কুমিল্লার তিতাসে লতিকচু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ কৃষক পলাশ। তিনি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।
পলাশ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে নিরন্তর ফসলের মাঠে খেটে যাচ্ছেন, তবে মৌসুমি সবজি-কিংবা কৃষি ফসলে তেমন আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছিলেন না।
অনেক আশা নিয়ে এবার তিনি ঐচারচর গ্রামের উত্তর পাশে দেড় বিঘা জমিতে লতি কচুর আবাদ করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন; দেখছেন ভাগ্য বদলের স্বপ্নও।
গত ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি জমিতে লতিকচুর চারা রোপণ করে শুরু করেন এই চাষবাদ। নিয়মিত আন্তঃপরিচর্যা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি তার ফসল বিক্রি করে এ পর্যন্ত পেয়েছেন প্রায় ১লক্ষ টাকা। জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও সেচসহ চাষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পলাশ নিজেই কাজ করে যাচ্ছেন কোন সহযোগী ছাড়া।
তিনি সবকিছুই করেছেন আত্ম বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তার এই সাফল্যে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঐচারচরের কৃষক মোঃ পলাশের জমিতে গেলে দেখা যায়, সে একাই লতি কচু তুলতেছে এবং আঁটি বাঁধতেছে। পাশেই দাঁড়ানো ছিলো স্থানীয় ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আহমেদ। পরিচর্যা, স্বপ্ন ও সাফল্য নিয়ে জানতে চাইলে
কৃষক মোঃ পলাশ মিয়া সংবাদের এই প্রতিবেদকে জানান, প্রতিদিন লতি কচু তুলছি, স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। আর এই লতিকচু চাষে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আমাদের ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কাউছার স্যার। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে সিজিন শেষে ৩-৪লাখ টাকা পাবো আশা করছি। সামনের বছর আরো বেশি জমিতে করার স্বপ্ন দেখছি।
তিতাস উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লতি কচু চাষ লাভজনক ও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও পরিচর্যা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘পলাশের মতো উদ্যমী কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তার এই সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সে অনেক পরিশ্রম করছে। সিজন শেষে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছি।”
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার তিতাসে লতিকচু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ কৃষক পলাশ। তিনি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।
পলাশ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে নিরন্তর ফসলের মাঠে খেটে যাচ্ছেন, তবে মৌসুমি সবজি-কিংবা কৃষি ফসলে তেমন আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছিলেন না।
অনেক আশা নিয়ে এবার তিনি ঐচারচর গ্রামের উত্তর পাশে দেড় বিঘা জমিতে লতি কচুর আবাদ করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন; দেখছেন ভাগ্য বদলের স্বপ্নও।
গত ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি জমিতে লতিকচুর চারা রোপণ করে শুরু করেন এই চাষবাদ। নিয়মিত আন্তঃপরিচর্যা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি তার ফসল বিক্রি করে এ পর্যন্ত পেয়েছেন প্রায় ১লক্ষ টাকা। জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও সেচসহ চাষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পলাশ নিজেই কাজ করে যাচ্ছেন কোন সহযোগী ছাড়া।
তিনি সবকিছুই করেছেন আত্ম বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তার এই সাফল্যে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঐচারচরের কৃষক মোঃ পলাশের জমিতে গেলে দেখা যায়, সে একাই লতি কচু তুলতেছে এবং আঁটি বাঁধতেছে। পাশেই দাঁড়ানো ছিলো স্থানীয় ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আহমেদ। পরিচর্যা, স্বপ্ন ও সাফল্য নিয়ে জানতে চাইলে
কৃষক মোঃ পলাশ মিয়া সংবাদের এই প্রতিবেদকে জানান, প্রতিদিন লতি কচু তুলছি, স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। আর এই লতিকচু চাষে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আমাদের ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কাউছার স্যার। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে সিজিন শেষে ৩-৪লাখ টাকা পাবো আশা করছি। সামনের বছর আরো বেশি জমিতে করার স্বপ্ন দেখছি।
তিতাস উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লতি কচু চাষ লাভজনক ও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও পরিচর্যা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘পলাশের মতো উদ্যমী কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তার এই সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সে অনেক পরিশ্রম করছে। সিজন শেষে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছি।”