পরিবহন খাতে যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নিত্য দিনের যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। যাত্রীদের বিভিন্ন দুর্বলতা কে পুঁজি করে কিছু অসাধু পরিবহন চালক দিনের পর দিন সিন্ডিকেট তৈরি করে আসছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা চালক। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ হিসেবে তারা জ্বালানি দাম বৃদ্ধি, পরিবহন সংকট, যানজট, বৃষ্টি, অন্ধকার রাতসহ নানা অজুহাত দাঁড় করান। যার কারণে একদিকে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তির শিকার তেমনি ভাড়া সিন্ডিকেটে ফাঁকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পকেট।
ভাড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ হলেও দিনশেষে তার কোনো প্রতিকার এখনো মেলেনি। সরকারের পক্ষ থেকে এবং পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বে বেশ কয়েকবার ভাড়া সিন্ডিকেট প্রতিকারের কথা বললেও কেন জানি কোনো এক অজানা কারণে তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
দেশের বর্তমান টালমাটাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে নতুন করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রাত হলেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি প্রবল আকার ধারণ করছে। রাতের অজুহাত দিয়ে যাত্রীর দুর্বলতাকে ব্যবহার করে গাড়ি চালকরা ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করছেন। ফলে নিরুপায় হয়ে একজন সাধারণ যাত্রীকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেখানে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সেখানে ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি দূরীকরণ কার দায়িত্ব? কবে আসবে বাড়তি ভাড়া আদায়ে সিন্ডিকেটের সমাধান? বর্তমান সরকার কি এগিয়ে আসবে সমস্যা সমাধানে? নাকি বছরের পর বছর এভাবেই চলতে থাকবে?
মুজাহিদুল ইসলাম,
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
পরিবহন খাতে যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নিত্য দিনের যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। যাত্রীদের বিভিন্ন দুর্বলতা কে পুঁজি করে কিছু অসাধু পরিবহন চালক দিনের পর দিন সিন্ডিকেট তৈরি করে আসছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা চালক। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ হিসেবে তারা জ্বালানি দাম বৃদ্ধি, পরিবহন সংকট, যানজট, বৃষ্টি, অন্ধকার রাতসহ নানা অজুহাত দাঁড় করান। যার কারণে একদিকে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তির শিকার তেমনি ভাড়া সিন্ডিকেটে ফাঁকা হচ্ছে সাধারণ মানুষের পকেট।
ভাড়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনেক প্রতিবাদ হলেও দিনশেষে তার কোনো প্রতিকার এখনো মেলেনি। সরকারের পক্ষ থেকে এবং পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বে বেশ কয়েকবার ভাড়া সিন্ডিকেট প্রতিকারের কথা বললেও কেন জানি কোনো এক অজানা কারণে তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
দেশের বর্তমান টালমাটাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে নতুন করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রাত হলেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি প্রবল আকার ধারণ করছে। রাতের অজুহাত দিয়ে যাত্রীর দুর্বলতাকে ব্যবহার করে গাড়ি চালকরা ইচ্ছা মতো ভাড়া আদায় করছেন। ফলে নিরুপায় হয়ে একজন সাধারণ যাত্রীকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেখানে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সেখানে ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি দূরীকরণ কার দায়িত্ব? কবে আসবে বাড়তি ভাড়া আদায়ে সিন্ডিকেটের সমাধান? বর্তমান সরকার কি এগিয়ে আসবে সমস্যা সমাধানে? নাকি বছরের পর বছর এভাবেই চলতে থাকবে?
মুজাহিদুল ইসলাম,
ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ