alt

পাঠকের চিঠি

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করুন

: বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ঘুষ, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর বিপদ। এগুলো সমাজে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে, যা মহামারির আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধ করা জরুরি। ঘুষের মাধ্যমে দুর্নীতি টিকে আছে, আর দুর্নীতির কারণে টাকা পাচার হচ্ছে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য, বিশৃঙ্খলা এবং ন্যায়বিচারের অভাব বাড়ছে, যা আমাদের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্নীতির কারণে সমাজের ভিত্তি ধ্বংস হচ্ছে। এটি মানুষকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করছে এবং তাদের মেধাশক্তি ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। তাই আমাদের সবার উচিত এই ভয়ংকর সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে লড়াই করা এবং নিজেদের মানসিক পরিবর্তন আনা।

দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। যখন সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতার অভাব অনুভব করে, তখন তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারায়। এর ফলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং সত্যিকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি আমাদের সমাজের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং আমাদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।

টিআইবির জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট বিভাগ, বিআরটিএ, বিচার বিভাগ এবং ভূমি সেবার মতো খাতগুলো রয়েছে। দুর্নীতি এবং ঘুষের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতগুলোতে বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে অব্যাহত দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, আর এ থেকেই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের জন্ম হচ্ছে।

ঘুষ, দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের কারণে সমাজে একদিকে অল্পসংখ্যক লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে, অন্যদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের কশাঘাতে পিষ্ট হচ্ছে। ব্যাংকের ঋণ সুবিধা গুটিকয়েক মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, এবং ঋণখেলাপির পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। এর ফলে শিল্পায়ন বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না এবং গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে না। বিশেষ করে পাটশিল্প, চিনিশিল্প, তাঁতশিল্পের মতো খাতগুলো দুর্নীতির কারণে ধুঁকছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে লুটপাট হচ্ছে এবং জনগণের করের টাকায় তৈরি প্রকল্পগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ এবং টাকা পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত। দেশের প্রতিটি সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সুধীর বরণ মাঝি

শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা : স্বপ্ন নাকি মৃত্যুর ফাঁদ?

ছাতারপাইয়ায় রাস্তা সংস্কার জরুরি

বইয়ের আলোয় দূর হোক অন্ধকার

পোস্তগোলা রাস্তার শোচনীয় অবস্থা

কৃষক কাঁদে, ভোক্তাও কাঁদে

হতাশার আরেক নাম ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ক্ষতিগ্রস্তদের লিজ দলিল দিন

ছবি

সাতার শেখা জরুরি

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া : শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তি নাকি ভোগান্তি?

ছবি

বন্ধ করা হোক ফিটনেসবিহীন যানবাহন

ছবি

অমর একুশে বইমেলা

tab

পাঠকের চিঠি

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করুন

বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

ঘুষ, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর বিপদ। এগুলো সমাজে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে, যা মহামারির আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধ করা জরুরি। ঘুষের মাধ্যমে দুর্নীতি টিকে আছে, আর দুর্নীতির কারণে টাকা পাচার হচ্ছে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য, বিশৃঙ্খলা এবং ন্যায়বিচারের অভাব বাড়ছে, যা আমাদের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্নীতির কারণে সমাজের ভিত্তি ধ্বংস হচ্ছে। এটি মানুষকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করছে এবং তাদের মেধাশক্তি ও মানবিক গুণাবলির বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। তাই আমাদের সবার উচিত এই ভয়ংকর সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে সচেতন হয়ে লড়াই করা এবং নিজেদের মানসিক পরিবর্তন আনা।

দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। যখন সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতার অভাব অনুভব করে, তখন তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারায়। এর ফলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় এবং সত্যিকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি আমাদের সমাজের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং আমাদের দেশকে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করছে।

টিআইবির জরিপে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট বিভাগ, বিআরটিএ, বিচার বিভাগ এবং ভূমি সেবার মতো খাতগুলো রয়েছে। দুর্নীতি এবং ঘুষের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতগুলোতে বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে অব্যাহত দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, আর এ থেকেই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের জন্ম হচ্ছে।

ঘুষ, দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের কারণে সমাজে একদিকে অল্পসংখ্যক লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে, অন্যদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের কশাঘাতে পিষ্ট হচ্ছে। ব্যাংকের ঋণ সুবিধা গুটিকয়েক মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, এবং ঋণখেলাপির পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। এর ফলে শিল্পায়ন বা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না এবং গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে না। বিশেষ করে পাটশিল্প, চিনিশিল্প, তাঁতশিল্পের মতো খাতগুলো দুর্নীতির কারণে ধুঁকছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে লুটপাট হচ্ছে এবং জনগণের করের টাকায় তৈরি প্রকল্পগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন এবং তার কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ এবং টাকা পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে এবং তাদের অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত। দেশের প্রতিটি সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সুধীর বরণ মাঝি

শিক্ষক, হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়

back to top