চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী
প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে এগিয়ে চলা ‘পদ্মা সেতু’র নান্দনিক স্থাপত্য শৈলী আজ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছে, ‘আমরাও পারি’! স্বাধীনতা উত্তর অন্যতম এমন একটি সপ্নের বাস্তবায়নে সত্যি আমরা আজ আবারও গর্বিত। না, আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর এতটুকু সুযোগ নেই। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার মহান প্রত্যয় আমাদের প্রতিটি নাগরিক হৃদয়ে। শুধু কি তাই? কি হয়নি গত এক দশকে! বিভিন্ন বিশ্ব পরাশক্তির চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা ভুলে যায়নি ৭১ কিংবা ৭৫ কোনটিকেই। জাতির জনকের নির্মম হত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সুসম্পন্ন করে আমরা সে প্রমাণই দিয়েছি। বিশ্ব মোড়লদের মানবতার মুখোশকে উন্মোচিত করে ভীনদেশী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন করে আমরাই দেখিয়েছি, মানবতার প্রশ্নে বিশ্ব মানচিত্রে অকৃত্রিম এক বন্ধু রাষ্ট্রের নামই হচ্ছে, ‘বাংলাদেশ’।
গত এক দশকে সম্ভাবনাময় প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়েছে দেশ(বাংলাদেশ)। ফলস্বরূপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্নাতক অর্জনে ১-২টি তে নয়, বরং প্রতিটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র তালিকায় স্থান নিশ্চিত হয়েছে আমাদের । বিশ্ব দরবারে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, ‘আমরা থেমে নেই, আমরা এগিয়ে চলেছি দৃপ্ত পদক্ষেপেই’। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উত্তরকালেও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচলিত একটি অভিশপ্ত শব্দ ‘ননএমপিও’ যার বিনাশ আজও সম্ভব হয়ে ওঠেনি এ পবিত্র ভূমিতে। উপরুন্ত সময়ের সঙ্গে এ অভিশপ্ততার পরিধি ক্ষমতা আর ব্যক্তি স্বার্থের মোহে আরো সম্প্রসারিত হয়েছে দিনের-পর-দিন। এখন প্রশ্ন, আগামী উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্রের বুকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন একটি দীর্ঘশ্বাস মূলক অভিশপ্ত শব্দের উপস্থিতি আমাদের জন্য আদৌ কী স্বস্তিদায়ক হবে?
বিশেষ করে সেই ১৯৯৩ সাল থেকে দীর্ঘ ২৯টি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষকের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ কালীন সময়ে এ শিক্ষকদের জীবন মান এতটাই অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন তা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যানহীন। যদিও একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজের অন্য স্তরের শিক্ষকরা এ সময়ে যথা নিয়মেই তারা তাদের এমপিও সুবিধা ভোগ করছেন।
এমনকি, নতুন নীতিমালার আলোকে একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত নব্য জাতীয়করণকৃত কলেজের এ স্তরের শিক্ষকরাও আত্তীকরণের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করছেন এখন। এছাড়াও, একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত ও জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থেকেও ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকরাও ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় এমপিওভুক্তির সুযোগ পেয়েছেন। অবশ্যই সেটি প্রশংসাযোগ্য কিন্তু এই শিক্ষকদের বেলাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিমাতা সুলভ আচারণের প্রকৃত হেতু তবে কী?
২০০১সাল থেকে দীর্ঘ সময় নতুন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকার পর, সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে ২০১০সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় ৪০০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদুপরি, প্রায় ৭ সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষক এখনও এমপিও আওতার বাইরেই থেকে গেছেন। ফলে তারাও এখন এক প্রকারে চূড়ান্ত মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ সমস্যার সমাধান প্রত্যাশায় এ শিক্ষকেরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম-মানববন্ধন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও কম করেননি। কিন্তু এটাই সত্য যে, এখনও পর্যন্ত এ অভিশপ্ত ‘ননএমপিও’ শব্দ হতে অধিকাংশ শিক্ষকের মুক্তি সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। অথচ, বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় এ সমস্যার সমাধান তেমন কোনো বিষয়ই হওয়ার কথা নয়। একটি রাজনৈতিক ইতিবাচক সিদ্ধান্তেই এ অভিশপ্ততা থেকে এ শিক্ষকদের মুক্তি দেয়া যেতে পারে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে সরকারি ও বেসরকারি ধারাতে রেখে, অথবা প্রয়োজনে এক দফায় সব ননএমপিও শিক্ষককে এমপিও আওতায় নিয়েও এ সমস্যার সমাধানও করা যেতে পারে। নতুন করে ননএমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ও সরকারি উদ্যোগ ভিন্ন নতুন-নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিধিনিষেধ সেক্ষেত্রে জরুরি হতে পারে। অন্যথায়, শিক্ষা ক্ষেত্রের মধ্যযুগীয় শ্রমদাস সম এ অমানবিক প্রথা আমাদের স্বাধীনতার এ মহান চেতনাকে উত্তর উত্তর প্রশ্নবিদ্ধই করবে। সহজ কথা হচ্ছে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের শিক্ষা ক্ষেত্রের অভিশপ্ত এই ‘ননএমপিও’ শব্দের বিনাশ এখন সময়ের দবিতে পরিণত হয়েছে।
তাই একটি গর্বিত জাতি হিসেবে পবিত্র এ ভূমি থেকে আজ এখনই ‘ননএমপিও’ এ অভিশপ্ত শব্দটির বিনাশ জরুরি! যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রের আগামী প্রতিটি ভোরের স্বপ্নময় রাজ ললাটে অঙ্কিত হয়ে ওঠে এক একটি শুভ্র তিলক! জানি না, পদ্মা, মহাকাশ ও ভাসানচরে মানবিকতা বিজয়ী আগামী উন্নয়নশীল এ বঙ্গভূমিতে ননএমপিও অভিশপ্ত এ অসহ্য রাত্রির অবসান আদৌও সম্ভব হবে কি-না! তাই তো কবি নির্মলেন্দু গুণের হতাশ এ সত্য উচ্চারনেই থেমে যাওয়া আজ, ‘হয় নিদ্রা আসুক, না হয় এক্ষুণি অবসান হোক এ অসহ রাত্রির।”
[লেখক : সেল সদস্য (তথ্য), বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ]
চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী
বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে এগিয়ে চলা ‘পদ্মা সেতু’র নান্দনিক স্থাপত্য শৈলী আজ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিচ্ছে, ‘আমরাও পারি’! স্বাধীনতা উত্তর অন্যতম এমন একটি সপ্নের বাস্তবায়নে সত্যি আমরা আজ আবারও গর্বিত। না, আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর এতটুকু সুযোগ নেই। এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার মহান প্রত্যয় আমাদের প্রতিটি নাগরিক হৃদয়ে। শুধু কি তাই? কি হয়নি গত এক দশকে! বিভিন্ন বিশ্ব পরাশক্তির চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা ভুলে যায়নি ৭১ কিংবা ৭৫ কোনটিকেই। জাতির জনকের নির্মম হত্যার ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সুসম্পন্ন করে আমরা সে প্রমাণই দিয়েছি। বিশ্ব মোড়লদের মানবতার মুখোশকে উন্মোচিত করে ভীনদেশী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন করে আমরাই দেখিয়েছি, মানবতার প্রশ্নে বিশ্ব মানচিত্রে অকৃত্রিম এক বন্ধু রাষ্ট্রের নামই হচ্ছে, ‘বাংলাদেশ’।
গত এক দশকে সম্ভাবনাময় প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়েছে দেশ(বাংলাদেশ)। ফলস্বরূপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্নাতক অর্জনে ১-২টি তে নয়, বরং প্রতিটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র তালিকায় স্থান নিশ্চিত হয়েছে আমাদের । বিশ্ব দরবারে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি, ‘আমরা থেমে নেই, আমরা এগিয়ে চলেছি দৃপ্ত পদক্ষেপেই’। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উত্তরকালেও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচলিত একটি অভিশপ্ত শব্দ ‘ননএমপিও’ যার বিনাশ আজও সম্ভব হয়ে ওঠেনি এ পবিত্র ভূমিতে। উপরুন্ত সময়ের সঙ্গে এ অভিশপ্ততার পরিধি ক্ষমতা আর ব্যক্তি স্বার্থের মোহে আরো সম্প্রসারিত হয়েছে দিনের-পর-দিন। এখন প্রশ্ন, আগামী উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্রের বুকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন একটি দীর্ঘশ্বাস মূলক অভিশপ্ত শব্দের উপস্থিতি আমাদের জন্য আদৌ কী স্বস্তিদায়ক হবে?
বিশেষ করে সেই ১৯৯৩ সাল থেকে দীর্ঘ ২৯টি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্সের পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষকের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ কালীন সময়ে এ শিক্ষকদের জীবন মান এতটাই অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন তা সম্পূর্ণ ব্যাখ্যানহীন। যদিও একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজের অন্য স্তরের শিক্ষকরা এ সময়ে যথা নিয়মেই তারা তাদের এমপিও সুবিধা ভোগ করছেন।
এমনকি, নতুন নীতিমালার আলোকে একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত নব্য জাতীয়করণকৃত কলেজের এ স্তরের শিক্ষকরাও আত্তীকরণের পূর্ণ সুবিধা ভোগ করছেন এখন। এছাড়াও, একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত ও জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থেকেও ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকরাও ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় এমপিওভুক্তির সুযোগ পেয়েছেন। অবশ্যই সেটি প্রশংসাযোগ্য কিন্তু এই শিক্ষকদের বেলাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিমাতা সুলভ আচারণের প্রকৃত হেতু তবে কী?
২০০১সাল থেকে দীর্ঘ সময় নতুন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকার পর, সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে ২০১০সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় ৪০০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধলক্ষ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদুপরি, প্রায় ৭ সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধ লক্ষাধিক শিক্ষক এখনও এমপিও আওতার বাইরেই থেকে গেছেন। ফলে তারাও এখন এক প্রকারে চূড়ান্ত মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে এ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ সমস্যার সমাধান প্রত্যাশায় এ শিক্ষকেরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম-মানববন্ধন-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও কম করেননি। কিন্তু এটাই সত্য যে, এখনও পর্যন্ত এ অভিশপ্ত ‘ননএমপিও’ শব্দ হতে অধিকাংশ শিক্ষকের মুক্তি সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। অথচ, বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় এ সমস্যার সমাধান তেমন কোনো বিষয়ই হওয়ার কথা নয়। একটি রাজনৈতিক ইতিবাচক সিদ্ধান্তেই এ অভিশপ্ততা থেকে এ শিক্ষকদের মুক্তি দেয়া যেতে পারে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে সরকারি ও বেসরকারি ধারাতে রেখে, অথবা প্রয়োজনে এক দফায় সব ননএমপিও শিক্ষককে এমপিও আওতায় নিয়েও এ সমস্যার সমাধানও করা যেতে পারে। নতুন করে ননএমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ও সরকারি উদ্যোগ ভিন্ন নতুন-নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিধিনিষেধ সেক্ষেত্রে জরুরি হতে পারে। অন্যথায়, শিক্ষা ক্ষেত্রের মধ্যযুগীয় শ্রমদাস সম এ অমানবিক প্রথা আমাদের স্বাধীনতার এ মহান চেতনাকে উত্তর উত্তর প্রশ্নবিদ্ধই করবে। সহজ কথা হচ্ছে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের শিক্ষা ক্ষেত্রের অভিশপ্ত এই ‘ননএমপিও’ শব্দের বিনাশ এখন সময়ের দবিতে পরিণত হয়েছে।
তাই একটি গর্বিত জাতি হিসেবে পবিত্র এ ভূমি থেকে আজ এখনই ‘ননএমপিও’ এ অভিশপ্ত শব্দটির বিনাশ জরুরি! যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রের আগামী প্রতিটি ভোরের স্বপ্নময় রাজ ললাটে অঙ্কিত হয়ে ওঠে এক একটি শুভ্র তিলক! জানি না, পদ্মা, মহাকাশ ও ভাসানচরে মানবিকতা বিজয়ী আগামী উন্নয়নশীল এ বঙ্গভূমিতে ননএমপিও অভিশপ্ত এ অসহ্য রাত্রির অবসান আদৌও সম্ভব হবে কি-না! তাই তো কবি নির্মলেন্দু গুণের হতাশ এ সত্য উচ্চারনেই থেমে যাওয়া আজ, ‘হয় নিদ্রা আসুক, না হয় এক্ষুণি অবসান হোক এ অসহ রাত্রির।”
[লেখক : সেল সদস্য (তথ্য), বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ]