কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ছোঁয়াচে ‘কনজাংটিভাইটিস’ নামের চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার ২৬৭ রোহিঙ্গা। অল্প জায়গায় ধারণ ক্ষমতায় বেশি লোক বসবাসের কারণে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের মাঝে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার বসতি হাকিমপাড়ায় দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ঢালুতে তৈরি একটি ত্রিপলের ছাউনির ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আলী। ২৫ দিন আগে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে আলী জোহারের একটা চোঁখ থেকে পানি ঝরা শুরু হয়। তিন দিন পর দুই চোঁখে ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া করতে থাকে। ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণায় সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে শিশুটি। বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তার স্ত্রীর প্রথম রোগটি হয়। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবারে চারজনই আক্রান্ত হন এ চক্ষুরোগে। চোঁখের ড্রপ ও ওষুধ খেলে কয়েকদিন ভালো থাকে, জ্বালাপোড়া কমে যায়। পরে আবার শুরু হয়।
এ ক্যাম্পের সিডি ও এফ ব্লক ঘুরে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিটি ঘরে একাধিক নারী-শিশু-কিশোর এ রোগে আক্রান্ত। আয়েশা বেগম ও রুহুল আমিন বলেন, এমন কোনো রোহিঙ্গা পরিবার নেই, যেখানে চোঁখের রোগী নেই। একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগ।
এমন পরিস্থিতিতে চক্ষু রোগে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যকে আলাদা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, এক মাস ধরে তার এক কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রী চক্ষু রোগে আক্রান্ত। অন্য সদস্যরা যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল। এ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের চোঁখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, কনজাংটিভাইটিস রোগটি পিঙ্ক আই বা মাদ্রাজ আই নামেও পরিচিত, এটি চোখের সাদা অংশের বাইরের স্তর এবং চোখের পাতার ভিতরের পৃষ্ঠের প্রদাহ। এটি চোখকে গোলাপী বা লালচে দেখায়। ব্যাথা, জ্বালাপোড়া, ঘামাচি বা চুলকানিও হতে পারে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। ৭২ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চশমা দেয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৬০ হাজারের অধিক রোগীকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি শোনার পর তাদেরকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ছোঁয়াচে ‘কনজাংটিভাইটিস’ নামের চক্ষু রোগের প্রার্দুভাবে গত এক মাসে চিকিৎসা নিয়েছে ২১ হাজার ২৬৭ রোহিঙ্গা। অল্প জায়গায় ধারণ ক্ষমতায় বেশি লোক বসবাসের কারণে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের মাঝে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা।
কক্সবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে ৫০ হাজার রোহিঙ্গার বসতি হাকিমপাড়ায় দেখা যায়, একটি পাহাড়ি ঢালুতে তৈরি একটি ত্রিপলের ছাউনির ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আলী। ২৫ দিন আগে তার ১০ বছর বয়সী ছেলে আলী জোহারের একটা চোঁখ থেকে পানি ঝরা শুরু হয়। তিন দিন পর দুই চোঁখে ব্যাথা ও জ্বালাপোড়া করতে থাকে। ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণায় সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে শিশুটি। বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে তার স্ত্রীর প্রথম রোগটি হয়। এরপর পাঁচ সদস্যের পরিবারে চারজনই আক্রান্ত হন এ চক্ষুরোগে। চোঁখের ড্রপ ও ওষুধ খেলে কয়েকদিন ভালো থাকে, জ্বালাপোড়া কমে যায়। পরে আবার শুরু হয়।
এ ক্যাম্পের সিডি ও এফ ব্লক ঘুরে অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, প্রতিটি ঘরে একাধিক নারী-শিশু-কিশোর এ রোগে আক্রান্ত। আয়েশা বেগম ও রুহুল আমিন বলেন, এমন কোনো রোহিঙ্গা পরিবার নেই, যেখানে চোঁখের রোগী নেই। একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগ।
এমন পরিস্থিতিতে চক্ষু রোগে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যকে আলাদা রাখার সুযোগ নেই জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, এক মাস ধরে তার এক কিশোরী মেয়ে ও স্ত্রী চক্ষু রোগে আক্রান্ত। অন্য সদস্যরা যেকোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল। এ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের চোঁখের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, কনজাংটিভাইটিস রোগটি পিঙ্ক আই বা মাদ্রাজ আই নামেও পরিচিত, এটি চোখের সাদা অংশের বাইরের স্তর এবং চোখের পাতার ভিতরের পৃষ্ঠের প্রদাহ। এটি চোখকে গোলাপী বা লালচে দেখায়। ব্যাথা, জ্বালাপোড়া, ঘামাচি বা চুলকানিও হতে পারে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। ৭২ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চশমা দেয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৬০ হাজারের অধিক রোগীকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চক্ষু রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি শোনার পর তাদেরকে কিভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।