alt

উপ-সম্পাদকীয়

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব

মোস্তাফা জব্বার

: সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

সাত ॥

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে এসপি থাকবেন। দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, সংসদ সদস্যরা থাকবেন, জনগণের প্রতিনিধিরা থাকবেন। শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। জেলা গভর্নরের কাছে যাবে আমার ওয়ার্কস প্রোগ্রামের টাকা। তার কাছে যাবে আমার খাদ্যসামগ্রী। তার কাছে যাবে আমার টেস্ট রিলিফ, লোন, বিল ও সেচ প্রকল্পের টাকা। আই বিলিভ ইন পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নট এ নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ। সেজন্য আমার পার্টিতে আপনারা যারা আছেন, আসুন, আমরা পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নিই। আমি যখন খুব ইয়ং ছিলাম; আমার নেতা সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে কেউ গালাগালি করলে আমি রাগ করে তার কাছে যেতাম। তিনি হেসে বলতেন, থাক বলতে দাও। ওতে কী হবে? উনি আমাকে বলতেন, থিংক ফর এ পজিটিভ অ্যাপ্রোচ দ্যান এ নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ। আমার লাইফকে আমি এই দৃষ্টিতেই দেখেছি।

নতুন দলে আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, সরকারি কর্মচারী, বেসরকারি কর্মচারী, পলিটিশিয়ান, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, ডক্টরস, ইঞ্জিনিয়ারস যতদূর সম্ভবপর এদের রাখার চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পলিটিশিয়ানদের মধ্যে অনেক এক্সপেরিয়েন্সড-পুরোনো বন্ধুদেরও বঙ্গবন্ধু তার নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। তারাও সানন্দে দেশ গড়ার ব্রত নিয়ে এতে যোগদানের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, সেকেন্ড রেভল্যুশন ইজ নট দ্য অ্যান্ড। সেকেন্ড রেভল্যুশন করে তিনি চারটা প্রোগ্রাম দেন। সেকেন্ড রেভল্যুশনের মূল কথা হলো শোষণহীন সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর গৃহীত ব্যবস্থাগুলো দেশের পরিস্থিতিতে কিছতা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেও বাস্তবিকভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিরোধী দলের উপস্থিতি বিলুপ্ত হয়। গোপন চরমপন্থি দলগুলোর তৎপরতা কমে যায়। উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। খাদ্যদ্রব্য এবং ন্যূনতম প্রয়োজনের অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রহিত হয়, এমনকি কিছু কিছু দ্রব্যের মূল্যও হ্রাস পায়।

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের সৈনিক ছিল মুজিব বাহিনী। তাদেরই দর্শন ছিল মুজিববাদ। যদিও স্বাধীনতা-উত্তরকালে মুজিব বাহিনীর একটি অংশ জাসদ গঠন করে ও মুজিববাদের বিরোধিতা করে।

মুজিব বাহিনী ও মুজিববাদ: নানা কারণে মুক্তি বাহিনীর সময়কালে মুজিব বাহিনীর সুপরিকল্পিত প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারেনি। এটা সবারই জানা যে, মুজিব নগর সরকারের সবাইর মাঝে ঐকমত্য গড়তে অনেক সময় লেগেছে। অনেকে জানিয়েছেন যে, মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সাথেও বিরোধ ছিল মুজিব বাহিনীর। তবে সিরাজুল আলম খান সেভাবে বিষয়টি দেখেননি।

অন্যদিকে নিয়মিত বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও অধিনায়কদের সাথে তো বিরোধ ছিলই। সামগ্রিকভাবে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর বেশ পরে মুজিব বাহিনীর আলাদা প্রশিক্ষণ শুরু হয়। দেশের সব অঞ্চলকে ৪টি ভাগে ভাগ করে ৪ জন নেতার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এটিও প্রণিধানযোগ্য যে দীর্ঘদিনের বিএলএফ প্রশিক্ষণ শুরু হবার পর থেকে মুজিব বাহিনী নাম ধারণ করে। সবাই ধারণা করেন যে, এর ফলে মুজিব বাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। মুজিব বাহিনী যাতে আরও গ্রহণযোগ্য হয় তার জন্য মুজিবাহিনী মুজিববাদকে তাদের মতবাদ হিসেবে গ্রহণ করে। যদিও স্বাধীনতার পর মুজিব বাহিনী দুটি ধারায় বিভক্ত হয় এবং একটি ধারা জাসদ নামক রাজনৈতিক দল গঠন করে। অন্য ধারাটি কিন্তু মুজিববাদকেই তাদের নীতি ও আদর্শ হিসেবে ধারণ করে। এখন সেই মুজিববাদ নিয়ে কেউ কথা না বললেও স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনীতিতে মুজিববাদ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এবং বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠন বা দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি মুজিববাদই।

এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার বিবরণ এরকম :

‘মুজিববাদ হলো বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের চর্চিত ও প্রচারিত রাজনৈতিক দর্শন বা মূল্যবোধের সমষ্টি। রাজনৈতিক দর্শনের মূল চার নীতি হলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি বলেন- ‘আগে স্লোগান ছিল ৬ দফা, এখন ৪টা স্তম্ভ।’

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হলে মুজিববাদের চার স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়। উপনিবেশ আমলে ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। আবদুল গাফফার চৌধুরীর মতে- ‘মুজিবের রাজনৈতিক চরিত্র গড়ে উঠেছিল হক সাহেব, আবুল হাশেম, সুভাষ বসু ও মওলানা ভাসানীর রাজনীতির প্রভাব বলয়ে।’

শেখ মুজিব এক সাক্ষাৎকারে বলেন- ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশকেও অগ্রসর হতে হবে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই চারটি মূল সূত্র ধরে, বাংলাদেশের নিজস্ব পথ ধরে। আমার উপরোক্ত মতকে অনেকে বলছেন মুজিববাদ। এ দেশের লেখক, সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিকরা আমার চিন্তাধারার কী নামকরণ করবেন সেটা তাদের ব্যাপার, আমার নয়। নামকরণের প্রতি আমার কোনো মোহ নাই। আমি চাই কাজ। আমি চাই আমার চিন্তাধারার বাস্তব রূপায়ণ। আমি চাই শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, আমি চাই আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা নির্মাণের পূর্ণ বাস্তবায়ন।’

জাতীয়তাবাদ : রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মৃতিকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

শেখ মুজিবুর রহমান ভাষাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, বাংলাদেশের সব অধিবাসীর পরিচয় বাঙালি ও বাংলাদেশি। তিনি ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রথম স্তম্ভ মনে করতেন। বাংলা ভাষাকে, বাংলা ভাষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতিকে এবং বাংলার মানুষের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দৃঢ়ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা দানই ছিল মুজিববাদের মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় সর্বস্তরে বাংলা চালুর ব্যাপারে তাগিদ দেন এবং পরিভাষার জন্য অপেক্ষা না করে তা তখনই শুরু করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা পরিভাষার অপেক্ষা করব না, কারণ তাহলে সর্বক্ষেত্রে কোনোদিনই বাংলা চালু করা সম্ভবপর হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ব্যবহারের মধ্য দিয়েই বাংলা ভাষার উন্নয়ন হবে। কেননা ভাষা সব সময় মুক্ত পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে তিনি বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমান অফিসের কাজে বাংলা ভাষা প্রচলনে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়-

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের সৈনিক ছিল মুজিব বাহিনী। তাদেরই দর্শন ছিল মুজিববাদ। যদিও স্বাধীনতা-উত্তরকালে মুজিব বাহিনীর একটি অংশ জাসদ গঠন করে ও মুজিববাদের বিরোধিতা করে

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলা আমাদের জাতীয় ভাষা। তবুও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, স্বাধীনতার তিন বছর পরও অধিকাংশ অফিস আদালতে মাতৃভাষার পরিবর্তে বিজাতীয় ইংরেজি ভাষায় নথিপত্র লেখা হচ্ছে। মাতৃভাষার প্রতি যার ভালোবাসা নেই, দেশের প্রতি যে তার ভালোবাসা আছে- এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’

সমাজতন্ত্র : মুজিববাদের দ্বিতীয় স্তম্ভ সমাজতন্ত্র। তার মতে, বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র হবে দেশজ ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র। কুষ্টিয়ায় এক বক্তৃতায় তিনি বলেন- ‘সম্পত্তি এখন সাড়ে সাত কোটি লোকের; যা উৎপাদন হবে সাড়ে সাত কোটি লোক ভোগ করবে। এদেশ শোষণহীন সমাজ হবে।’ ১৯৭২ সালের ২৪ জানুযারি টাঙ্গাইলে তিনি বলেন- ‘গরিবরা হবে এই রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষকরা হবে না।’

তার মতে- ‘বিদেশ থেকে হাওলাত কইরা আইনা সমাজতন্ত্র হয় না; ওটা যারা করতে গেছেন কেউ সমাজতন্ত্রে পৌঁছতে পারেন নাই।’ তিনি গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র অর্জনের একটি ধারণা পোষণ করেন।

গণতন্ত্র : শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণকে আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েই জনগণের মতামতের ওপর আমরা বিশ্বাস করি। তিনি শোষিতের গণতন্ত্র কথাটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। যারাই নির্বাচন করবে, তারাই সরকার চালাবে। তিনি আরও বলেন, ‘শক্তির উৎস বন্দুকের নল নয়, শক্তির উৎস হলো জনগণ।’

সরকারি কর্মচারী ও আমলাদের জনগণের সেবক হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন। সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘শুধু সামরিক বাহিনীতে দেশ রক্ষা হয় না। দেশ রক্ষা হয় জনগণকে দিয়ে।’

গণতন্ত্রের মাধ্যমে তিনি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বলেন, ‘দুনিয়ায় আমি বাংলার মাটি থেকে দেখাতে চাই যে, গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমি সমাজতন্ত্র কায়েম করব।’

সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র যেসব দেশে চলেছে, দেখা যায়- পুঁজিবাদকে প্রোটেকশন দেয়ার জন্য গণতন্ত্র কাজ করে এবং যেখানে প্রয়োজন হয়- শোষকদের রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়। সে গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। আমি চাই শোষিতের গণতন্ত্র। সেই শোষিতের গণতন্ত্রের অর্থ হলো আমাদের গণতন্ত্রে যে বিধি-বিধান আছে সে সমস্ত প্রোভিশন করা হয়েছে, তাতে এ দেশের দুঃখী মানুষ যাতে প্রোটেকশন পায় তারই বন্দোবস্ত আছে; ওই শোষক প্রতিষ্ঠিত হয় তার ব্যবস্থা নাই।’

ধর্মনিরপেক্ষতা : মুজিববাদের চতুর্থ আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। তার মতে, ‘বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে; আর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দুরা হিন্দু ধর্ম, মুসলমানেরা মুসলমানদের ধর্ম পালন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে, শুধু আমার আপত্তি এখানে যে, পবিত্র ধর্মকে ব্যবহার করে যেন একে আর গান্ধা না করা হয় ভবিষ্যতে।’

[লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান; সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক]

ছবি

স্মরণ : কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

দাবদাহে সুস্থ থাকবেন কীভাবে

কত দিন পরে এলে, একটু শোনো

রম্যগদ্য : আনন্দ, দ্বিগুণ আনন্দ...

ছবি

ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম

বৈসাবি : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন

উদার-উদ্দাম বৈশাখ চাই

ঈদ নিয়ে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বিস্তৃত হোক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ

প্রসঙ্গ: বিদেশি ঋণ

ছাত্ররাজনীতি কি খারাপ?

জাকাত : বিশ্বের প্রথম সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস : শুরুর কথা

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত

প্রবাসীর ঈদ-ভাবনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

ধানের ফলন বাড়াতে ক্লাইমেট স্মার্ট গুটি ইউরিয়া প্রযুক্তি

কমিশন কিংবা ভিজিটে জমি রেজিস্ট্রির আইনি বিধান ও প্রাসঙ্গিকতা

ছবি

ঈদের অর্থনীতি

পশ্চিমবঙ্গে ভোটের রাজনীতিতে ‘পোস্ট পার্টিশন সিনড্রম’

শিক্ষকের বঞ্চনা, শিক্ষকের বেদনা

নিরাপদ সড়ক কেন চাই

রম্যগদ্য : ‘প্রহরীর সাতশ কোটি টাকা...’

ছবি

অবন্তিকাদের আত্মহনন

শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা

অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান নয়

পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে

আত্মহত্যা রোধে নৈতিক শিক্ষা

আউশ ধান : পরিবেশ ও কৃষকবান্ধব ফসল

ছবি

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আতুড়ঘর

চেক ডিজঅনার মামলার অধিক্ষেত্র ও প্রাসঙ্গিকতা

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের কৃষি

ছবি

‘হৃৎ কলমের’ পাখি এবং আমাদের জেগে ওঠা

ছবি

ভূগর্ভস্থ পানি সুরক্ষায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ

tab

উপ-সম্পাদকীয়

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব

মোস্তাফা জব্বার

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

সাত ॥

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে এসপি থাকবেন। দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, সংসদ সদস্যরা থাকবেন, জনগণের প্রতিনিধিরা থাকবেন। শাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। জেলা গভর্নরের কাছে যাবে আমার ওয়ার্কস প্রোগ্রামের টাকা। তার কাছে যাবে আমার খাদ্যসামগ্রী। তার কাছে যাবে আমার টেস্ট রিলিফ, লোন, বিল ও সেচ প্রকল্পের টাকা। আই বিলিভ ইন পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নট এ নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ। সেজন্য আমার পার্টিতে আপনারা যারা আছেন, আসুন, আমরা পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নিই। আমি যখন খুব ইয়ং ছিলাম; আমার নেতা সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে কেউ গালাগালি করলে আমি রাগ করে তার কাছে যেতাম। তিনি হেসে বলতেন, থাক বলতে দাও। ওতে কী হবে? উনি আমাকে বলতেন, থিংক ফর এ পজিটিভ অ্যাপ্রোচ দ্যান এ নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ। আমার লাইফকে আমি এই দৃষ্টিতেই দেখেছি।

নতুন দলে আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, সরকারি কর্মচারী, বেসরকারি কর্মচারী, পলিটিশিয়ান, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, ডক্টরস, ইঞ্জিনিয়ারস যতদূর সম্ভবপর এদের রাখার চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। পলিটিশিয়ানদের মধ্যে অনেক এক্সপেরিয়েন্সড-পুরোনো বন্ধুদেরও বঙ্গবন্ধু তার নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। তারাও সানন্দে দেশ গড়ার ব্রত নিয়ে এতে যোগদানের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, সেকেন্ড রেভল্যুশন ইজ নট দ্য অ্যান্ড। সেকেন্ড রেভল্যুশন করে তিনি চারটা প্রোগ্রাম দেন। সেকেন্ড রেভল্যুশনের মূল কথা হলো শোষণহীন সমাজ-ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর গৃহীত ব্যবস্থাগুলো দেশের পরিস্থিতিতে কিছতা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেও বাস্তবিকভাবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিরোধী দলের উপস্থিতি বিলুপ্ত হয়। গোপন চরমপন্থি দলগুলোর তৎপরতা কমে যায়। উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। খাদ্যদ্রব্য এবং ন্যূনতম প্রয়োজনের অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রহিত হয়, এমনকি কিছু কিছু দ্রব্যের মূল্যও হ্রাস পায়।

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের সৈনিক ছিল মুজিব বাহিনী। তাদেরই দর্শন ছিল মুজিববাদ। যদিও স্বাধীনতা-উত্তরকালে মুজিব বাহিনীর একটি অংশ জাসদ গঠন করে ও মুজিববাদের বিরোধিতা করে।

মুজিব বাহিনী ও মুজিববাদ: নানা কারণে মুক্তি বাহিনীর সময়কালে মুজিব বাহিনীর সুপরিকল্পিত প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারেনি। এটা সবারই জানা যে, মুজিব নগর সরকারের সবাইর মাঝে ঐকমত্য গড়তে অনেক সময় লেগেছে। অনেকে জানিয়েছেন যে, মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সাথেও বিরোধ ছিল মুজিব বাহিনীর। তবে সিরাজুল আলম খান সেভাবে বিষয়টি দেখেননি।

অন্যদিকে নিয়মিত বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও অধিনায়কদের সাথে তো বিরোধ ছিলই। সামগ্রিকভাবে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর বেশ পরে মুজিব বাহিনীর আলাদা প্রশিক্ষণ শুরু হয়। দেশের সব অঞ্চলকে ৪টি ভাগে ভাগ করে ৪ জন নেতার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এটিও প্রণিধানযোগ্য যে দীর্ঘদিনের বিএলএফ প্রশিক্ষণ শুরু হবার পর থেকে মুজিব বাহিনী নাম ধারণ করে। সবাই ধারণা করেন যে, এর ফলে মুজিব বাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। মুজিব বাহিনী যাতে আরও গ্রহণযোগ্য হয় তার জন্য মুজিবাহিনী মুজিববাদকে তাদের মতবাদ হিসেবে গ্রহণ করে। যদিও স্বাধীনতার পর মুজিব বাহিনী দুটি ধারায় বিভক্ত হয় এবং একটি ধারা জাসদ নামক রাজনৈতিক দল গঠন করে। অন্য ধারাটি কিন্তু মুজিববাদকেই তাদের নীতি ও আদর্শ হিসেবে ধারণ করে। এখন সেই মুজিববাদ নিয়ে কেউ কথা না বললেও স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনীতিতে মুজিববাদ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এবং বঙ্গবন্ধুর বাকশাল গঠন বা দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি মুজিববাদই।

এ সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার বিবরণ এরকম :

‘মুজিববাদ হলো বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের চর্চিত ও প্রচারিত রাজনৈতিক দর্শন বা মূল্যবোধের সমষ্টি। রাজনৈতিক দর্শনের মূল চার নীতি হলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ১৯৭২ সালের ৭ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি বলেন- ‘আগে স্লোগান ছিল ৬ দফা, এখন ৪টা স্তম্ভ।’

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হলে মুজিববাদের চার স্তম্ভ- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতি হিসেবে গৃহীত হয়। উপনিবেশ আমলে ঔপনিবেশিকতাবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন। আবদুল গাফফার চৌধুরীর মতে- ‘মুজিবের রাজনৈতিক চরিত্র গড়ে উঠেছিল হক সাহেব, আবুল হাশেম, সুভাষ বসু ও মওলানা ভাসানীর রাজনীতির প্রভাব বলয়ে।’

শেখ মুজিব এক সাক্ষাৎকারে বলেন- ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশকেও অগ্রসর হতে হবে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র এই চারটি মূল সূত্র ধরে, বাংলাদেশের নিজস্ব পথ ধরে। আমার উপরোক্ত মতকে অনেকে বলছেন মুজিববাদ। এ দেশের লেখক, সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিকরা আমার চিন্তাধারার কী নামকরণ করবেন সেটা তাদের ব্যাপার, আমার নয়। নামকরণের প্রতি আমার কোনো মোহ নাই। আমি চাই কাজ। আমি চাই আমার চিন্তাধারার বাস্তব রূপায়ণ। আমি চাই শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, আমি চাই আমার স্বপ্ন সোনার বাংলা নির্মাণের পূর্ণ বাস্তবায়ন।’

জাতীয়তাবাদ : রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মৃতিকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

শেখ মুজিবুর রহমান ভাষাভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মনে করতেন, বাংলাদেশের সব অধিবাসীর পরিচয় বাঙালি ও বাংলাদেশি। তিনি ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রথম স্তম্ভ মনে করতেন। বাংলা ভাষাকে, বাংলা ভাষার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতিকে এবং বাংলার মানুষের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে দৃঢ়ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা দানই ছিল মুজিববাদের মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় সর্বস্তরে বাংলা চালুর ব্যাপারে তাগিদ দেন এবং পরিভাষার জন্য অপেক্ষা না করে তা তখনই শুরু করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা পরিভাষার অপেক্ষা করব না, কারণ তাহলে সর্বক্ষেত্রে কোনোদিনই বাংলা চালু করা সম্ভবপর হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ব্যবহারের মধ্য দিয়েই বাংলা ভাষার উন্নয়ন হবে। কেননা ভাষা সব সময় মুক্ত পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে তিনি বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমান অফিসের কাজে বাংলা ভাষা প্রচলনে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়-

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের সৈনিক ছিল মুজিব বাহিনী। তাদেরই দর্শন ছিল মুজিববাদ। যদিও স্বাধীনতা-উত্তরকালে মুজিব বাহিনীর একটি অংশ জাসদ গঠন করে ও মুজিববাদের বিরোধিতা করে

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। বাংলা আমাদের জাতীয় ভাষা। তবুও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, স্বাধীনতার তিন বছর পরও অধিকাংশ অফিস আদালতে মাতৃভাষার পরিবর্তে বিজাতীয় ইংরেজি ভাষায় নথিপত্র লেখা হচ্ছে। মাতৃভাষার প্রতি যার ভালোবাসা নেই, দেশের প্রতি যে তার ভালোবাসা আছে- এ কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’

সমাজতন্ত্র : মুজিববাদের দ্বিতীয় স্তম্ভ সমাজতন্ত্র। তার মতে, বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র হবে দেশজ ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র। কুষ্টিয়ায় এক বক্তৃতায় তিনি বলেন- ‘সম্পত্তি এখন সাড়ে সাত কোটি লোকের; যা উৎপাদন হবে সাড়ে সাত কোটি লোক ভোগ করবে। এদেশ শোষণহীন সমাজ হবে।’ ১৯৭২ সালের ২৪ জানুযারি টাঙ্গাইলে তিনি বলেন- ‘গরিবরা হবে এই রাষ্ট্র ও সম্পদের মালিক, শোষকরা হবে না।’

তার মতে- ‘বিদেশ থেকে হাওলাত কইরা আইনা সমাজতন্ত্র হয় না; ওটা যারা করতে গেছেন কেউ সমাজতন্ত্রে পৌঁছতে পারেন নাই।’ তিনি গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র অর্জনের একটি ধারণা পোষণ করেন।

গণতন্ত্র : শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণকে আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েই জনগণের মতামতের ওপর আমরা বিশ্বাস করি। তিনি শোষিতের গণতন্ত্র কথাটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। যারাই নির্বাচন করবে, তারাই সরকার চালাবে। তিনি আরও বলেন, ‘শক্তির উৎস বন্দুকের নল নয়, শক্তির উৎস হলো জনগণ।’

সরকারি কর্মচারী ও আমলাদের জনগণের সেবক হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন। সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘শুধু সামরিক বাহিনীতে দেশ রক্ষা হয় না। দেশ রক্ষা হয় জনগণকে দিয়ে।’

গণতন্ত্রের মাধ্যমে তিনি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি বলেন, ‘দুনিয়ায় আমি বাংলার মাটি থেকে দেখাতে চাই যে, গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমি সমাজতন্ত্র কায়েম করব।’

সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র যেসব দেশে চলেছে, দেখা যায়- পুঁজিবাদকে প্রোটেকশন দেয়ার জন্য গণতন্ত্র কাজ করে এবং যেখানে প্রয়োজন হয়- শোষকদের রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়। সে গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। আমি চাই শোষিতের গণতন্ত্র। সেই শোষিতের গণতন্ত্রের অর্থ হলো আমাদের গণতন্ত্রে যে বিধি-বিধান আছে সে সমস্ত প্রোভিশন করা হয়েছে, তাতে এ দেশের দুঃখী মানুষ যাতে প্রোটেকশন পায় তারই বন্দোবস্ত আছে; ওই শোষক প্রতিষ্ঠিত হয় তার ব্যবস্থা নাই।’

ধর্মনিরপেক্ষতা : মুজিববাদের চতুর্থ আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতা। তার মতে, ‘বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে; আর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। হিন্দুরা হিন্দু ধর্ম, মুসলমানেরা মুসলমানদের ধর্ম পালন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে, শুধু আমার আপত্তি এখানে যে, পবিত্র ধর্মকে ব্যবহার করে যেন একে আর গান্ধা না করা হয় ভবিষ্যতে।’

[লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান; সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যারের উদ্ভাবক]

back to top