চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় তিন দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাস যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোরে মামলাটি দায়ের করেন। মির্জাপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ওমর আলী জানান, গত সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসে তিনি ডাকাতির কবলে পড়েন। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয় এবং প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চলে। ডাকাতির পাশাপাশি বাসে থাকা দুই নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা বাসটি ঘুরিয়ে একই স্থানে নিয়ে যায় এবং রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বাস থেকে নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন এবং যাত্রীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে।
ওমর আলী আরও বলেন, ভোর চারটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তিনি, অন্য যাত্রী সোহাগ হোসেন ও তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার আবু হানিফ মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়, তবে এজাহার তাকে পড়ে শোনানো হয়নি। তিনি জানান, জবানবন্দিতে তিনি ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, কিন্তু এজাহারে কী লেখা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
ওমর আলী আরও অভিযোগ করেন, বাসের সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩), চালক বাবলু আলী (৩০) ও সহকারী মাহবুব আলম (২৮) মির্জাপুর থানায় এসে বসে আছেন এবং তারাও মামলা করার কথা বলছেন। ওমর আলী দাবি করেন, চালক ও সহকারী ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের আসামি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, "ওরা আসামি হবে, আবার ওরাই মামলা করার জন্য এসে বসে আছেন। এটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।"
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল বাসার নিশ্চিত করেছেন যে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে তিনি এজাহারের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বাসটি গাবতলী থেকে রাত ১১টায় ছাড়ে এবং রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে ডাকাতি শুরু হয়। ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা বাসটি ঘুরিয়ে একই স্থানে নিয়ে যায় এবং রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বাস থেকে নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন এবং যাত্রীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে।
ঘটনার পর যাত্রীরা প্রথমে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান, কিন্তু সেখানে ওসি না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করা হয়, তবে পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। বড়াইগ্রাম থানার এসআই শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালানমূলে বাসের চালক বাবলু ইসলাম, সহকারী সুমন ইসলাম ও সুপারভাইজার মাহবুব আলমকে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ, নাটোরে গ্রেপ্তার ৩
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় তিন দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাস যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার ভোরে মামলাটি দায়ের করেন। মির্জাপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ওমর আলী জানান, গত সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসে তিনি ডাকাতির কবলে পড়েন। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয় এবং প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি চলে। ডাকাতির পাশাপাশি বাসে থাকা দুই নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে। ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা বাসটি ঘুরিয়ে একই স্থানে নিয়ে যায় এবং রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বাস থেকে নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন এবং যাত্রীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে।
ওমর আলী আরও বলেন, ভোর চারটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তিনি, অন্য যাত্রী সোহাগ হোসেন ও তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার আবু হানিফ মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে মামলার এজাহারে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়, তবে এজাহার তাকে পড়ে শোনানো হয়নি। তিনি জানান, জবানবন্দিতে তিনি ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন, কিন্তু এজাহারে কী লেখা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
ওমর আলী আরও অভিযোগ করেন, বাসের সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩), চালক বাবলু আলী (৩০) ও সহকারী মাহবুব আলম (২৮) মির্জাপুর থানায় এসে বসে আছেন এবং তারাও মামলা করার কথা বলছেন। ওমর আলী দাবি করেন, চালক ও সহকারী ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তাদের আসামি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, "ওরা আসামি হবে, আবার ওরাই মামলা করার জন্য এসে বসে আছেন। এটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না।"
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল বাসার নিশ্চিত করেছেন যে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে তিনি এজাহারের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী, বাসটি গাবতলী থেকে রাত ১১টায় ছাড়ে এবং রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে ডাকাতি শুরু হয়। ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা বাসটি ঘুরিয়ে একই স্থানে নিয়ে যায় এবং রাত ৩টা ৫২ মিনিটে বাস থেকে নেমে যায়। এরপর বাসের চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন এবং যাত্রীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বাসটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে।
ঘটনার পর যাত্রীরা প্রথমে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান, কিন্তু সেখানে ওসি না থাকায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বাসটি বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করা হয়, তবে পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। বড়াইগ্রাম থানার এসআই শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চালানমূলে বাসের চালক বাবলু ইসলাম, সহকারী সুমন ইসলাম ও সুপারভাইজার মাহবুব আলমকে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিনের আদেশ দেন।
রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ, নাটোরে গ্রেপ্তার ৩