সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর তীরে বিসিক শিল্প পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
অবকাঠামোগত কাজ শেষে এখন প্রস্তুতি চলছে প্লট বরাদ্দের। এরই মধ্যে প্লট বরাদ্দের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা। শিল্প পার্কটি চালু হলে এই অঞ্চলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্বও দূর হবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, পার্কটি চালু হলে অন্তত; এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এ নিয়ে স্থানীয় মানুষরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছে।
স্থানীয়রা বলছেন একজন বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে অনেক লোক আসবে উদ্যোক্তারা আসবে। আমরা সহযোগিতা করবো। এখানকার যে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এর পণ্য সুন্দরভাবে দক্ষিণাঞ্চলেও পরিবহন করতে পারবে।’
তারা আরো বলছেন, সড়ক নৌ ও রেল পথের সুব্যবস্থা থাকায় বিসিক শিল্প পার্কের উদ্যোক্তারা বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি স্বল্প খরচে ও কম সময়ে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবেন। শ্রম বাজার সৃষ্টি হলে দূর হবে বেকারত্ব, এতে এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
এ বিষয়ে কথা হয় পার্কের পাশের স্থানীয় মানুষ দবির উদ্দিন। তিনি বলেন, পার্কটি চালু হলে আমাদের এলাকার মানুষের কর্মসংস্খানের পাশাপাশি নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের স্থানীয়রা নানান ধরনের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের ভগ্যোর উন্নয়ন ঘটবে।
বিসিক শিল্পপার্ক নির্মাণ হলেও এখনো প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। ফলে এ অঞ্চলটিতে শিল্পায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের পরপরই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার বিধান রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা প্লট বরাদ্দ পেতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করে আসছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে।
উদ্যোক্তারা বলেন, ঢাকা উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের পাশেই গড়ে ওঠা শিল্পপার্কের চারদিকে বিশেষ সুবিধার কারণে আমরা এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। অনেকদিন ধরেই আমরা প্লট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। কিন্তু প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি না দেয়ায় পিছিয়ে পড়ছি এবং শিল্পায়নে এ অঞ্চল পিছিয়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘ সিরাজগঞ্জ কৃষি প্রধান এলাকা হলেও এখানে শিল্পের উন্নতির জন্য যথেষ্ট স্কোপ আছে। এ জায়গাটিতে সড়ক পথ, নৌ পথ, রেল পথ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ আছে। নদীর পাশে বিসিক শিল্প পার্ক গড়ে উঠেছে, তবে এই শিল্প পার্কে ব্যবসায়ীদের এখনো বরাদ্দ দেয়নাই। আর প্লট বরাদ্দ না দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এখেনো শিল্প স্থাপন করতে পারে নাই।’
‘কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দিয়ে যেন ব্যবসায়ীদের কারখানা করার সুযোগ দেয়,’ বলে দাবি তার।
প্রকল্প সূত্রে জানাগেছে, লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৭১৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৭টি মৌজার প্রায় ৪’শ একর জমির ওপর নির্মাণ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। পার্কে ৮২৯টি প্লটে অন্তত ৫৭০টি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।
২০১০ সালের আগস্টের শেষে একনেক সভায় সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদিত হয়। পার্ক এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি, প্রশাসনিক জোন, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, আবাসিক কোয়ার্টার, রেস্টুরেন্ট ও মার্কেটের কাজ শেষ হয়েছে। শিল্পপার্কের সৌন্দর্য বাড়াতে সবুজ বৃত্তসহ একটি হ্রদ নির্মাণ হবে।
ইতিমধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর মাসে বিসিকের ৮১৯তম সভায় সিরাজগঞ্জের বিসিক শিল্প পার্কটির ১৮০ একর জমি চায়না মালিকানাধীন সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর অনুকূলে বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, এখানে তিন ধরনের ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। সড়ক পথ রয়েছে, রেলপথের সংযোগ রয়েছে, এছাড়াও নদী পথেরও একটা সংযোগ রয়েছে। এই তিনটি পরিবহনের দিকে একটা নতুন দিক পাবে বলে উদ্যোক্তারা এখানে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
কবে প্লট বরাদ্দের টেন্ডার দেওয়া হবে জানতে চাইলে বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) জি,এম, রব্বানী তালুকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক নিয়ে আমাদের সব কাজ শেষ হয়েছে। সেখানকার প্লট বরাদ্দের জন্য বোর্ডের যে কাজগুলো আছে তা সব শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানকার মূল্য নির্ধারণ, লে আউট ও পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন জন প্রশাসন সেকশন থেকে সপ্তাহের যে কোন দিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি যাবে।’
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর তীরে বিসিক শিল্প পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
অবকাঠামোগত কাজ শেষে এখন প্রস্তুতি চলছে প্লট বরাদ্দের। এরই মধ্যে প্লট বরাদ্দের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা। শিল্প পার্কটি চালু হলে এই অঞ্চলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্বও দূর হবে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, পার্কটি চালু হলে অন্তত; এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এ নিয়ে স্থানীয় মানুষরাও নতুন করে স্বপ্ন দেখছে।
স্থানীয়রা বলছেন একজন বলেন, ‘দেশ-বিদেশ থেকে অনেক লোক আসবে উদ্যোক্তারা আসবে। আমরা সহযোগিতা করবো। এখানকার যে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এর পণ্য সুন্দরভাবে দক্ষিণাঞ্চলেও পরিবহন করতে পারবে।’
তারা আরো বলছেন, সড়ক নৌ ও রেল পথের সুব্যবস্থা থাকায় বিসিক শিল্প পার্কের উদ্যোক্তারা বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি স্বল্প খরচে ও কম সময়ে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবেন। শ্রম বাজার সৃষ্টি হলে দূর হবে বেকারত্ব, এতে এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
এ বিষয়ে কথা হয় পার্কের পাশের স্থানীয় মানুষ দবির উদ্দিন। তিনি বলেন, পার্কটি চালু হলে আমাদের এলাকার মানুষের কর্মসংস্খানের পাশাপাশি নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের স্থানীয়রা নানান ধরনের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের ভগ্যোর উন্নয়ন ঘটবে।
বিসিক শিল্পপার্ক নির্মাণ হলেও এখনো প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। ফলে এ অঞ্চলটিতে শিল্পায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের পরপরই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার বিধান রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা প্লট বরাদ্দ পেতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করে আসছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে।
উদ্যোক্তারা বলেন, ঢাকা উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের পাশেই গড়ে ওঠা শিল্পপার্কের চারদিকে বিশেষ সুবিধার কারণে আমরা এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। অনেকদিন ধরেই আমরা প্লট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করছি। কিন্তু প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি না দেয়ায় পিছিয়ে পড়ছি এবং শিল্পায়নে এ অঞ্চল পিছিয়ে পড়ছে।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘ সিরাজগঞ্জ কৃষি প্রধান এলাকা হলেও এখানে শিল্পের উন্নতির জন্য যথেষ্ট স্কোপ আছে। এ জায়গাটিতে সড়ক পথ, নৌ পথ, রেল পথ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ আছে। নদীর পাশে বিসিক শিল্প পার্ক গড়ে উঠেছে, তবে এই শিল্প পার্কে ব্যবসায়ীদের এখনো বরাদ্দ দেয়নাই। আর প্লট বরাদ্দ না দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা এখেনো শিল্প স্থাপন করতে পারে নাই।’
‘কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দিয়ে যেন ব্যবসায়ীদের কারখানা করার সুযোগ দেয়,’ বলে দাবি তার।
প্রকল্প সূত্রে জানাগেছে, লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৭১৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৭টি মৌজার প্রায় ৪’শ একর জমির ওপর নির্মাণ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। পার্কে ৮২৯টি প্লটে অন্তত ৫৭০টি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।
২০১০ সালের আগস্টের শেষে একনেক সভায় সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদিত হয়। পার্ক এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি, প্রশাসনিক জোন, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, আবাসিক কোয়ার্টার, রেস্টুরেন্ট ও মার্কেটের কাজ শেষ হয়েছে। শিল্পপার্কের সৌন্দর্য বাড়াতে সবুজ বৃত্তসহ একটি হ্রদ নির্মাণ হবে।
ইতিমধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর মাসে বিসিকের ৮১৯তম সভায় সিরাজগঞ্জের বিসিক শিল্প পার্কটির ১৮০ একর জমি চায়না মালিকানাধীন সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর অনুকূলে বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিল্প উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, এখানে তিন ধরনের ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। সড়ক পথ রয়েছে, রেলপথের সংযোগ রয়েছে, এছাড়াও নদী পথেরও একটা সংযোগ রয়েছে। এই তিনটি পরিবহনের দিকে একটা নতুন দিক পাবে বলে উদ্যোক্তারা এখানে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
কবে প্লট বরাদ্দের টেন্ডার দেওয়া হবে জানতে চাইলে বিসিকের উপমহাব্যবস্থাপক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) জি,এম, রব্বানী তালুকদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক নিয়ে আমাদের সব কাজ শেষ হয়েছে। সেখানকার প্লট বরাদ্দের জন্য বোর্ডের যে কাজগুলো আছে তা সব শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানকার মূল্য নির্ধারণ, লে আউট ও পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন জন প্রশাসন সেকশন থেকে সপ্তাহের যে কোন দিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি যাবে।’