alt

পাঠকের চিঠি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

: বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে অপার উন্নতি সাধন হয়েছে। যা মানুষের কষ্ট লাঘব করে জীবনকে সহজ করেছে। আমাদের দেশের মানুষও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইমো প্রভৃতি ব্যবহার করে সহজেই দূরবর্তী স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে।

তবে শুধু যে সবাই উপকৃত হচ্ছে এই রকমটা নয়। বরং এর ক্ষতির পরিমাণ নেহাত কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়া মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন জুয়া প্রসারের অন্যতম কারণ অধিকাংশ লোকের হাতে স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষজন দূরবর্তী ব্যক্তির সাথে জুয়া খেলছে। অনলাইন জুয়া হচ্ছে লাভের আশায় ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে জুয়া খেলা।

ইন্টারনেটের সংস্পর্শে জুয়া অনলাইনে রূপ নিয়েছে। অনলাইন জুয়ায় বিশেষ করে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণ তরুণীরা বেশি আসক্ত। জুয়ায় আসক্ত তরুণ-তরুণীরা জুয়ার অর্থ সংগ্রহের জন্য বাবার পকেট কাটা, ঘরের দামি জিনিস বিক্রি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করছে। যা সুখ সমৃদ্ধ পরিবারের ভেতর অশনি বার্তা হয়েছে এসেছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক কলহ ও বিচ্ছেদ। এছাড়াও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে এবং মাদকাসক্ত হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে।

অনলাইন জুয়ার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। যেমন তাদের নিকট ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৬ মাস পর ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়াও তারা ১০গুন থেকে ২০ গুণের লাভের অফার দিচ্ছে। চিন্তাবিদরা অনলাইন জুয়াকে উল্টো পিরামেিডর সাথে তুলনা করেন। শুরুর দিকে কিছু সংখ্যক লোক অর্থ পেলেও শেষের দিকে সবার অর্থ লুট করে প্রতারক সংস্থা উধাও হয়ে যায়। অসাধু ব্যক্তিরা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার ইউটিউবার এবং টিকটকারদের ব্যবহার করছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন এলাকায় এজেন্ট নিয়োগ করছে। তারা নানান ফন্দিতে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। সরল বিশ্বাসে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার জন্য জমিজমা, গবাদিপশু বিক্রি করে সর্বসান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেক বছর অনলাইন জুয়ার অ্যাপসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক অর্থ বিদেশে লেনদেন হচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে। বর্তমান সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ। যাদের সিংহভাগ কোন না কোনভাবেই অনলাইন জুয়ার সাথে পরিচিত।

অনলাইন জুয়ার প্রচারকারী টিকটকার এবং ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের সংশোধন ও কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসাধুদের তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। জুয়ার ফাঁদ সর্ম্পকে জনগনকে সচেতন এবং লিফলেটে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। সর্বশেষ সবাইকে সচেতন হতে এবং একে অপরকে সচেতন করতে হবে। অর্থ লোভে কোন কিছুতে পা বাড়ানো যাবে না।

রিয়াজ হোসাইন

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

অভিশপ্ত যৌতুক প্রথা

সভ্যতার সঙ্গে প্রযুক্তির সম্পর্ক

পশুদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন

দূষিত বায়ুতে জর্জরিত ঢাকা শহর

খাদ্যে উচ্চ মাত্রার লবণ গ্রহণ সম্পর্কে সতর্কতা

ছবি

রিও ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন

ছবি

তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ছবি

হলুদ চাদরে জড়ানো বাংলার প্রান্তর

বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় উদ্যোগ নিন

ঢাবির আবাসন সংকটের নিরসন কোথায়?

ভিক্ষার চালের দামও বেড়েছে

ছবি

দেওয়ালে পোস্টার লাগানো বন্ধ করুন

শিক্ষকদের সম্মান প্রসঙ্গে

নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক নিরাপদ সড়ক

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ছবি

সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রক্তদানে সম্পৃক্ত হোন

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

ছবি

বুড়িগঙ্গা নদীর বেহাল অবস্থা

ছবি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

মাদককে না, ক্রীড়াকে হ্যাঁ বলুন

বায়ুদূষণ

শিক্ষকদের পেনশন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ

ছবি

রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাস

tab

পাঠকের চিঠি

অনলাইন জুয়া বন্ধে এগিয়ে আসুন

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে অপার উন্নতি সাধন হয়েছে। যা মানুষের কষ্ট লাঘব করে জীবনকে সহজ করেছে। আমাদের দেশের মানুষও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইমো প্রভৃতি ব্যবহার করে সহজেই দূরবর্তী স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করছে।

তবে শুধু যে সবাই উপকৃত হচ্ছে এই রকমটা নয়। বরং এর ক্ষতির পরিমাণ নেহাত কম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়া মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনলাইন জুয়া প্রসারের অন্যতম কারণ অধিকাংশ লোকের হাতে স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষজন দূরবর্তী ব্যক্তির সাথে জুয়া খেলছে। অনলাইন জুয়া হচ্ছে লাভের আশায় ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে জুয়া খেলা।

ইন্টারনেটের সংস্পর্শে জুয়া অনলাইনে রূপ নিয়েছে। অনলাইন জুয়ায় বিশেষ করে স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণ তরুণীরা বেশি আসক্ত। জুয়ায় আসক্ত তরুণ-তরুণীরা জুয়ার অর্থ সংগ্রহের জন্য বাবার পকেট কাটা, ঘরের দামি জিনিস বিক্রি, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করছে। যা সুখ সমৃদ্ধ পরিবারের ভেতর অশনি বার্তা হয়েছে এসেছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক কলহ ও বিচ্ছেদ। এছাড়াও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে বিচ্যুত হচ্ছে এবং মাদকাসক্ত হওয়ার পরিমাণ বাড়ছে।

অনলাইন জুয়ার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। যেমন তাদের নিকট ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৬ মাস পর ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়াও তারা ১০গুন থেকে ২০ গুণের লাভের অফার দিচ্ছে। চিন্তাবিদরা অনলাইন জুয়াকে উল্টো পিরামেিডর সাথে তুলনা করেন। শুরুর দিকে কিছু সংখ্যক লোক অর্থ পেলেও শেষের দিকে সবার অর্থ লুট করে প্রতারক সংস্থা উধাও হয়ে যায়। অসাধু ব্যক্তিরা মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার ইউটিউবার এবং টিকটকারদের ব্যবহার করছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন এলাকায় এজেন্ট নিয়োগ করছে। তারা নানান ফন্দিতে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। সরল বিশ্বাসে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার জন্য জমিজমা, গবাদিপশু বিক্রি করে সর্বসান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেক বছর অনলাইন জুয়ার অ্যাপসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক অর্থ বিদেশে লেনদেন হচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে। বর্তমান সমীক্ষা অনুযায়ী দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ। যাদের সিংহভাগ কোন না কোনভাবেই অনলাইন জুয়ার সাথে পরিচিত।

অনলাইন জুয়ার প্রচারকারী টিকটকার এবং ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের সংশোধন ও কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসাধুদের তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। জুয়ার ফাঁদ সর্ম্পকে জনগনকে সচেতন এবং লিফলেটে প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। সর্বশেষ সবাইকে সচেতন হতে এবং একে অপরকে সচেতন করতে হবে। অর্থ লোভে কোন কিছুতে পা বাড়ানো যাবে না।

রিয়াজ হোসাইন

back to top