alt

সারাদেশ

চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে ক্যাম্পে এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার রোহিঙ্গা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ছোঁয়াচে ‘কনজাংটিভাইটিস’ নামের চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার ২৬৭ রোহিঙ্গা। অল্প জায়গায় ধারণ ক্ষমতায় বেশি লোক বসবাসের কারণে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের মাঝে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার বসতি হাকিমপাড়ায় দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ঢালুতে তৈরি একটি ত্রিপলের ছাউনির ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আলী। ২৫ দিন আগে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে আলী জোহারের একটা চোঁখ থেকে পানি ঝরা শুরু হয়। তিন দিন পর দুই চোঁখে ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া করতে থাকে। ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণায় সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে শিশুটি। বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তার স্ত্রীর প্রথম রোগটি হয়। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবারে চারজনই আক্রান্ত হন এ চক্ষুরোগে। চোঁখের ড্রপ ও ওষুধ খেলে কয়েকদিন ভালো থাকে, জ্বালাপোড়া কমে যায়। পরে আবার শুরু হয়।

এ ক্যাম্পের সিডি ও এফ ব্লক ঘুরে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিটি ঘরে একাধিক নারী-শিশু-কিশোর এ রোগে আক্রান্ত। আয়েশা বেগম ও রুহুল আমিন বলেন, এমন কোনো রোহিঙ্গা পরিবার নেই, যেখানে চোঁখের রোগী নেই। একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগ।

এমন পরিস্থিতিতে চক্ষু রোগে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যকে আলাদা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, এক মাস ধরে তার এক কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রী চক্ষু রোগে আক্রান্ত। অন্য সদস্যরা যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারে।

এদিকে, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল। এ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের চোঁখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, কনজাংটিভাইটিস রোগটি পিঙ্ক আই বা মাদ্রাজ আই নামেও পরিচিত, এটি চোখের সাদা অংশের বাইরের স্তর এবং চোখের পাতার ভিতরের পৃষ্ঠের প্রদাহ। এটি চোখকে গোলাপী বা লালচে দেখায়। ব্যাথা, জ্বালাপোড়া, ঘামাচি বা চুলকানিও হতে পারে।

হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। ৭২ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চশমা দেয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৬০ হাজারের অধিক রোগীকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি শোনার পর তাদেরকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

ছবি

আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মুমূর্ষু দশা

ছবি

কোরআন শরীফ অবমাননা: একই পরিবারের ৩ জন সহ ৫ জনকে আটক

ছবি

ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ

ছবি

বকেয়া দাবিতে চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

চট্টগ্রামে দূর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিসের বহরের গাড়ি

ছবি

চট্টগ্রামে সহিংসতার পর দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার বদলি

ছবি

যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে পদত্যাগের হিড়িক

ছবি

উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

ছবি

চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে চট্টগ্রামে সংঘাত, তিন মামলা

ছবি

আইনজীবী হত্যা: চট্টগ্রামে কড়া নজরদারি, অভিযানে যৌথবাহিনী

ছবি

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে কাল

ছবি

ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে কক্সবাজারে ‘আইনজীবীদের’ মানববন্ধন

ছবি

চট্টগ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ, আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা : যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০

ছবি

৩১০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ৩

ছবি

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান খেলাফত মজলিসের

ছবি

ফ্ল্যাটে মিললো দুই সন্তানসহ দম্পতির মরদেহ

ছবি

আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রামে উত্তেজনা, কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ছবি

সনাতনী জাগরণ জোটের আহ্বান: চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের মুক্তি না হলে আন্দোলনের হুমকি

ছবি

চিন্ময় দাশ গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ

ছবি

আইনজীবী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দাবিতে জামায়াতের হুঁশিয়ারি

শ্রীনগরে আইন শৃঙ্খলা সভায় এসে বিএনপির প্রতিবাদে চলে গেলো আওয়ামী পন্থী চেয়ারম্যানরা

ছবি

এবার বগুড়ায় প্রথম আলো কার্যালয়ে পাথর নিক্ষেপ

ছবি

আড়াই ঘন্টা পর কারাগারে নেওয়া হলো চিন্ময় দাশকে

ছবি

চিন্ময় দাশের প্রিজন ভ্যান ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ

৭ দফা দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

ছবি

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক চললো ট্রেন

ছবি

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত

ছবি

নাটোরে ট্রাক-ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও পরিবারের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

ছবি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

রাজশাহীতে প্রথম আলো কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ভাঙচুর

ছবি

সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া ২ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

গাজীপুরের চক্রবর্তীতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের ফের সড়ক অবরোধ

ছবি

অযৌক্তিক কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে: সারজিস

ছবি

আদানির ডলার বন্ড মূল্য কমে এক বছরে মধ্যে সর্বনিম্ন

tab

সারাদেশ

চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে ক্যাম্পে এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার রোহিঙ্গা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, কক্সবাজার

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ছোঁয়াচে ‘কনজাংটিভাইটিস’ নামের চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার ২৬৭ রোহিঙ্গা। অল্প জায়গায় ধারণ ক্ষমতায় বেশি লোক বসবাসের কারণে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের মাঝে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার বসতি হাকিমপাড়ায় দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ঢালুতে তৈরি একটি ত্রিপলের ছাউনির ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আলী। ২৫ দিন আগে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে আলী জোহারের একটা চোঁখ থেকে পানি ঝরা শুরু হয়। তিন দিন পর দুই চোঁখে ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া করতে থাকে। ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণায় সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে শিশুটি। বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তার স্ত্রীর প্রথম রোগটি হয়। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবারে চারজনই আক্রান্ত হন এ চক্ষুরোগে। চোঁখের ড্রপ ও ওষুধ খেলে কয়েকদিন ভালো থাকে, জ্বালাপোড়া কমে যায়। পরে আবার শুরু হয়।

এ ক্যাম্পের সিডি ও এফ ব্লক ঘুরে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিটি ঘরে একাধিক নারী-শিশু-কিশোর এ রোগে আক্রান্ত। আয়েশা বেগম ও রুহুল আমিন বলেন, এমন কোনো রোহিঙ্গা পরিবার নেই, যেখানে চোঁখের রোগী নেই। একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগ।

এমন পরিস্থিতিতে চক্ষু রোগে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যকে আলাদা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, এক মাস ধরে তার এক কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রী চক্ষু রোগে আক্রান্ত। অন্য সদস্যরা যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারে।

এদিকে, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল। এ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের চোঁখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, কনজাংটিভাইটিস রোগটি পিঙ্ক আই বা মাদ্রাজ আই নামেও পরিচিত, এটি চোখের সাদা অংশের বাইরের স্তর এবং চোখের পাতার ভিতরের পৃষ্ঠের প্রদাহ। এটি চোখকে গোলাপী বা লালচে দেখায়। ব্যাথা, জ্বালাপোড়া, ঘামাচি বা চুলকানিও হতে পারে।

হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। ৭২ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চশমা দেয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৬০ হাজারের অধিক রোগীকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি শোনার পর তাদেরকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

back to top