প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা; কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। একটা সময় কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন- পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এডিস মশার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তনের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন স্বচ্ছ পানির পাশাপাশি বদ্ধ ও নোংরা পানিতে ও এডিস মশার বিস্তার ঘটতে দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণ ও দুই সিটি কর্পোরেশনের ভূল পদ্ধতির মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কারণে এডিস মশার আচরণ বদলে গেছে। অন্যদিকে দুই সিটির বিভিন্ন নোংরা খাল ও জলাশয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ঢিলেভাবে চলার কারণে এডিস মশার প্রভাব বাড়ছে। এখন শুধু ওষুধ ছিটিয়ে কিংবা একটি-দুটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। খাল-ডোবা রয়েছে এমন এলাকা এডিস মশার বিস্তারের জন্য উপযোগী। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকে অবশ্যই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে খাল ও জলাশয় ব্যবস্থাপনার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজধানীর খালের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাড়ে তিন বছর আগে। ঢাকা ওয়াসা আগে সেই দায়িত্ব সামলেছে। কিন্তু খাল ও জলাশয়ের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কোনো সিটি কর্পোরেশনই এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জোড়াতালি দিয়ে চলছে দখল উচ্ছেদ,খনন, পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। এভাবে খালগুলোর টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সে কারণেই ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৬টি খাল বুঝে পায় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই দুটি সিটি কর্পরেশন খাল পরিস্কারের বেশ কর্মযজ্ঞ চালায়। এর প্রভাবে ঐ সময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যায়। তবে এরপর খাল পরিস্কারের কর্মকা- নিয়মিত না হওয়ায় কয়েক মাসের ব্যবধানে আগের অবস্থায় ফিরে খালগুলো।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়, সিলেট
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা; কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। একটা সময় কীটতত্ত্ববিদরা বলেছেন- পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এডিস মশার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তনের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন স্বচ্ছ পানির পাশাপাশি বদ্ধ ও নোংরা পানিতে ও এডিস মশার বিস্তার ঘটতে দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণ ও দুই সিটি কর্পোরেশনের ভূল পদ্ধতির মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কারণে এডিস মশার আচরণ বদলে গেছে। অন্যদিকে দুই সিটির বিভিন্ন নোংরা খাল ও জলাশয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে ঢিলেভাবে চলার কারণে এডিস মশার প্রভাব বাড়ছে। এখন শুধু ওষুধ ছিটিয়ে কিংবা একটি-দুটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে ঢাকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। খাল-ডোবা রয়েছে এমন এলাকা এডিস মশার বিস্তারের জন্য উপযোগী। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকে অবশ্যই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে খাল ও জলাশয় ব্যবস্থাপনার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।
রাজধানীর খালের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য দুই সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাড়ে তিন বছর আগে। ঢাকা ওয়াসা আগে সেই দায়িত্ব সামলেছে। কিন্তু খাল ও জলাশয়ের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে কোনো সিটি কর্পোরেশনই এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জোড়াতালি দিয়ে চলছে দখল উচ্ছেদ,খনন, পরিষ্কার ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। এভাবে খালগুলোর টেকসই উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সে কারণেই ঢাকায় দিন দিন বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৬টি খাল বুঝে পায় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই দুটি সিটি কর্পরেশন খাল পরিস্কারের বেশ কর্মযজ্ঞ চালায়। এর প্রভাবে ঐ সময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যায়। তবে এরপর খাল পরিস্কারের কর্মকা- নিয়মিত না হওয়ায় কয়েক মাসের ব্যবধানে আগের অবস্থায় ফিরে খালগুলো।
আব্বাসউদ্দিন আহমদ
ধোপাদিঘীর দক্ষিণপাড়, সিলেট