খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে এবার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত খানজাহান আলী সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ কর্মসূচি। এতে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং দুই পাশে শত শত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার আটকে যায়। ফলে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ওই সময় আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপি কমিশনার অপসারণে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাজপথ ব্লক করা হবে। এরপরে শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যেও কোনো সুরাহা না হলে রোববার থেকে খুলনায় সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ একযোগে অবরোধ করা হবে।”
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈরি আবহাওয়া এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ২৫ জুন থেকে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা কর্মসূচির পর গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন কমিশনার অপসারণে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর শনিবার থেকে তাঁরা আবার কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম খুলনা প্রেস ক্লাবে এলে আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। পরে তাঁর সঙ্গে সংলাপ হয়। ওইদিনই তারা ঘোষণা দেন— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনার অপসারণ না হলে খুলনার সব থানা, দুই উপকমিশনারের কার্যালয় এবং কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে শহর অচল করে দেওয়া হবে।
সোমবারও কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করা হয়। সেখান থেকেই মঙ্গলবার রূপসা সেতু অবরোধের ঘোষণা আসে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ২৪ জুন খুলনা শহরের ইস্টার্ন গেইট এলাকায় স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্ত দাসকে আটক করে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
তাদের দাবি, কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ করে সুকান্তকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন।
পরে সুকান্তকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এছাড়া বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তার নামে।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে এবার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত খানজাহান আলী সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ কর্মসূচি। এতে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং দুই পাশে শত শত বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার আটকে যায়। ফলে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ওই সময় আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপি কমিশনার অপসারণে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাজপথ ব্লক করা হবে। এরপরে শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যেও কোনো সুরাহা না হলে রোববার থেকে খুলনায় সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ একযোগে অবরোধ করা হবে।”
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈরি আবহাওয়া এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ২৫ জুন থেকে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা কর্মসূচির পর গত বৃহস্পতিবার রাতে আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন কমিশনার অপসারণে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর শনিবার থেকে তাঁরা আবার কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম খুলনা প্রেস ক্লাবে এলে আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। পরে তাঁর সঙ্গে সংলাপ হয়। ওইদিনই তারা ঘোষণা দেন— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনার অপসারণ না হলে খুলনার সব থানা, দুই উপকমিশনারের কার্যালয় এবং কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে শহর অচল করে দেওয়া হবে।
সোমবারও কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করা হয়। সেখান থেকেই মঙ্গলবার রূপসা সেতু অবরোধের ঘোষণা আসে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ২৪ জুন খুলনা শহরের ইস্টার্ন গেইট এলাকায় স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্ত দাসকে আটক করে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
তাদের দাবি, কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হস্তক্ষেপ করে সুকান্তকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন।
পরে সুকান্তকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এছাড়া বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তার নামে।