মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী, ৩৮ পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিঙ্গাইর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে ২০১৩ সালে সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল গ্রাম থেকে মিছিল বের হয়। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তাতে গুলি চালায়। এতে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। আহত হন আরো অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ।
মামলার আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- মানিকগঞ্জের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশের মামলায় গ্রামবাসী ও বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সুষ্ঠু বিচারের আশায় মামলা করেছি।’
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী, ৩৮ পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিঙ্গাইর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে ২০১৩ সালে সিংগাইর পৌরসভার গোবিন্ধল গ্রাম থেকে মিছিল বের হয়। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তাতে গুলি চালায়। এতে গোবিন্ধল গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। আহত হন আরো অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ।
মামলার আসামিদের মধ্যে আরো রয়েছেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, পৌর প্যানেল মেয়র সমেজ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিল আব্দুস সালাম খান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- মানিকগঞ্জের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশের মামলায় গ্রামবাসী ও বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। সুষ্ঠু বিচারের আশায় মামলা করেছি।’