যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান ঢালিকে (৪৭) চাঁদা না দেওয়ার কারণে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তাঁর হাত ও পা ভেঙে যায়।
বুধবার বিকেলে চৌগাছার মান্দারতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, জিয়াউর রহমান ফুলসারা ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।
পূর্বের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী মাসুদ চৌধুরী গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান এবং পরে ২৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান জিয়াউর।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাদক কারবারে জড়িত একাধিক মামলার আসামি লিটন ও তাঁর সহযোগীরা নিয়মিতভাবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল বিকেলে জিয়াউর রহমানকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে হত্যারও চেষ্টা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা হকিস্টিক দিয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুর রহমান বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।”
আহত জিয়াউর রহমান বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। লিটন নামের সন্ত্রাসী আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় আজ আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।”
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিটন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান ঢালিকে (৪৭) চাঁদা না দেওয়ার কারণে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তাঁর হাত ও পা ভেঙে যায়।
বুধবার বিকেলে চৌগাছার মান্দারতলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, জিয়াউর রহমান ফুলসারা ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।
পূর্বের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী মাসুদ চৌধুরী গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান এবং পরে ২৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান জিয়াউর।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাদক কারবারে জড়িত একাধিক মামলার আসামি লিটন ও তাঁর সহযোগীরা নিয়মিতভাবে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল বিকেলে জিয়াউর রহমানকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে। অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে হত্যারও চেষ্টা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা হকিস্টিক দিয়ে তাঁর হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুর রহমান বলেন, “গুরুতর আহত অবস্থায় রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।”
আহত জিয়াউর রহমান বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। লিটন নামের সন্ত্রাসী আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় আজ আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।”
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিটন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”