চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় মধ্যরাতে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকবাজার থানার সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরে থানার সামনেও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং রাত ১টা পর্যন্ত থানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে।
জানা যায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একজনকে থানায় হস্তান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ছাত্রদল দাবি করে, চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় সোপর্দ করেছিল ছাত্রদল, কারণ ওই ব্যক্তি আগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর করেছিলেন। পরে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াত সংশ্লিষ্ট কিছু নেতা-কর্মী ওই নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গেলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’কে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। এর প্রতিবাদ জানাতে শিবিরের নেতা-কর্মীরা থানায় গেলে ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা শিবির, সাধারণ শিক্ষার্থী ও পুলিশের ওপর হামলা করে।
তবে কাকে থানায় দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে দুই পক্ষই নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, "আমরা মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় হস্তান্তর করি। পরে শিবিরের লোকজন গিয়ে হামলা চালায়।"
অপরদিকে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) শাখার প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, "ছাত্রদল আমাদের একজন আহত কর্মীকে ‘ছাত্রলীগ’ পরিচয় দিয়ে থানায় দিয়েছে। এর প্রতিবাদে গেলে আমাদের ওপর ছাত্রদল ও যুবদল হামলা করে।"
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, থানার সামনে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার দৃশ্য, লাঠিসোঁটা হাতে উত্তেজিত লোকজন এবং থানার ফটকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর চকবাজার থানার সামনের চানমারী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছাত্রদল, যুবদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, “পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বর্তমানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।”
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় মধ্যরাতে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকবাজার থানার সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, যা পরে থানার সামনেও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং রাত ১টা পর্যন্ত থানার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে।
জানা যায়, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একজনকে থানায় হস্তান্তরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় ছাত্রদল দাবি করে, চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় সোপর্দ করেছিল ছাত্রদল, কারণ ওই ব্যক্তি আগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর করেছিলেন। পরে ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াত সংশ্লিষ্ট কিছু নেতা-কর্মী ওই নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গেলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে ছাত্রশিবির তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, একজন ‘জুলাই যোদ্ধা’কে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। এর প্রতিবাদ জানাতে শিবিরের নেতা-কর্মীরা থানায় গেলে ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা শিবির, সাধারণ শিক্ষার্থী ও পুলিশের ওপর হামলা করে।
তবে কাকে থানায় দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে দুই পক্ষই নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, "আমরা মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় হস্তান্তর করি। পরে শিবিরের লোকজন গিয়ে হামলা চালায়।"
অপরদিকে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) শাখার প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, "ছাত্রদল আমাদের একজন আহত কর্মীকে ‘ছাত্রলীগ’ পরিচয় দিয়ে থানায় দিয়েছে। এর প্রতিবাদে গেলে আমাদের ওপর ছাত্রদল ও যুবদল হামলা করে।"
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, থানার সামনে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার দৃশ্য, লাঠিসোঁটা হাতে উত্তেজিত লোকজন এবং থানার ফটকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর চকবাজার থানার সামনের চানমারী সড়ক ও আশপাশের এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছাত্রদল, যুবদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, “পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বর্তমানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।”