মিথুশিলাক মুরমু
অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কীতে গৃহীত উদ্যোগ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়নে কিংবা সুফল প্রাপ্তিতে আদিবাসীরা মুজিব কন্যার ভালোবাসার স্পর্শ অনুভব করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, কেউ-ই আশ্রয়হীন থাকবে না, কেউ-ই গৃহহীন থাকবে না। তারই নেতৃত্বে গঠিত সরকার মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়ার সিদ্ধান্তে নীতিমালাতে উল্লেখ করেছিলেন, ‘খ. জমির সংস্থান সাপেক্ষে গৃহহীন হিজড়া, বেদে, বাউল, আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রভৃতি সম্প্রদায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে।’ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী উপলক্ষে সারাদেশে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সংকুলান করার স্বপ্ন দেখেছে সরকার, যা এখনও বিদ্যমান। একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মাত্র; আর এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দর্শনই ছিল-সোনার বাংলায় মানুষেরা হেসে খেলে থাকবে, শান্তিতে-সম্প্রীতিতে-সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বে সহবস্থান করবে। আজ থেকে প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি কি চাই? আমি চাই বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাক। আমি কি চাই? আমার বাংলার মানুষ সুখী হোক। আমি কি চাই? আমার বাংলার মানুষ হেসে খেলে বেড়াক। আমি কি চাই? আমার সোনার বাংলার মানুষ আবার প্রাণভরে হাসুক’।
বঙ্গবন্ধুর দর্শনের বহু বছর পর জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ (এসডিজি)। এসডিজি লক্ষ্যমাত্র ১০.২-এ বলা হয়েছে, ‘বয়স, লিঙ্গ, প্রতিবন্ধিতা, জাতিসত্তা, নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয়, উৎস (জন্মস্থান) ধর্ম অথবা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য অবস্থা নির্বিশেষে সবার ক্ষমতায়ন এবং এদের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রবর্তন।’ অনুমিত হয় যে, বঙ্গবন্ধু কতখানি দূরদর্শী ছিলেন, কতখানি জনমানুষকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই আত্মিক দর্শনকে ধারণ করেই দেশ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে, সর্বস্তরের জনসাধারণ উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাবে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, চিন্তা-চেতনারও বিকাশও ঘটবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আদিবাসীদেরও উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ৮ হাজার ১০৬টি গৃহ এবং সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য ৪ হাজার ৮৩২টি গৃহ বিতরণের কাজ এগিয়ে চলেছে। একটি পরিবারের জন্যে রয়েছে- দুটি শয়ন কক্ষ, একটি টয়লেট, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা। সামাজিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও পুকুর খননকৃত এলাকায় সমবায় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ ব্যবসা বা কৃষি কাজের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়ও কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বান্দাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলায় উল্লাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, দিনাজপুরের পাবর্তীপুর এলাকায় কয়লাখনি শ্রমিক, বরগুনা তালতলি এলাকায় রাখাইন পরিবারের জন্য বিশেষ টং ঘর ও নীলফামারী সদর উপজেলায় হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতে সর্বাধিক সাঁওতাল জনগোষ্ঠীকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এ উপজেলায় শুধু সাঁওতালদের জন্য ৭০টি বাড়ি করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মরাবস্তা পুকুর পাড় এলাকায় রয়েছে ৫০টি ঘর। আর ২০টি ঘর রয়েছে অন্য জায়গায়। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে যেন তাদেরও ঘর করে দেয়া যায়।
বাবুরাম হাঁসদা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাইবান্ধার মরাবস্তা পুকুরপাড় গ্রামে থাকেন। প্রায় ২০ বছর ঘরে অত্র এলাকায় রয়েছেন, নিজের কোন জায়গা-জমি নেই। অন্যের জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছিলেন, কাজ করতেন যখন যার কাছে কাজের সুযোগ পেতেন। কখনও কখনও পার্শ্ববর্তী জেলাতেও কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। মুজিব বর্ষে আধা-পাকা বাড়ি পেয়ে হাসির ঝলক দেখা যায় মুখে। তিনি জীবনেও চিন্তা করতে পারেনি যে, ইটের ঘরে থাকার; ভালোই হয়েছে এখন আর রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে কষ্ট করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘উনার জন্যই আমরা এগুলো পেয়েছি। উনাকে অনেক ধন্যবাদ। উনি আরও অনেক দিন বেঁচে থাকুন।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রুপিনা। স্বামীহারা এই বৃদ্ধার সংসারে ছেলে ও ছেলের বউ। ছেলে অন্যের জমিতে কামলা খাটে। এতদিন নিজেদের কোন বসতভিটা ছিল না। শেষ বয়সে শেখ হাসিনার বদৌলতে স্থায়ী ঠিকানা জুটেছে। রুপিনা বলেছেন, ‘সারা জীবন কষ্ট করেছি, এখন একটু আরামে থাকতে পারব।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে এখন গ্রামবাসী সবাই ভালো আছেন। দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের গোন্দল গ্রামের ৫৮ বছর বয়সী আদিবাসী মহিলা মাইনো বেসরা বলেছেন, ‘মুই বুড়া (পুরাতন) টিন আর সিনডার (পাটখড়ি) চাটি (বেড়া) দিয়ে ঝুঁপড়িঘর করি আছুনু। বাইরোত ভাত আন্দি (রান্না) খাছো। মুই মেলা কষ্ট করি জীবন চালাছো। মাসখানেক আগত ইউএনও মোর বাড়িত আসি ছুবি তুলি নিছে আর কয়া গেইছে মোক নাকি শেখের বেটি বাড়ি দ্যাছে। এ্যালা নয়া ঘর তৈরি হইছে। ভগবান শেখের বেটির ভালো করুক।’
[লেখক : কলামিস্ট]
মিথুশিলাক মুরমু
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কীতে গৃহীত উদ্যোগ এবং প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়নে কিংবা সুফল প্রাপ্তিতে আদিবাসীরা মুজিব কন্যার ভালোবাসার স্পর্শ অনুভব করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, কেউ-ই আশ্রয়হীন থাকবে না, কেউ-ই গৃহহীন থাকবে না। তারই নেতৃত্বে গঠিত সরকার মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়ার সিদ্ধান্তে নীতিমালাতে উল্লেখ করেছিলেন, ‘খ. জমির সংস্থান সাপেক্ষে গৃহহীন হিজড়া, বেদে, বাউল, আদিবাসী/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রভৃতি সম্প্রদায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে।’ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী উপলক্ষে সারাদেশে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সংকুলান করার স্বপ্ন দেখেছে সরকার, যা এখনও বিদ্যমান। একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মাত্র; আর এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দর্শনই ছিল-সোনার বাংলায় মানুষেরা হেসে খেলে থাকবে, শান্তিতে-সম্প্রীতিতে-সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বে সহবস্থান করবে। আজ থেকে প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘আমি কি চাই? আমি চাই বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাক। আমি কি চাই? আমার বাংলার মানুষ সুখী হোক। আমি কি চাই? আমার বাংলার মানুষ হেসে খেলে বেড়াক। আমি কি চাই? আমার সোনার বাংলার মানুষ আবার প্রাণভরে হাসুক’।
বঙ্গবন্ধুর দর্শনের বহু বছর পর জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ (এসডিজি)। এসডিজি লক্ষ্যমাত্র ১০.২-এ বলা হয়েছে, ‘বয়স, লিঙ্গ, প্রতিবন্ধিতা, জাতিসত্তা, নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয়, উৎস (জন্মস্থান) ধর্ম অথবা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য অবস্থা নির্বিশেষে সবার ক্ষমতায়ন এবং এদের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রবর্তন।’ অনুমিত হয় যে, বঙ্গবন্ধু কতখানি দূরদর্শী ছিলেন, কতখানি জনমানুষকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই আত্মিক দর্শনকে ধারণ করেই দেশ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে, সর্বস্তরের জনসাধারণ উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাবে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, চিন্তা-চেতনারও বিকাশও ঘটবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আদিবাসীদেরও উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ৮ হাজার ১০৬টি গৃহ এবং সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য ৪ হাজার ৮৩২টি গৃহ বিতরণের কাজ এগিয়ে চলেছে। একটি পরিবারের জন্যে রয়েছে- দুটি শয়ন কক্ষ, একটি টয়লেট, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা। সামাজিক যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও পুকুর খননকৃত এলাকায় সমবায় পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ ব্যবসা বা কৃষি কাজের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়ও কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বান্দাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলায় উল্লাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, দিনাজপুরের পাবর্তীপুর এলাকায় কয়লাখনি শ্রমিক, বরগুনা তালতলি এলাকায় রাখাইন পরিবারের জন্য বিশেষ টং ঘর ও নীলফামারী সদর উপজেলায় হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাতে সর্বাধিক সাঁওতাল জনগোষ্ঠীকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এ উপজেলায় শুধু সাঁওতালদের জন্য ৭০টি বাড়ি করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মরাবস্তা পুকুর পাড় এলাকায় রয়েছে ৫০টি ঘর। আর ২০টি ঘর রয়েছে অন্য জায়গায়। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে যেন তাদেরও ঘর করে দেয়া যায়।
বাবুরাম হাঁসদা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাইবান্ধার মরাবস্তা পুকুরপাড় গ্রামে থাকেন। প্রায় ২০ বছর ঘরে অত্র এলাকায় রয়েছেন, নিজের কোন জায়গা-জমি নেই। অন্যের জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছিলেন, কাজ করতেন যখন যার কাছে কাজের সুযোগ পেতেন। কখনও কখনও পার্শ্ববর্তী জেলাতেও কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তেন। মুজিব বর্ষে আধা-পাকা বাড়ি পেয়ে হাসির ঝলক দেখা যায় মুখে। তিনি জীবনেও চিন্তা করতে পারেনি যে, ইটের ঘরে থাকার; ভালোই হয়েছে এখন আর রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে কষ্ট করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘উনার জন্যই আমরা এগুলো পেয়েছি। উনাকে অনেক ধন্যবাদ। উনি আরও অনেক দিন বেঁচে থাকুন।’
একই গ্রামের বাসিন্দা রুপিনা। স্বামীহারা এই বৃদ্ধার সংসারে ছেলে ও ছেলের বউ। ছেলে অন্যের জমিতে কামলা খাটে। এতদিন নিজেদের কোন বসতভিটা ছিল না। শেষ বয়সে শেখ হাসিনার বদৌলতে স্থায়ী ঠিকানা জুটেছে। রুপিনা বলেছেন, ‘সারা জীবন কষ্ট করেছি, এখন একটু আরামে থাকতে পারব।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে এখন গ্রামবাসী সবাই ভালো আছেন। দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের গোন্দল গ্রামের ৫৮ বছর বয়সী আদিবাসী মহিলা মাইনো বেসরা বলেছেন, ‘মুই বুড়া (পুরাতন) টিন আর সিনডার (পাটখড়ি) চাটি (বেড়া) দিয়ে ঝুঁপড়িঘর করি আছুনু। বাইরোত ভাত আন্দি (রান্না) খাছো। মুই মেলা কষ্ট করি জীবন চালাছো। মাসখানেক আগত ইউএনও মোর বাড়িত আসি ছুবি তুলি নিছে আর কয়া গেইছে মোক নাকি শেখের বেটি বাড়ি দ্যাছে। এ্যালা নয়া ঘর তৈরি হইছে। ভগবান শেখের বেটির ভালো করুক।’
[লেখক : কলামিস্ট]