মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উৎকোচের বিনিময়ে প্রবাস ফেরত একজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর ঘটনায় খোদ অভিযোগ উঠেছে শ্রীনগর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডে থানাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা গ্রামে। উক্ত ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী প্রবাসী রাহাতের অসহায় মা সুবর্ণা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর থানার পুলিশ আরশাদ মাঝির ছেলে আবিরকে বিকাশ নামের চোর বেদম প্রহার করতে থাকে। আবিরকে উদ্ধারের অভিযোগের ভিত্তিতে জসিমের বিল্ডিং-এ রেড দেয় পুলিশ। ঐ বিল্ডিংয়ে বিকাশ চোর ও আবিরের মধ্যে মোবাইলের ভাগ নেয়ার ঘটনায় মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় এবং রাহাতসহ অনেকেই দেখে ফেলে উক্ত ঘটনা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিকাশ পালাইয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিকটিমকে বিকাশের রেখে যাওয়া অস্ত্রসহ সেখানে পায়। আরশাদ পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে পুলিশ প্রবাসী রাহাতসহ কয়েকজনকে সাক্ষীর কথা বলে থানায় নিয়া আসে। পরবর্তীতে রাহাতকে অস্ত্রসহ কোর্টে চালান করে পুলিশ। আরশাদ মাঝির ছেলে আবির মোবাইল চোর ও গাজা সেবনকারী বলে এলাকায় চিহ্নিত। তাকে ঘটনাস্থলে পেয়েও পুলিশ তার নামে মামলা দেয়নি। রহস্যজনক কারণে তাকে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রাথী মোহাম্মদ আলী স্থানীয় প্রত্যক্ষদশী লোকদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, অস্ত্র ঘটনাস্থলে পায়নি। অন্য জায়গার অস্ত্র দিয়ে রাহাত অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোটে চালান করে পুলিশ। বিকাশ চোর ও আবির দুজনই স্থানীয় মাদক কারবারি।
এ বিষয়ে মালার বাদী এস. আই হামীম মো. তারেক বলেন, রাত ২টার সময় জসিমের বিল্ডিংয়ে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন পালাতে সক্ষম হলে ও বাকী তিনজনকে অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক প্রশ্নের জবাবে বিকাশ আবিরের উপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে গুরুতর আহত হওয়ার খবর জানে না বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অবস) জানান, বিষয়টি শ্রীনগর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। অভিযোগটি যদিও পুলিশ সুপার বরাবর তবে এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উৎকোচের বিনিময়ে প্রবাস ফেরত একজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর ঘটনায় খোদ অভিযোগ উঠেছে শ্রীনগর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডে থানাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা গ্রামে। উক্ত ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী প্রবাসী রাহাতের অসহায় মা সুবর্ণা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীনগর থানার পুলিশ আরশাদ মাঝির ছেলে আবিরকে বিকাশ নামের চোর বেদম প্রহার করতে থাকে। আবিরকে উদ্ধারের অভিযোগের ভিত্তিতে জসিমের বিল্ডিং-এ রেড দেয় পুলিশ। ঐ বিল্ডিংয়ে বিকাশ চোর ও আবিরের মধ্যে মোবাইলের ভাগ নেয়ার ঘটনায় মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় এবং রাহাতসহ অনেকেই দেখে ফেলে উক্ত ঘটনা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিকাশ পালাইয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিকটিমকে বিকাশের রেখে যাওয়া অস্ত্রসহ সেখানে পায়। আরশাদ পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে আবিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে পুলিশ প্রবাসী রাহাতসহ কয়েকজনকে সাক্ষীর কথা বলে থানায় নিয়া আসে। পরবর্তীতে রাহাতকে অস্ত্রসহ কোর্টে চালান করে পুলিশ। আরশাদ মাঝির ছেলে আবির মোবাইল চোর ও গাজা সেবনকারী বলে এলাকায় চিহ্নিত। তাকে ঘটনাস্থলে পেয়েও পুলিশ তার নামে মামলা দেয়নি। রহস্যজনক কারণে তাকে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রাথী মোহাম্মদ আলী স্থানীয় প্রত্যক্ষদশী লোকদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, অস্ত্র ঘটনাস্থলে পায়নি। অন্য জায়গার অস্ত্র দিয়ে রাহাত অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোটে চালান করে পুলিশ। বিকাশ চোর ও আবির দুজনই স্থানীয় মাদক কারবারি।
এ বিষয়ে মালার বাদী এস. আই হামীম মো. তারেক বলেন, রাত ২টার সময় জসিমের বিল্ডিংয়ে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন পালাতে সক্ষম হলে ও বাকী তিনজনকে অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক প্রশ্নের জবাবে বিকাশ আবিরের উপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে গুরুতর আহত হওয়ার খবর জানে না বলে জানায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন ও অবস) জানান, বিষয়টি শ্রীনগর থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন। অভিযোগটি যদিও পুলিশ সুপার বরাবর তবে এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।