এস ডি সুব্রত
তেল নিয়ে তেলেসমাতি যেন শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। শেষ হচ্ছে না ভোক্তার ভোগান্তি। সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সয়াবিন সমস্যার সমাধান যেন হচ্ছে না কোনভাবেই। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সয়াবিনের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত অভিযানেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে; কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরিষার পর বিদেশি তেল হিসেবে নানা ধরনের তেল এসেছে বাজারে। অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী তেল, ক্যানোলা অয়েল ইত্যাদি। দেশে ধানের কুঁড়া থেকেও তেল উৎপাদিত হচ্ছে। তবে রান্নাঘরে সয়াবিনের বিকল্প মিলছে না সত্যি বলতে। সব কিছুকে টেক্কা মেরে সয়াবিন তেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। সয়াবিনের এত জনপ্রিয় হলো কিভাবে। আজকাল সয়াবিন তেল ছাড়া গৃহিণীরা যেন রান্নার কথা ভাবতেই পারছেন না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সয়াবিন তেল আমাদের দেশে এত জনপ্রিয় ছিল না। তখন থেকেই সয়াবিন তেল আমদানি হলেও জনপ্রিয় হতে অনেক সময় লেগেছে। সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির রান্নাঘরে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে এই সয়াবিন তেল। সয়াবিনের বিকল্প আমাদের দেশে ভাবা যাচ্ছে না।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকে আমাদের দেশসহ রান্নার প্রধান তেল ছিল সরিষার তেল। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সরিষা উৎপাদন হতো। ছোট ছোট ঘানিতে সরিষার বীজ ভাঙিয়ে তেল উৎপাদন করা হতো। সয়াবিন তেল আমদানি হলেও তা ছিল খুবই সামান্য পরিমাণে। প্রথম শহর অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সয়াবিন তেলের ব্যবহার। সরিষার তেলের চেয়ে দামে তুলনামূলক যেমন সস্তা সয়াবিন তেমনি রান্না করা খাবারে স্বাদ অটুট থাকে। এর নিজস্ব কোনো গন্ধ না থাকায় খাবারেও গন্ধ হয় না। এই তেল দেখতেও স্বচ্ছ সুন্দর। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই বাঙালির রান্নার অন্যতম উপাদান হিসেবে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে সয়াবিন।
আমাদের দেশে কবে থেকে সয়াবিন তেলের আমদানি শুরু হয়, তার সঠিক তথ্য জানা না গেলেও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার আগে থেকেই আমাদের দেশে সয়াবিন তেল আমদানি হতো। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬১ সালে সয়াবিন তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ২৩০ টন। সে সময় ভোজ্যতেলের মধ্যে সরিষার তেলের ব্যবহার ছিল ৮০ শতাংশ। সয়াবিন আর সরিষার তেল যখন সমান জনপ্রিয়তার কাছাকাছি, তখন আমদানি শুরু হয় পাম তেলের। এ দেশের মানুষ তখন তেমন একটা শোনেনি পাম তেলের কথা। ১৯৭৯ সালের দিকে বাজারের মাত্র এক শতাংশ অংশীদারত্ব দিয়ে এ দেশে শুরু হয় পাম তেলের যাত্রা। আস্তে আস্তে পাম তেলের আমদানি বেড়ে যায়।
পাম তেল ও সয়াবিনের জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে থাকে সরিষার তেল। তিন দশক আগের কথা তখন রান্নাঘর থেকে হারিয়ে যেতে থাকে সরিষার তেল। ২০০১ সাল থেকে সয়াবিনকে হটিয়ে পরিমাণে বেশি আমদানি হতে থাকে পাম তেল। পাম তেলের আমদানি বাড়লেও বাসা-বাড়ির রান্নাঘরে এ তেলের খুব একটা জায়গা হয়নি। অপরিশোধিত আকারে সয়াবিনের আমদানি ও উৎপাদন মিলে দেশে বছরে ১১ থেকে ১২ লাখ টন সয়াবিন সরবরাহ হয়। পাম তেলের পরিমাণ ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টন। সয়াবিনের চেয়ে পরিমাণে বেশি হলেও এই পাম তেলের কদর হোটেল-রেস্তোরাঁ, খাদ্যপণ্য ও প্রসাধন শিল্পে। লিপস্টিক থেকে শুরু করে পাস্তা-নুডলস তৈরি করতে পাম তেলের ব্যবহার হয়। শীত মৌসুমে পাম তেল জমাট বেঁধে যায় বলে রান্নাঘরে এ তেলের জনপ্রিয়তা খুব বেশি বাড়েনি। এ কারণে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পাম তেলের দাম কমতে থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা সয়াবিনের আমদানি বাড়াতে থাকেন।
স্বাধীনতার দুই দশক পর এ দেশের উদ্যোক্তাদের হাত ধরে সয়াবিন পরিশোধনের কারখানা চালু হয়। আবুল খায়ের গ্রুপের হাতে আসে নাছিরাবাদের বালাগামওয়ালা ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস, যেটিতে অবশ্য সয়াবিনের পাশাপাশি শর্ষে ও ঘি তৈরি হতো। শুরুর দিকে দেশীয় কারখানাগুলোয় পরিশোধিত সয়াবিনের মূল্য সংযোজন এত বেশি হয়েছিল যে, এক-দুই বছরে বিনিয়োগ উঠে আসে। বিশ্বের মোট ৯৮ শতাংশ সয়াবিন বীজ উৎপাদিত হয় ১৫টি দেশে। তার মধ্যে শীর্ষ চারটি দেশ হলো ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা ও চীন। বীজ মাড়াই করে তেল উৎপাদনেও শীর্ষে রয়েছে এই চার দেশ। বাংলাদেশেও সয়াবিন বীজের উৎপাদন হয়, তবে তা পরিমাণে খুব কম।
রান্নাঘরে সয়াবিন তেলের জনপ্রিয়তার কারণে দেড় দশক আগে সয়াবিন বীজ মাড়াইয়ের কারখানায় বিনিয়োগ করেন এ দেশের উদ্যোক্তারা। প্রথমে বিনিয়োগে নাম লেখায় সিটি গ্রুপ। এরপর মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। এরপর আসে আরও কোম্পানি। এসব কারখানায় পরিশোধনের পাশাপাশি বীজ মাড়াই করে সয়াবিন উৎপাদন করা হয়। তখন বীজ আমদানি করেই সয়াবিন তেল উৎপাদন করতে শুরু করে কোম্পানিগুলো। বিশ্বে সয়াবিন তেল ব্যবহারের ক্রমতালিকায় জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন তেল ব্যবহার করে চীন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলের অবস্থান তৃতীয়। তিনটি দেশই সয়াবিন উৎপাদনেও শীর্ষে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাদ দিলে সয়াবিন ব্যবহারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সয়াবিন তেল অপরিশোধিত আকারে আসতে থাকে মূলত তিনটি দেশ থেকে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে। বিগত ১০ মাসে দেশে সয়াবিন তেলের আমদানির প্রায় ৪৯ শতাংশই এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে। ব্রাজিল থেকে ৩১ শতাংশ। বাকিটা প্যারাগুয়ে থেকে। বাংলাদেশের বাজার দখলের লড়াইয়ে এক সময় ছিল যুক্তরাষ্ট্রও। সময়ের পরিবর্তনে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি বছর ৭২-৭৩ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে সয়াবিন তেল আমদানিতে। আর এখন দাম বাড়ার পর এর পরিমাণ আরও বেড়েছে। বন্ধ হোক তেলের তেলেসমাতি। বন্ধ হোক তেলের আগ্রাসন। স্বস্তি আসুক জনজীবনে।
[লেখক : প্রাবন্ধিক]
এস ডি সুব্রত
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
তেল নিয়ে তেলেসমাতি যেন শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। শেষ হচ্ছে না ভোক্তার ভোগান্তি। সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সয়াবিন সমস্যার সমাধান যেন হচ্ছে না কোনভাবেই। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সয়াবিনের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত অভিযানেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। সয়াবিনের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে; কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরিষার পর বিদেশি তেল হিসেবে নানা ধরনের তেল এসেছে বাজারে। অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী তেল, ক্যানোলা অয়েল ইত্যাদি। দেশে ধানের কুঁড়া থেকেও তেল উৎপাদিত হচ্ছে। তবে রান্নাঘরে সয়াবিনের বিকল্প মিলছে না সত্যি বলতে। সব কিছুকে টেক্কা মেরে সয়াবিন তেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। সয়াবিনের এত জনপ্রিয় হলো কিভাবে। আজকাল সয়াবিন তেল ছাড়া গৃহিণীরা যেন রান্নার কথা ভাবতেই পারছেন না।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সয়াবিন তেল আমাদের দেশে এত জনপ্রিয় ছিল না। তখন থেকেই সয়াবিন তেল আমদানি হলেও জনপ্রিয় হতে অনেক সময় লেগেছে। সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির রান্নাঘরে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছে এই সয়াবিন তেল। সয়াবিনের বিকল্প আমাদের দেশে ভাবা যাচ্ছে না।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকে আমাদের দেশসহ রান্নার প্রধান তেল ছিল সরিষার তেল। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সরিষা উৎপাদন হতো। ছোট ছোট ঘানিতে সরিষার বীজ ভাঙিয়ে তেল উৎপাদন করা হতো। সয়াবিন তেল আমদানি হলেও তা ছিল খুবই সামান্য পরিমাণে। প্রথম শহর অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সয়াবিন তেলের ব্যবহার। সরিষার তেলের চেয়ে দামে তুলনামূলক যেমন সস্তা সয়াবিন তেমনি রান্না করা খাবারে স্বাদ অটুট থাকে। এর নিজস্ব কোনো গন্ধ না থাকায় খাবারেও গন্ধ হয় না। এই তেল দেখতেও স্বচ্ছ সুন্দর। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই বাঙালির রান্নার অন্যতম উপাদান হিসেবে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করে সয়াবিন।
আমাদের দেশে কবে থেকে সয়াবিন তেলের আমদানি শুরু হয়, তার সঠিক তথ্য জানা না গেলেও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার আগে থেকেই আমাদের দেশে সয়াবিন তেল আমদানি হতো। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৬১ সালে সয়াবিন তেলের আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ২৩০ টন। সে সময় ভোজ্যতেলের মধ্যে সরিষার তেলের ব্যবহার ছিল ৮০ শতাংশ। সয়াবিন আর সরিষার তেল যখন সমান জনপ্রিয়তার কাছাকাছি, তখন আমদানি শুরু হয় পাম তেলের। এ দেশের মানুষ তখন তেমন একটা শোনেনি পাম তেলের কথা। ১৯৭৯ সালের দিকে বাজারের মাত্র এক শতাংশ অংশীদারত্ব দিয়ে এ দেশে শুরু হয় পাম তেলের যাত্রা। আস্তে আস্তে পাম তেলের আমদানি বেড়ে যায়।
পাম তেল ও সয়াবিনের জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে থাকে সরিষার তেল। তিন দশক আগের কথা তখন রান্নাঘর থেকে হারিয়ে যেতে থাকে সরিষার তেল। ২০০১ সাল থেকে সয়াবিনকে হটিয়ে পরিমাণে বেশি আমদানি হতে থাকে পাম তেল। পাম তেলের আমদানি বাড়লেও বাসা-বাড়ির রান্নাঘরে এ তেলের খুব একটা জায়গা হয়নি। অপরিশোধিত আকারে সয়াবিনের আমদানি ও উৎপাদন মিলে দেশে বছরে ১১ থেকে ১২ লাখ টন সয়াবিন সরবরাহ হয়। পাম তেলের পরিমাণ ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টন। সয়াবিনের চেয়ে পরিমাণে বেশি হলেও এই পাম তেলের কদর হোটেল-রেস্তোরাঁ, খাদ্যপণ্য ও প্রসাধন শিল্পে। লিপস্টিক থেকে শুরু করে পাস্তা-নুডলস তৈরি করতে পাম তেলের ব্যবহার হয়। শীত মৌসুমে পাম তেল জমাট বেঁধে যায় বলে রান্নাঘরে এ তেলের জনপ্রিয়তা খুব বেশি বাড়েনি। এ কারণে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পাম তেলের দাম কমতে থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা সয়াবিনের আমদানি বাড়াতে থাকেন।
স্বাধীনতার দুই দশক পর এ দেশের উদ্যোক্তাদের হাত ধরে সয়াবিন পরিশোধনের কারখানা চালু হয়। আবুল খায়ের গ্রুপের হাতে আসে নাছিরাবাদের বালাগামওয়ালা ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস, যেটিতে অবশ্য সয়াবিনের পাশাপাশি শর্ষে ও ঘি তৈরি হতো। শুরুর দিকে দেশীয় কারখানাগুলোয় পরিশোধিত সয়াবিনের মূল্য সংযোজন এত বেশি হয়েছিল যে, এক-দুই বছরে বিনিয়োগ উঠে আসে। বিশ্বের মোট ৯৮ শতাংশ সয়াবিন বীজ উৎপাদিত হয় ১৫টি দেশে। তার মধ্যে শীর্ষ চারটি দেশ হলো ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা ও চীন। বীজ মাড়াই করে তেল উৎপাদনেও শীর্ষে রয়েছে এই চার দেশ। বাংলাদেশেও সয়াবিন বীজের উৎপাদন হয়, তবে তা পরিমাণে খুব কম।
রান্নাঘরে সয়াবিন তেলের জনপ্রিয়তার কারণে দেড় দশক আগে সয়াবিন বীজ মাড়াইয়ের কারখানায় বিনিয়োগ করেন এ দেশের উদ্যোক্তারা। প্রথমে বিনিয়োগে নাম লেখায় সিটি গ্রুপ। এরপর মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। এরপর আসে আরও কোম্পানি। এসব কারখানায় পরিশোধনের পাশাপাশি বীজ মাড়াই করে সয়াবিন উৎপাদন করা হয়। তখন বীজ আমদানি করেই সয়াবিন তেল উৎপাদন করতে শুরু করে কোম্পানিগুলো। বিশ্বে সয়াবিন তেল ব্যবহারের ক্রমতালিকায় জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন তেল ব্যবহার করে চীন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিলের অবস্থান তৃতীয়। তিনটি দেশই সয়াবিন উৎপাদনেও শীর্ষে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাদ দিলে সয়াবিন ব্যবহারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সয়াবিন তেল অপরিশোধিত আকারে আসতে থাকে মূলত তিনটি দেশ থেকে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে। বিগত ১০ মাসে দেশে সয়াবিন তেলের আমদানির প্রায় ৪৯ শতাংশই এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে। ব্রাজিল থেকে ৩১ শতাংশ। বাকিটা প্যারাগুয়ে থেকে। বাংলাদেশের বাজার দখলের লড়াইয়ে এক সময় ছিল যুক্তরাষ্ট্রও। সময়ের পরিবর্তনে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতি বছর ৭২-৭৩ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে সয়াবিন তেল আমদানিতে। আর এখন দাম বাড়ার পর এর পরিমাণ আরও বেড়েছে। বন্ধ হোক তেলের তেলেসমাতি। বন্ধ হোক তেলের আগ্রাসন। স্বস্তি আসুক জনজীবনে।
[লেখক : প্রাবন্ধিক]