alt

সারাদেশ

মহেশপুর হাসপাতাল নিজেই রোগী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কার্যক্রম

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : শয্যা না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা -সংবাদ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখানে চিকিৎসা সেবার চেয়ে সংকটের তালিকাই এখন বড়। প্রতি মাসে যেখানে গড়ে ১৪ থেকে ১৮টি সিজার হতো, সেখানে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও অপারেশন হচ্ছে না। অযত্নে পড়ে আছে লেবার ওয়ার্ডের অপারেশন থিয়েটার। শুধু লেবার ওয়ার্ড নয়, একই অবস্থা অন্যান্য বিভাগেও। বহির্বিভাগে মেডিকেল কর্মকর্তার নেমপ্লেট থাকলেও রোগী দেখছেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা। জরুরি বিভাগ বেহালদশা, ল্যাবে নেই এক্স-রে বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেবা। এমন অসংখ্য সংকটে ভুগছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পদ থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটিতে কখনোই আসেননি কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বর্তমানে পাঁচজন মেডিকেল কর্মকর্তা ও দশজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা আন্তঃবিভাগ ও জরুরি বিভাগে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন অন্তত সাড়ে তিনশ রোগী। অথচ ২১টি অনুমোদিত ডাক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৭টি পদই শূন্য পড়ে আছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মানের পাশাপাশি খাবারের মান নিয়েও রোগী ও স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই, অপারেশন তো বহুদিন বন্ধ। এমন হাসপাতালে এসে লাভ কী! রোগীর স্বজন শিউলি আক্তারের অভিযোগ, আমার বোনকে প্রসবের জন্য আনা হয়েছিল, কিন্তু এখানে সিজার হয় না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হয়েছে। খরচও অনেক বেড়ে গেছে।

জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, জনবল সংকট থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে বড় হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে।প্রতিদিন ভিড় জমে এই হাসপাতালে। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকলে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ছবি

মৎস্য ঘেরের দখল নিয়ে গোলাগুলি, একজন নিহত

ছবি

পাটুরিয়ায় ব্যাপক ভাঙন, একটি ফেরিঘাট বন্ধ, অন্যটি বন্ধের পথে

ছবি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি স্মারকলিপি দিয়ে ফিরলেন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৬৬, ১ জনের মৃত্যু

ছবি

হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষ হতে পারে অক্টোবরে, আশা প্রসিকিউশনের

ছবি

রিকশাচালক আজিজুরের জামিন, কিসের ভিত্তিতে আটক? জানতে চেয়েছে সরকার

ছবি

গৌরীপুরে বেগুন গাছে টমেটো চাষ কৃষক শহিদুল্লাহর বাজিমাত

ছবি

নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালকের মৃত্যু

ছবি

মোড়েলগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

ছবি

চকরিয়ায় চিংড়িজোনের মাছের ঘেরে নিহত ১

ছবি

মান্দায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

ছবি

ওলকচুর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বাড়ছে বোয়ালখালীতে

ছবি

বড়াইগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দামুড়হুদা টেলিফোন অফিসের বেহাল দশা

ছবি

ডুবেছে সাড়ে দশ হাজার বিঘা জমির ধান

ছবি

মুন্সীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক স্থানে দুই অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা, আহত ৬

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া-কাটাখালী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

ভালুকায় দুর্ধর্ষ চুরি

ছবি

ইন্দুরকানীতে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

ছবি

মাগুরা শহরে থেকে বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

ছবি

দোহারে বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ

ছবি

তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

ছবি

সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

গৌরীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি

পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, আটক ১

ছবি

কুয়াকাটায় এক ইলিশ ৫ হাজারে বিক্রি

ছবি

ঠিকাদারের হস্তান্তরের আগেই বাঁধে ধস

ছবি

সমাজ বিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগে বোর্ডের এক্সপার্ট হচ্ছে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের

ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে সবজি-ফল রপ্তানির সম্ভাবনা কালীগঞ্জে রপ্তানিকারক কৃষকদের জন্য ‘প্যাকিং হাউস’ নির্মাণের দাবি

ছবি

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২

ছবি

গ্রাহকের টাকা না দিয়ে লাপাত্তা সমিতির মালিক

ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে সড়ক নির্মাণ বন্ধের পাঁয়তারা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ৫২ গাঁজা গাছসহ আটক ১ প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

ছবি

চকরিয়ায় ২২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের গলার কাঁটা ‘প্রিপেইড মিটার’

ছবি

সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ভোগান্তির শিকার

ছবি

স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামীর আত্মহত্যা

tab

সারাদেশ

মহেশপুর হাসপাতাল নিজেই রোগী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কার্যক্রম

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : শয্যা না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা -সংবাদ

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখানে চিকিৎসা সেবার চেয়ে সংকটের তালিকাই এখন বড়। প্রতি মাসে যেখানে গড়ে ১৪ থেকে ১৮টি সিজার হতো, সেখানে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও অপারেশন হচ্ছে না। অযত্নে পড়ে আছে লেবার ওয়ার্ডের অপারেশন থিয়েটার। শুধু লেবার ওয়ার্ড নয়, একই অবস্থা অন্যান্য বিভাগেও। বহির্বিভাগে মেডিকেল কর্মকর্তার নেমপ্লেট থাকলেও রোগী দেখছেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা। জরুরি বিভাগ বেহালদশা, ল্যাবে নেই এক্স-রে বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেবা। এমন অসংখ্য সংকটে ভুগছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পদ থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটিতে কখনোই আসেননি কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বর্তমানে পাঁচজন মেডিকেল কর্মকর্তা ও দশজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা আন্তঃবিভাগ ও জরুরি বিভাগে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন অন্তত সাড়ে তিনশ রোগী। অথচ ২১টি অনুমোদিত ডাক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৭টি পদই শূন্য পড়ে আছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মানের পাশাপাশি খাবারের মান নিয়েও রোগী ও স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ নেই, অপারেশন তো বহুদিন বন্ধ। এমন হাসপাতালে এসে লাভ কী! রোগীর স্বজন শিউলি আক্তারের অভিযোগ, আমার বোনকে প্রসবের জন্য আনা হয়েছিল, কিন্তু এখানে সিজার হয় না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে হয়েছে। খরচও অনেক বেড়ে গেছে।

জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, জনবল সংকট থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে বড় হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে।প্রতিদিন ভিড় জমে এই হাসপাতালে। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা না থাকলে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

back to top