লক্ষ্মীপুর : কমলনগরে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লোকালয় -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬-৭ ফুট বেশি জোয়ারের পানি নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে লোকালয় পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত বুধবার থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কষ্টকর হয়ে পড়ে। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, সাহেবের হাট, পাটোয়ারীর হাট, চর মার্টিন ও কালকিনি ইউনিয়নের বেশিরভাগ অঞ্চল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
দেখা যায় লোকালয়েও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোত। এতে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচাপাকা নিচু ঘর, ভিটি পানিতে ডুবে যায়। জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ারে ক্ষেতের ধান নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীর গতিতে মেঘনা নদীর তীর রক্ষাবাঁধ কাজ চলছে। পাঁচ বছর শেষ হতে চললেও বাঁধের দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকা প্রতি বছরই প্লাবিত হয়। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হলে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেত উপকূলের বাসিন্দারা।
কমলনগরের চর ফলকন ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, মো. দিদার ও হোসেন মিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের পুরো বাড়ি ডুবে গেছে। নিচু ভিটির ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। সবাইকে চকি-খাটে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে ছিল। ভাত রান্না করার মাটির চুলা নষ্ট হয়ে গেছে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।
এই ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত উজ্জামান বলেন, কমলনগরের উপকূলীয় অঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে আবার সন্ধ্যার পর পরই জোয়ারের পানি নেমে যায় তবুও আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
লক্ষ্মীপুর : কমলনগরে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে লোকালয় -সংবাদ
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬-৭ ফুট বেশি জোয়ারের পানি নদী থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে লোকালয় পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে।
গত বুধবার থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কষ্টকর হয়ে পড়ে। কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, সাহেবের হাট, পাটোয়ারীর হাট, চর মার্টিন ও কালকিনি ইউনিয়নের বেশিরভাগ অঞ্চল জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
দেখা যায় লোকালয়েও জোয়ারের পানির তীব্র স্রোত। এতে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও কাঁচাপাকা নিচু ঘর, ভিটি পানিতে ডুবে যায়। জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ারে ক্ষেতের ধান নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীর গতিতে মেঘনা নদীর তীর রক্ষাবাঁধ কাজ চলছে। পাঁচ বছর শেষ হতে চললেও বাঁধের দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকা প্রতি বছরই প্লাবিত হয়। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হলে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেত উপকূলের বাসিন্দারা।
কমলনগরের চর ফলকন ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, মো. দিদার ও হোসেন মিয়া বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের পুরো বাড়ি ডুবে গেছে। নিচু ভিটির ঘরের ভেতরে পানি ঢুকেছে। সবাইকে চকি-খাটে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট পানির নিচে ছিল। ভাত রান্না করার মাটির চুলা নষ্ট হয়ে গেছে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। জোয়ারে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।
এই ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত উজ্জামান বলেন, কমলনগরের উপকূলীয় অঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে আবার সন্ধ্যার পর পরই জোয়ারের পানি নেমে যায় তবুও আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।