ভৈরব : পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান -সংবাদ
খাদ্যপণ্যের মোড়কে অসত্য তথ্য উল্লেখ এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরির দায়ে ভৈরব পৌর শহরের রাণীর বাজার ও ঘোড়াকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া কারখানায় নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাদ্যপণ্যের মোড়কে মিথ্যা তথ্য থাকায় কারখানা তিনটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। অর্থদ- তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করায় তিন প্রতিষ্ঠানের মালিককে সাজা না দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়।
দ-িত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খাঁজা ফুড প্রোডাক্টসের বেকারি মালিক মিজান মিয়াকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স হক অটো মুড়ি ফ্যাক্টরি ও তালুকদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক নুরুল হক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা ও মোল্লা ফুড প্রোডাক্টসের মালিক কাইয়ুম মিয়াকে ১ লাখ টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের কথা শুনে মুন্না মুম্বাই ফুড প্রোডাক্টসের মালিক প্রতিষ্ঠানটি তালা দিয়ে পালিয়ে গেলে মালিক আব্দুর রহমানকে আদালতে হাজির করতে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম। শনিবার দুপুর ২টায় শহরের রাণীর বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নোমান আহমেদ পিপিএম, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল, ভৈরব পৌর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমসহ জেলা ব্যাটালিয়ান আনসার ও ভৈরব শহর ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের চলমান খাদ্যের ভেজাল নির্মূলের জন্য বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ভৈরবে বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টস্ ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি না থাকায় খাঁজা ফুড প্রোডাক্টসের বেকারি মালিক মিজান মিয়াকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স হক অটো মুড়ি ফ্যাক্টরি ও তালুকদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক নুরুল হক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা ও মোল্লা ফুড প্রোডাক্টসের মালিক কাইয়ুম মিয়াকে ১ লাখ টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে মুন্না মুম্বাই ফুড প্রোডাক্টসের মালিক প্রতিষ্ঠানটি তালা দিয়ে পালিয়ে গেলে মালিক আব্দুর রহমানকে আদালতে হাজির করতে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ভেজাল খাদ্যে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান ও ক্যান্সারের উপাদানসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেটের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ফুড কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভৈরবে অভিযান পরিচালনা করে তিন ফ্যাক্টরিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মুন্না ফুড ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ কারখানা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
ভৈরব : পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান -সংবাদ
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
খাদ্যপণ্যের মোড়কে অসত্য তথ্য উল্লেখ এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরির দায়ে ভৈরব পৌর শহরের রাণীর বাজার ও ঘোড়াকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া কারখানায় নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাদ্যপণ্যের মোড়কে মিথ্যা তথ্য থাকায় কারখানা তিনটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। অর্থদ- তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করায় তিন প্রতিষ্ঠানের মালিককে সাজা না দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়।
দ-িত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খাঁজা ফুড প্রোডাক্টসের বেকারি মালিক মিজান মিয়াকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স হক অটো মুড়ি ফ্যাক্টরি ও তালুকদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক নুরুল হক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা ও মোল্লা ফুড প্রোডাক্টসের মালিক কাইয়ুম মিয়াকে ১ লাখ টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানের কথা শুনে মুন্না মুম্বাই ফুড প্রোডাক্টসের মালিক প্রতিষ্ঠানটি তালা দিয়ে পালিয়ে গেলে মালিক আব্দুর রহমানকে আদালতে হাজির করতে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম। শনিবার দুপুর ২টায় শহরের রাণীর বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নোমান আহমেদ পিপিএম, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পাল, ভৈরব পৌর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমসহ জেলা ব্যাটালিয়ান আনসার ও ভৈরব শহর ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দেশের চলমান খাদ্যের ভেজাল নির্মূলের জন্য বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ভৈরবে বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টস্ ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি না থাকায় খাঁজা ফুড প্রোডাক্টসের বেকারি মালিক মিজান মিয়াকে ২ লাখ টাকা, মেসার্স হক অটো মুড়ি ফ্যাক্টরি ও তালুকদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক নুরুল হক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা ও মোল্লা ফুড প্রোডাক্টসের মালিক কাইয়ুম মিয়াকে ১ লাখ টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে মুন্না মুম্বাই ফুড প্রোডাক্টসের মালিক প্রতিষ্ঠানটি তালা দিয়ে পালিয়ে গেলে মালিক আব্দুর রহমানকে আদালতে হাজির করতে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, ভেজাল খাদ্যে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান ও ক্যান্সারের উপাদানসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ উপাদান পাওয়া যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেটের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ফুড কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভৈরবে অভিযান পরিচালনা করে তিন ফ্যাক্টরিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মুন্না ফুড ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ কারখানা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব খাদ্য অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।