নিতাই চন্দ্র রায়
বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল শস্যক্ষেত্র, চির সবুজ গাছপালা, বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ, নানারকম জলজ প্রাণী, মৎস্য ও উদ্ভিদের উপস্থিতির মূলে রয়েছে সারাদেশে জালের মতো বিস্তৃত অসংখ্য নদ-নদী ও প্রাকৃতিক জলাশয়। নদী বাংলাদেশের প্রাণ। নদীকে কেন্দ্র করেই দেশের সব শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগানেও ছিল নদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা। আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে রয়েছে নদীর সরব উপস্থিতি। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম।
নদীনির্ভর বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও পণ্য পরিবহন কাজে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত- এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে ভয়াবহ নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বাপ-দাদার চিরপরিচিত বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে শহরের বস্তিতে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, যাদের ব্যর্থতায় নদী ভাঙছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সেই মন্ত্রণালয় থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের’ এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তার মতে, ট্রেন দুর্ঘটনা, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যদি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ততে নদী শিকস্থি; নদী যাদের বাড়ি-ঘর, উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলছে তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
জাতীয় নদী কমিশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মধ্যে কমিশন ৬০ হাজার দখলদারের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কাজটা কিন্তু এত সহজ নয়। নদী দখলদারেরা অনেক শক্তিশালী, সরকারের হাত আরও লম্বা। নদী দখল করে কেউ পার পাবে না। নদী কমিশনকে শক্তিশালী করতে হলে এর জনবল কাঠামো বাড়ানো দরকার। কমিশনকে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশনের মতো একটা সাংবিধানিক সংস্থায় পরিণত করা উচিত। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আছে। তাহলে নদী ও জলাশয় মন্ত্রণালয় থাকবে না কেন?
দখল-দূষণ প্রতিরোধের তাগিদ দিয়ে নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা বলেন, কঠিন সত্য হচ্ছে- আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে দূষণের ওপর। পৃথিবীর সব থেকে দূষিত নদীগুলো আমাদের ঢাকার চারপাশে। নদী দখল রোধে জাতীয়ভাবে নদীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। সংজ্ঞা নির্ধারণ না হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা যাবে না। সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে সিএস পর্চা অনুযায়ী। সিএস বা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে হচ্ছে ১৮৮৭ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত ভূমি জরিপ।
বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা নিয়ে বড় বিভ্রান্তি রয়েছে।বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলেই তা বোঝা যায়। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে দেশে নদী আছে ২৩০টি, উইকিপিডিয়ায় বলা হয় ৪৯৫টি, শিশু একাডেমির বিশ^কোষে নদীর সংখ্যা বলা আছে ৭০০টি, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন বলছে দেড় হাজারের ওপর। আবার কেউ বলেন, দুই হাজারের ওপর। আসলে নদীর সংখ্যা কত? সেটা জাতির সামনে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
শুধু নদী নয়; অভিন্ন নদী নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয় অভিন্ন নদী ৫৭টি। এর মধ্যে তিনটি মায়ানমারের সঙ্গে, বাকি ৫৪টি ভারতের সঙ্গে। কিন্তু অন্য এক হিসাবে অভিন্ন নদীর সংখ্যা হচ্ছে ১০৭টি। এ সংখ্যাগুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দেশের নদীযোদ্ধারা বলেন, নদী কমিশনকে নির্বাহী ক্ষমতা দিতে হবে এবং পৃথক নদী ট্রাইব্যুনালে নদী দখল ও দূষণকারীদের বিচার করতে হবে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের জন্ম। তখন থেকে দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষায় সংগঠনটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদ-নদী ও প্রাকৃতিক জলাধারের আইনগত অভিভাবকের মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। তাই যারা দখল ও দূষণের মাধ্যমে নদীগুলোর ক্ষতিসাধন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশনে স্বাক্ষর করে উজানের অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তৃতীয়ত, সীমানা নির্ধারণপূর্বক বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও নাব্যতা নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। চতুর্থত, জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করাও এখন সময়ে দাবি।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন দেশের নদ-নদী, প্রাকৃতিক জলাশয় ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি (২৫ নভেম্বর) ১৭ দফা দাবিনামা প্রকাশ করে এবং সেগুলো আশু বাস্তবায়নের জন্য দেশের ৫৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্র্র্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৭ দফা ও হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় বাস্তবায়নে শুধু সরকারকেই নয়, দেশের আপামর জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ব্যাপারে সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষের অন্তরে নদীর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে এবং নদী বাঁচাও আন্দোলনকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
[লেখক : সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন]
নিতাই চন্দ্র রায়
বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সবুজ-শ্যামল শস্যক্ষেত্র, চির সবুজ গাছপালা, বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ, নানারকম জলজ প্রাণী, মৎস্য ও উদ্ভিদের উপস্থিতির মূলে রয়েছে সারাদেশে জালের মতো বিস্তৃত অসংখ্য নদ-নদী ও প্রাকৃতিক জলাশয়। নদী বাংলাদেশের প্রাণ। নদীকে কেন্দ্র করেই দেশের সব শহর-বন্দর ও ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগানেও ছিল নদী। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা। আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে রয়েছে নদীর সরব উপস্থিতি। পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম।
নদীনির্ভর বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও পণ্য পরিবহন কাজে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত- এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে ভয়াবহ নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর বাস্তুচ্যুত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বাপ-দাদার চিরপরিচিত বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে শহরের বস্তিতে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, যাদের ব্যর্থতায় নদী ভাঙছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সেই মন্ত্রণালয় থেকেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের’ এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তার মতে, ট্রেন দুর্ঘটনা, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যদি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ততে নদী শিকস্থি; নদী যাদের বাড়ি-ঘর, উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলছে তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
জাতীয় নদী কমিশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মধ্যে কমিশন ৬০ হাজার দখলদারের তালিকা তৈরি করেছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কাজটা কিন্তু এত সহজ নয়। নদী দখলদারেরা অনেক শক্তিশালী, সরকারের হাত আরও লম্বা। নদী দখল করে কেউ পার পাবে না। নদী কমিশনকে শক্তিশালী করতে হলে এর জনবল কাঠামো বাড়ানো দরকার। কমিশনকে নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশনের মতো একটা সাংবিধানিক সংস্থায় পরিণত করা উচিত। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আছে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আছে। তাহলে নদী ও জলাশয় মন্ত্রণালয় থাকবে না কেন?
দখল-দূষণ প্রতিরোধের তাগিদ দিয়ে নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা বলেন, কঠিন সত্য হচ্ছে- আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে দূষণের ওপর। পৃথিবীর সব থেকে দূষিত নদীগুলো আমাদের ঢাকার চারপাশে। নদী দখল রোধে জাতীয়ভাবে নদীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। সংজ্ঞা নির্ধারণ না হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ করা যাবে না। সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে সিএস পর্চা অনুযায়ী। সিএস বা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে হচ্ছে ১৮৮৭ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত ভূমি জরিপ।
বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা নিয়ে বড় বিভ্রান্তি রয়েছে।বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলেই তা বোঝা যায়। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে দেশে নদী আছে ২৩০টি, উইকিপিডিয়ায় বলা হয় ৪৯৫টি, শিশু একাডেমির বিশ^কোষে নদীর সংখ্যা বলা আছে ৭০০টি, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন বলছে দেড় হাজারের ওপর। আবার কেউ বলেন, দুই হাজারের ওপর। আসলে নদীর সংখ্যা কত? সেটা জাতির সামনে সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে।
শুধু নদী নয়; অভিন্ন নদী নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। সরকারিভাবে বলা হয় অভিন্ন নদী ৫৭টি। এর মধ্যে তিনটি মায়ানমারের সঙ্গে, বাকি ৫৪টি ভারতের সঙ্গে। কিন্তু অন্য এক হিসাবে অভিন্ন নদীর সংখ্যা হচ্ছে ১০৭টি। এ সংখ্যাগুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। দেশের নদীযোদ্ধারা বলেন, নদী কমিশনকে নির্বাহী ক্ষমতা দিতে হবে এবং পৃথক নদী ট্রাইব্যুনালে নদী দখল ও দূষণকারীদের বিচার করতে হবে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের জন্ম। তখন থেকে দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষায় সংগঠনটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নদ-নদী ও প্রাকৃতিক জলাধারের আইনগত অভিভাবকের মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। তাই যারা দখল ও দূষণের মাধ্যমে নদীগুলোর ক্ষতিসাধন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশনে স্বাক্ষর করে উজানের অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তৃতীয়ত, সীমানা নির্ধারণপূর্বক বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও নাব্যতা নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। চতুর্থত, জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করাও এখন সময়ে দাবি।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন দেশের নদ-নদী, প্রাকৃতিক জলাশয় ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি (২৫ নভেম্বর) ১৭ দফা দাবিনামা প্রকাশ করে এবং সেগুলো আশু বাস্তবায়নের জন্য দেশের ৫৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্র্র্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৭ দফা ও হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় বাস্তবায়নে শুধু সরকারকেই নয়, দেশের আপামর জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ব্যাপারে সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষের অন্তরে নদীর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে এবং নদী বাঁচাও আন্দোলনকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
[লেখক : সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন]