মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া -সংবাদ
নববর্ষ ১৪৩২ বাংলার পহেলা বৈশাখকে স্বাগত উপলক্ষে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রাকে ঘিরে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলের দুই পক্ষ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মীরসরাই পৌর সদরে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা বাদশাহ (৪২), আনোয়ার হোসেন (৪৮), শহিদুল ইসলাম (৫২), আলাউদ্দিন (৩৮), সাখাওয়াত হোসেন (২৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৮) রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে বিএনপির শোভাযাত্রা বের করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সমর্থকরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন গাজী নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলমগীর। মিছিল শেষে ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সূচনা হয়।
পরে বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্য গ্রুপের শোভাযাত্রা বের হয়। তাদের মিছিলে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে নেতাকর্মীদের দেখা যায়। মিছিল শেষে কিছু কর্মী কোর্ট রোড এলাকায় অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা আবারও শোভাযাত্রা বের করেন। এই মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। কালীবাড়ি মন্দিরের সামনে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মিছিলকারীদের স্লোগান গোটা এলাকা থমথমে হয়ে পড়ে।
বিএনপির দুই পক্ষই অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছি। আমাদের ওপর অন্য পক্ষ হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, আমাদের মিছিলও শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনো সংঘর্ষে আমরা জড়াইনি।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে এ ঘটনায় এখরও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
নববর্ষ ১৪৩২ বাংলার পহেলা বৈশাখকে স্বাগত উপলক্ষে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রাকে ঘিরে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দলের দুই পক্ষ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মীরসরাই পৌর সদরে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে বিএনপি নেতা বাদশাহ (৪২), আনোয়ার হোসেন (৪৮), শহিদুল ইসলাম (৫২), আলাউদ্দিন (৩৮), সাখাওয়াত হোসেন (২৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৮) রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে বিএনপির শোভাযাত্রা বের করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের সমর্থকরা। মিছিলের নেতৃত্ব দেন গাজী নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আলমগীর। মিছিল শেষে ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সূচনা হয়।
পরে বিকেলে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের অনুসারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্য গ্রুপের শোভাযাত্রা বের হয়। তাদের মিছিলে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে নেতাকর্মীদের দেখা যায়। মিছিল শেষে কিছু কর্মী কোর্ট রোড এলাকায় অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা আবারও শোভাযাত্রা বের করেন। এই মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। কালীবাড়ি মন্দিরের সামনে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মিছিলকারীদের স্লোগান গোটা এলাকা থমথমে হয়ে পড়ে।
বিএনপির দুই পক্ষই অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছি। আমাদের ওপর অন্য পক্ষ হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, আমাদের মিছিলও শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনো সংঘর্ষে আমরা জড়াইনি।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে এ ঘটনায় এখরও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।