বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য সৃষ্ট হয়েছে হুমকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। এতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। বিভিন্ন এলাকায় পানি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। কিছু পরিবার উঁচু স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় জননিরাপত্তার স্বার্থে হাতিয়া-চট্টগ্রাম ও হাতিয়া-নোয়াখালী নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা সাংবাদিকদের জানান, জোয়ারের ফলে নিঝুমদ্বীপের সব পুকুর, দিঘি ভেসে গেছে। প্রধান সড়কসহ সব সড়ক তলিয়ে গেছে। জোয়ার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হচ্ছে। মানুষের বসতঘর, কৃষি জমিও তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রতিবছর জোয়ারে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, দোকান, গবাদিপশু, ফসলি জমি। ৭ লাখ মানুষের এই দ্বীপে নেই স্থায়ী বেড়িবাঁধ, আছে শুধু নিঃসঙ্গতা আর অবহেলা। কেউ কেউ ত্রাণ নিয়ে আসে, কিন্তু আমরা আর ত্রাণ চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমাদের দাবি—নদীভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ ও নিরাপদ জীবন। এটা করুণা নয়, আমাদের অধিকার।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌযোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিঝুমদ্বীপসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা খোঁজ রাখছি। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য সৃষ্ট হয়েছে হুমকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। এতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। বিভিন্ন এলাকায় পানি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে। কিছু পরিবার উঁচু স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় জননিরাপত্তার স্বার্থে হাতিয়া-চট্টগ্রাম ও হাতিয়া-নোয়াখালী নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা সাংবাদিকদের জানান, জোয়ারের ফলে নিঝুমদ্বীপের সব পুকুর, দিঘি ভেসে গেছে। প্রধান সড়কসহ সব সড়ক তলিয়ে গেছে। জোয়ার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হচ্ছে। মানুষের বসতঘর, কৃষি জমিও তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রতিবছর জোয়ারে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, দোকান, গবাদিপশু, ফসলি জমি। ৭ লাখ মানুষের এই দ্বীপে নেই স্থায়ী বেড়িবাঁধ, আছে শুধু নিঃসঙ্গতা আর অবহেলা। কেউ কেউ ত্রাণ নিয়ে আসে, কিন্তু আমরা আর ত্রাণ চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান। আমাদের দাবি—নদীভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ ও নিরাপদ জীবন। এটা করুণা নয়, আমাদের অধিকার।
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌযোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিঝুমদ্বীপসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা খোঁজ রাখছি। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।