দুমকি (পটুয়াখালী) : এলজিইডির থানা ব্রিজ থেকে মৌকরন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত বেহাল সড়ক -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এলজিইডির থানা ব্রিজ থেকে জামলা, মুন্সীরহাট হয়ে মৌকরন বাজার ব্রীজের ঢাল পর্যন্ত ৭কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে মাঝারি ধরনের যানবাহন, ব্যবসায়িক পন্য, রিকশা, অটো রিকশা ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। এতে সড়কটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কের আশপাশের বাসিন্দা ও যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলজিইডির সড়কের দুমকি অংশের সাড়ে ৬কিলোমিটার চরম বেহাল দশা। কার্পেটিং ও খোয়া উঠে অসংখ্য খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।
ফলে পটুয়াখালী জেলা শহরে কম সময় ও সহজে যাতায়াতের এ সড়কটির যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাতায়াতের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও দুমকি বাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ মাহবুব হোসেন জানান, এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতি দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন। এ সড়কে চলাচলকারী অটো চালক আবু জাফর বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় সহজে কোনো গাড়ি এ রাস্তায় যেতে চায় না। একবার আসা-যাওয়ার পর দেখা যায় গাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ গাড়ির বাম্পার, চেসিসসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ একাধিকবার ভেঙেছে। মালিকরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে এই রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধই রেখেছে। হাতেগোনা কয়েকটা গাড়ি চলাচল করলেও গন্তব্যের শেষ পর্যন্ত যেতে পারছে না। তাতে যাত্রীদের আরও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা এলাকার সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, দুমকি থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাতায়াতের বিকল্প সড়কটির এমন দুরাস্থার কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। মুমুর্ষ রোগী, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবীসহ ভুক্তভোগী এ এলাকার জনগণের সুবিধার্থে জনস্বার্থে সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন।
সড়কের পাশে অবস্থিত লুর্থারান হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমিতাভ তরফদার বলেন, রাস্তাটির দুরাবস্থার কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত হচ্ছে। অসুস্থ, গর্ভবতী ও মুমুর্ষ রোগীদের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি প্রশস্তকরণ প্রকল্পভুক্ত রয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
দুমকি (পটুয়াখালী) : এলজিইডির থানা ব্রিজ থেকে মৌকরন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত বেহাল সড়ক -সংবাদ
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এলজিইডির থানা ব্রিজ থেকে জামলা, মুন্সীরহাট হয়ে মৌকরন বাজার ব্রীজের ঢাল পর্যন্ত ৭কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে মাঝারি ধরনের যানবাহন, ব্যবসায়িক পন্য, রিকশা, অটো রিকশা ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। এতে সড়কটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কের আশপাশের বাসিন্দা ও যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলজিইডির সড়কের দুমকি অংশের সাড়ে ৬কিলোমিটার চরম বেহাল দশা। কার্পেটিং ও খোয়া উঠে অসংখ্য খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি জমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।
ফলে পটুয়াখালী জেলা শহরে কম সময় ও সহজে যাতায়াতের এ সড়কটির যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাতায়াতের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও দুমকি বাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ মাহবুব হোসেন জানান, এলজিইডির গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতি দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন। এ সড়কে চলাচলকারী অটো চালক আবু জাফর বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় সহজে কোনো গাড়ি এ রাস্তায় যেতে চায় না। একবার আসা-যাওয়ার পর দেখা যায় গাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ গাড়ির বাম্পার, চেসিসসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ একাধিকবার ভেঙেছে। মালিকরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে এই রাস্তায় যান চলাচল প্রায় বন্ধই রেখেছে। হাতেগোনা কয়েকটা গাড়ি চলাচল করলেও গন্তব্যের শেষ পর্যন্ত যেতে পারছে না। তাতে যাত্রীদের আরও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা এলাকার সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, দুমকি থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাতায়াতের বিকল্প সড়কটির এমন দুরাস্থার কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। মুমুর্ষ রোগী, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবীসহ ভুক্তভোগী এ এলাকার জনগণের সুবিধার্থে জনস্বার্থে সড়কটি সংস্কার প্রয়োজন।
সড়কের পাশে অবস্থিত লুর্থারান হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমিতাভ তরফদার বলেন, রাস্তাটির দুরাবস্থার কারণে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাঘাত হচ্ছে। অসুস্থ, গর্ভবতী ও মুমুর্ষ রোগীদের যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি প্রশস্তকরণ প্রকল্পভুক্ত রয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।