কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) : আড়তে না নিয়ে রাস্তার পাশে ফুটি-বাঙ্গি বিক্রি করছেন কৃষকরা -সংবাদ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চাষকৃত বাঙ্গি আড়তে নয় সড়কের পাশে রেখেই বিক্রি করতে দেখা যায়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানান তারা। এর আগে এই পরিপক্ক বাঙ্গি বিক্রি করা হতো আড়তে। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ফুটি বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি করতে স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজারে অস্থায়ী আড়তে নিয়ে যেতেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এই আড়তে গিয়ে কৃষিপণ্য ক্রয় করে নিয়ে যেতেন অন্যান্য হাটবাজারে। গত দুই বছর যাবৎ আড়তে তেমন কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে দেখা যায় না কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের ন্যায্য লাভের আশায় নলুয়া, কুমুরিয়া, মাছ পাড়া, তেঁতুল বাড়ী, গোলাবাড়ী, চকপুকুরিয়া, বুরুয়া এলাকার কৃষকরা সড়কের পাশে রেখে ফুটি-বাঙ্গী বিক্রি করছেন।
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, সরাসরি জমি থেকে বাঙ্গি যদি সড়কের পাশে রেখে বিক্রি করা হয় তাহলে আড়তদারি খরচ, লেবার খরচ আড়ত পর্যন্ত যেতে পরিবহন খরচ কিছুই দেয়া লাগে না। পাইকারদের কাছে সরাসরি বিক্রি করা যায় এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হন। এই বিষয়ে হিজল বাড়ি গ্রামের বাঙ্গি চাষি পরিতোষ হালদার বলেন, আমরা রাস্তায় এনে বাঙ্গি বিক্রি করি একটাই কারণ, আড়তে বিক্রি করলে আড়তদােেররা শতকরা ৭ টাকা কমিশন নিয়ে নেয়, প্রতি পিস বাঙ্গি থেকে লেবার খরচ নেয় দুই টাকা, খাজনা বাবদ নেয় ১ টাকা এই টাকাটা বাদ দিয়েই পাইকাররা বাঙ্গির দাম করে, এতে কৃষকরা প্রতারিত হয়। আমরা যদি আড়ত বাদ দিয়ে সরাসরি রাস্তায় এনে বিক্রি করি তাহলে এই টাকাটা আমাদের মালের (বাঙ্গির) ওপর পরে যা কিনা বেশি দাম দিয়ে পাইকারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নেয় আমরাও লাভবান হই।
শরীয়তপুরের কাজিরহাট থেকে বাঙ্গি ক্রয় করতে আসা থেকে মো. শফিউল বলেন, আগে আড়ত থেকে বাঙ্গি ক্রয় করতাম এখন মাঠে পাওয়া যায় বলে খরচ একটু কম হয়, বর্তমানে আড়তে কেনাবেচা কম হয়। এদিকে (সড়কের পাশে) কেনাবেচা বেশি হয় এ কারণে এখান থেকেই বাঙ্গি কিনে নেই, আমরাও লাভবান হই।
কালিগঞ্জ বাজারের তরজমু ফুটি আড়তদার অসীম হালদার বলেন, কিছু কুচক্রী মহল কালিগঞ্জ বাজারে তরমুজ বাঙ্গি আড়তদারদের সম্পর্কে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে এতে আমাদের ফুটি তরমুজ বিক্রির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) : আড়তে না নিয়ে রাস্তার পাশে ফুটি-বাঙ্গি বিক্রি করছেন কৃষকরা -সংবাদ
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চাষকৃত বাঙ্গি আড়তে নয় সড়কের পাশে রেখেই বিক্রি করতে দেখা যায়। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলে জানান তারা। এর আগে এই পরিপক্ক বাঙ্গি বিক্রি করা হতো আড়তে। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ফুটি বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি করতে স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজারে অস্থায়ী আড়তে নিয়ে যেতেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এই আড়তে গিয়ে কৃষিপণ্য ক্রয় করে নিয়ে যেতেন অন্যান্য হাটবাজারে। গত দুই বছর যাবৎ আড়তে তেমন কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে দেখা যায় না কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের ন্যায্য লাভের আশায় নলুয়া, কুমুরিয়া, মাছ পাড়া, তেঁতুল বাড়ী, গোলাবাড়ী, চকপুকুরিয়া, বুরুয়া এলাকার কৃষকরা সড়কের পাশে রেখে ফুটি-বাঙ্গী বিক্রি করছেন।
কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়, সরাসরি জমি থেকে বাঙ্গি যদি সড়কের পাশে রেখে বিক্রি করা হয় তাহলে আড়তদারি খরচ, লেবার খরচ আড়ত পর্যন্ত যেতে পরিবহন খরচ কিছুই দেয়া লাগে না। পাইকারদের কাছে সরাসরি বিক্রি করা যায় এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হন। এই বিষয়ে হিজল বাড়ি গ্রামের বাঙ্গি চাষি পরিতোষ হালদার বলেন, আমরা রাস্তায় এনে বাঙ্গি বিক্রি করি একটাই কারণ, আড়তে বিক্রি করলে আড়তদােেররা শতকরা ৭ টাকা কমিশন নিয়ে নেয়, প্রতি পিস বাঙ্গি থেকে লেবার খরচ নেয় দুই টাকা, খাজনা বাবদ নেয় ১ টাকা এই টাকাটা বাদ দিয়েই পাইকাররা বাঙ্গির দাম করে, এতে কৃষকরা প্রতারিত হয়। আমরা যদি আড়ত বাদ দিয়ে সরাসরি রাস্তায় এনে বিক্রি করি তাহলে এই টাকাটা আমাদের মালের (বাঙ্গির) ওপর পরে যা কিনা বেশি দাম দিয়ে পাইকারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নেয় আমরাও লাভবান হই।
শরীয়তপুরের কাজিরহাট থেকে বাঙ্গি ক্রয় করতে আসা থেকে মো. শফিউল বলেন, আগে আড়ত থেকে বাঙ্গি ক্রয় করতাম এখন মাঠে পাওয়া যায় বলে খরচ একটু কম হয়, বর্তমানে আড়তে কেনাবেচা কম হয়। এদিকে (সড়কের পাশে) কেনাবেচা বেশি হয় এ কারণে এখান থেকেই বাঙ্গি কিনে নেই, আমরাও লাভবান হই।
কালিগঞ্জ বাজারের তরজমু ফুটি আড়তদার অসীম হালদার বলেন, কিছু কুচক্রী মহল কালিগঞ্জ বাজারে তরমুজ বাঙ্গি আড়তদারদের সম্পর্কে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে এতে আমাদের ফুটি তরমুজ বিক্রির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।