভাড়া হতে আয় পরিগণনার সময় সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত ভাড়ার পরিমাণ বা ভাড়া প্রদানকৃত সময়ের জন্য যৌক্তিকভাবে প্রাপ্য ভাড়ার পরিমাণ- এই দুয়ের মধ্যে যেটি বেশি সেটিই আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। সম্পদের মালিক যৌক্তিক ভাড়ার বিনিময়ে সম্পদের ভাড়া দিয়ে ভাড়াপ্রাপ্ত হবেন এটিই স্বাভাবিক, কিন্তু প্রাপ্ত ভাড়ার সাথে কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যৌক্তিকভাবে প্রাপ্য ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারণের বিবেচনামূলক ক্ষমতা সম্পদের মালিক এবং কর কর্তৃপক্ষের মধ্যে অবিশ্বাসের সুযোগ সৃষ্টি করে কর আহরণ ব্যাহত করতে পারে। এরূপ বিবেচনামূলক ক্ষমতা যতদূর সম্ভব পরিহার করা উচিত। সবশেষে দেশে একটি বাস্তবধর্মী আয়কর আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে শুধু কর আহরণের বিষয়টির প্রাধান্য না দিয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা অপরিহার্য।
[লেখক : সিনিয়র পার্টনার, ম্যাবস অ্যান্ড জে পার্টনার্স; চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস]