গোবিন্দগঞ্জ : সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজে ধীরগতি -সংবাদ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৭ বছরেই শেষ না হওয়ায় কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষাথীরা। অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ নির্মাণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলা ও গাফিলতি থাকায় এই একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ও প্রসারে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সোনারপাড়া এলাকায় ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬শ ২৮ টাকা ব্যয় গোবিন্দগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণ কাজ করা শুরু করে। ৩ একর জমির ওপর ৫তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও ৪তলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৭ জুনে কার্যাদেশ প্রদান করে মেসার্স এসিএল অ্যান্ড এইচ সিও জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। কার্যাদেশে উল্লেখ করা হয় ৫শ’ ৪০ দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ না করেই মাত্র ২০ শতাংশ কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়। ঠিকাদারের এমন উদাসীনতায় উপজেলার একমাত্র সরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ দীর্ঘ প্রায় ৮ বছরেও শেষ হয়নি। এতে কারিগরি শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার ছেলে-মেয়েরা। পাশাপাশি এ অবস্থায় প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ভবনের বিমের রড, খোয়াসহ অন্যান্য সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়াও বিমের বাইরে থাকা অতিরিক্ত রড রোদ বৃষ্টিতের মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
বর্র্ধনকুঠি এলাকার আবুল মিয়া বলেন সরকার কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব দিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এর নির্মাণ কাজ থেমে রয়েছে। একই সঙ্গে নির্মাণ কাজ শুরু করে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তথচ গোবিন্দগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভবনটি নির্মাণ কাজ ৮ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত যদি এই নির্মাণ কাজ শুরু করা না হয় পরবর্তীতে এই বিমের ওপর আবারও কাজ শুরু করলে ভবনটির টেকসই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
মাগুড়া কেশবপুর গ্রামের জামিলা বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে খোয়া, রড, বালুসহ মূল্যবান নির্মাণ সামগ্রী। আবার রাতের আধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে রডসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী।
বর্ধণকুঠি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুস সামাদ বলেন সঠিক তদারকির অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ দায়ী। তিনি সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালুর দাবি জানান।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য একাধিকবার নোটিস করলেও কাজ শেষ না করায় তার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারিগরি শিক্ষা বিকাশে ভবন নির্মাণ কাজের সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলার একমাত্র সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেবে এমন দাবি এলাকাবাসীর।
গোবিন্দগঞ্জ : সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজে ধীরগতি -সংবাদ
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৭ বছরেই শেষ না হওয়ায় কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষাথীরা। অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ নির্মাণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলা ও গাফিলতি থাকায় এই একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ও প্রসারে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সোনারপাড়া এলাকায় ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬শ ২৮ টাকা ব্যয় গোবিন্দগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণ কাজ করা শুরু করে। ৩ একর জমির ওপর ৫তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও ৪তলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৭ জুনে কার্যাদেশ প্রদান করে মেসার্স এসিএল অ্যান্ড এইচ সিও জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। কার্যাদেশে উল্লেখ করা হয় ৫শ’ ৪০ দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ না করেই মাত্র ২০ শতাংশ কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়। ঠিকাদারের এমন উদাসীনতায় উপজেলার একমাত্র সরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ দীর্ঘ প্রায় ৮ বছরেও শেষ হয়নি। এতে কারিগরি শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার ছেলে-মেয়েরা। পাশাপাশি এ অবস্থায় প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ভবনের বিমের রড, খোয়াসহ অন্যান্য সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়াও বিমের বাইরে থাকা অতিরিক্ত রড রোদ বৃষ্টিতের মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে।
বর্র্ধনকুঠি এলাকার আবুল মিয়া বলেন সরকার কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব দিয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এর নির্মাণ কাজ থেমে রয়েছে। একই সঙ্গে নির্মাণ কাজ শুরু করে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তথচ গোবিন্দগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভবনটি নির্মাণ কাজ ৮ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত যদি এই নির্মাণ কাজ শুরু করা না হয় পরবর্তীতে এই বিমের ওপর আবারও কাজ শুরু করলে ভবনটির টেকসই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
মাগুড়া কেশবপুর গ্রামের জামিলা বেগম বলেন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে খোয়া, রড, বালুসহ মূল্যবান নির্মাণ সামগ্রী। আবার রাতের আধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে রডসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী।
বর্ধণকুঠি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুস সামাদ বলেন সঠিক তদারকির অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ দায়ী। তিনি সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালুর দাবি জানান।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য একাধিকবার নোটিস করলেও কাজ শেষ না করায় তার কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে টেন্ডারের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারিগরি শিক্ষা বিকাশে ভবন নির্মাণ কাজের সকল জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উপজেলার একমাত্র সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেবে এমন দাবি এলাকাবাসীর।