কুষ্টিয়ার মিরপুরে আধিপত্য ও চরের জমি দখলের বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বহালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) একই গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীর সর্দার, রুবেল সর্দার, আলামিন, জুয়েল, রিজভী, আকিজ, লিটু, জহুরুল সর্দারসহ ১৫ জন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর হামলা ও লুটপাটের আশঙ্কায় জিনিসপত্র নিয়ে অনেকে গ্রাম ছাড়ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও নদীর চর দখল নিয়ে নওদা খাদেমপুর গ্রামের গাইন ও সর্দার বংশের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই এলাকায় গাইন বংশের নেতৃত্বে দেন টিপু গাইন ও মান্নান গাইন এবং সর্দার বংশের নেতৃত্বে আছেন আতিয়ার সর্দার ও খালেক সর্দার। গ্রামের চলাচলের পাকা রাস্তা গাইন বংশের বসবাসের এলাকার মধ্যে। এজন্য সর্দার বংশের লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে মারধর করতো গাইন বংশের লোকজন।
এরই জের ধরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সর্দার বংশের তৌহিদুলকে গুলি করে গাইন বংশের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর জিনিসপত্র নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। প্রতিপক্ষ গাইন বংশের লোকজন এলাকা থেকে পালিয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই সুজন আলী সর্দার বলেন, গাইন বংশের লোকজন আমার চাচার বাড়িতে হামলা চালানোর সময় বড় ভাইকে গুলি করে। দীর্ঘদিন ধরে চরের জমি দখলসহ নানা বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল।
নিহতের চাচাতো ভাই রাজু বলেন, রুপপুর অংশের একটি চরের জমি দখল নিয়ে গাইন বংশের সঙ্গে সর্দার বংশের আধিপত্যের রেষারেষি অনেকদিন ধরেই। এলাকার রাস্তা গাইনদের মধ্যে। তাই আমাদের লোকজন’কে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় হামলা চালায়। আজও একই ঘটনা ঘটে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় গাইন বংশের লোকজন তৌহিদুলকে গুলি করে। আহত হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জন। তারা হাসপাতালে ভর্তি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বলেন, শুধু চর দখল নয়, নানা বিষয় নিয়েই দুই বংশের ভেতর বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আধিপত্য ও চরের জমি দখলের বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বহালবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌহিদুল ইসলাম (৪৫) একই গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সর্দারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
আহতরা হলেন-জাহাঙ্গীর সর্দার, রুবেল সর্দার, আলামিন, জুয়েল, রিজভী, আকিজ, লিটু, জহুরুল সর্দারসহ ১৫ জন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর হামলা ও লুটপাটের আশঙ্কায় জিনিসপত্র নিয়ে অনেকে গ্রাম ছাড়ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও নদীর চর দখল নিয়ে নওদা খাদেমপুর গ্রামের গাইন ও সর্দার বংশের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই এলাকায় গাইন বংশের নেতৃত্বে দেন টিপু গাইন ও মান্নান গাইন এবং সর্দার বংশের নেতৃত্বে আছেন আতিয়ার সর্দার ও খালেক সর্দার। গ্রামের চলাচলের পাকা রাস্তা গাইন বংশের বসবাসের এলাকার মধ্যে। এজন্য সর্দার বংশের লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে মারধর করতো গাইন বংশের লোকজন।
এরই জের ধরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সর্দার বংশের তৌহিদুলকে গুলি করে গাইন বংশের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তৌহিদুলকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার পর জিনিসপত্র নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। প্রতিপক্ষ গাইন বংশের লোকজন এলাকা থেকে পালিয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই সুজন আলী সর্দার বলেন, গাইন বংশের লোকজন আমার চাচার বাড়িতে হামলা চালানোর সময় বড় ভাইকে গুলি করে। দীর্ঘদিন ধরে চরের জমি দখলসহ নানা বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল।
নিহতের চাচাতো ভাই রাজু বলেন, রুপপুর অংশের একটি চরের জমি দখল নিয়ে গাইন বংশের সঙ্গে সর্দার বংশের আধিপত্যের রেষারেষি অনেকদিন ধরেই। এলাকার রাস্তা গাইনদের মধ্যে। তাই আমাদের লোকজন’কে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় হামলা চালায়। আজও একই ঘটনা ঘটে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় গাইন বংশের লোকজন তৌহিদুলকে গুলি করে। আহত হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জন। তারা হাসপাতালে ভর্তি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম বলেন, শুধু চর দখল নয়, নানা বিষয় নিয়েই দুই বংশের ভেতর বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।