alt

সারাদেশ

দুর্গাপুর-কলমাকান্দা হাতুড়ে ডাক্তারে সয়লাব

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা ও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজার গ্রাম-গঞ্জের, তিনআনি মোড়, চৌরাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসা গড়ে তুলে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে চিকিৎসা সেবার নামে হাতুড়ে ডাক্তাররা একটি শক্তিশালী বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দেদার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রায় ৫শ বর্গমাইল আয়তনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন আনুমানিক সহস্রাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী গড়ে তোলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ৯০ শতাংশ ফার্মেসিতে কোনো প্রকার ফার্মাসিস্ট ছাড়াই রোগীদের কাছ থেকে মৌখিক বর্ণনা শুনে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধের সবচেয়ে বেশি কমিশন থাকায় ক্রেতা সাধারণ একটু কম মূল্যে বেশি ওষুধ ক্রয় করতে পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক সময় ওষুধ সেবনে কোন সুফল আসছে না অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ টাকা থেকে ১শ টাকার ভিটামিন টনিক হাতে দিয়ে পুনরায় প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে- যা সেবনে কোনো কাজেই লাগে না। এসব ওষুধ সেবন করে ক্রমেই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা অবশেষে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হলে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সেবনে কলাকৌশলের গোমর ফাঁস হয়ে যায়।

দেশের প্রতিটি ওষুধের দোকানের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইনে বলা আছে ফার্মেসি পরিচালনার জন্য মালিক পক্ষ বা প্রতিনিধি ফার্মেসি কাউন্সিলের ব্যবসাধীনে গৃহীত ফার্মেসি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ড্রাগ লাইসেন্স অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ফার্মাসিস্ট স্বচ্ছলতার সনদপত্র, দোকান ভাড়ার রশিদ, চুক্তিনামা, নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিল, অঙ্গিকারপত্র, ফার্মাসিস্টদের নাগরিক সনদপত্র, ফরম নং-৭ ও ট্রেজারির চালান দিতে হবে। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইন না মানার কারণে সরকার যেমনি মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই রোগীরা হচ্ছেন চরম প্রতারণার শিকার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

ছবি

মৎস্য ঘেরের দখল নিয়ে গোলাগুলি, একজন নিহত

ছবি

পাটুরিয়ায় ব্যাপক ভাঙন, একটি ফেরিঘাট বন্ধ, অন্যটি বন্ধের পথে

ছবি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি স্মারকলিপি দিয়ে ফিরলেন নিহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৬৬, ১ জনের মৃত্যু

ছবি

হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষ হতে পারে অক্টোবরে, আশা প্রসিকিউশনের

ছবি

রিকশাচালক আজিজুরের জামিন, কিসের ভিত্তিতে আটক? জানতে চেয়েছে সরকার

ছবি

গৌরীপুরে বেগুন গাছে টমেটো চাষ কৃষক শহিদুল্লাহর বাজিমাত

ছবি

নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালকের মৃত্যু

ছবি

মোড়েলগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

ছবি

চকরিয়ায় চিংড়িজোনের মাছের ঘেরে নিহত ১

ছবি

মান্দায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

ছবি

ওলকচুর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বাড়ছে বোয়ালখালীতে

ছবি

বড়াইগ্রামে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

দামুড়হুদা টেলিফোন অফিসের বেহাল দশা

ছবি

ডুবেছে সাড়ে দশ হাজার বিঘা জমির ধান

ছবি

মুন্সীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক স্থানে দুই অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা, আহত ৬

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া-কাটাখালী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

ভালুকায় দুর্ধর্ষ চুরি

ছবি

ইন্দুরকানীতে পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ওষুধ নেই, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

ছবি

মাগুরা শহরে থেকে বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

ছবি

দোহারে বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ

ছবি

তিস্তা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

ছবি

সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

গৌরীপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি

পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, আটক ১

ছবি

কুয়াকাটায় এক ইলিশ ৫ হাজারে বিক্রি

ছবি

ঠিকাদারের হস্তান্তরের আগেই বাঁধে ধস

ছবি

সমাজ বিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগে বোর্ডের এক্সপার্ট হচ্ছে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের

ছবি

আন্তর্জাতিক বাজারে সবজি-ফল রপ্তানির সম্ভাবনা কালীগঞ্জে রপ্তানিকারক কৃষকদের জন্য ‘প্যাকিং হাউস’ নির্মাণের দাবি

ছবি

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২

ছবি

গ্রাহকের টাকা না দিয়ে লাপাত্তা সমিতির মালিক

ছবি

সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে সড়ক নির্মাণ বন্ধের পাঁয়তারা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ৫২ গাঁজা গাছসহ আটক ১ প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

ছবি

চকরিয়ায় ২২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের গলার কাঁটা ‘প্রিপেইড মিটার’

ছবি

সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা ভোগান্তির শিকার

ছবি

স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামীর আত্মহত্যা

tab

সারাদেশ

দুর্গাপুর-কলমাকান্দা হাতুড়ে ডাক্তারে সয়লাব

প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫

নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা ও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজার গ্রাম-গঞ্জের, তিনআনি মোড়, চৌরাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসা গড়ে তুলে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে চিকিৎসা সেবার নামে হাতুড়ে ডাক্তাররা একটি শক্তিশালী বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দেদার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রায় ৫শ বর্গমাইল আয়তনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন আনুমানিক সহস্রাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী গড়ে তোলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ৯০ শতাংশ ফার্মেসিতে কোনো প্রকার ফার্মাসিস্ট ছাড়াই রোগীদের কাছ থেকে মৌখিক বর্ণনা শুনে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধের সবচেয়ে বেশি কমিশন থাকায় ক্রেতা সাধারণ একটু কম মূল্যে বেশি ওষুধ ক্রয় করতে পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক সময় ওষুধ সেবনে কোন সুফল আসছে না অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ টাকা থেকে ১শ টাকার ভিটামিন টনিক হাতে দিয়ে পুনরায় প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে- যা সেবনে কোনো কাজেই লাগে না। এসব ওষুধ সেবন করে ক্রমেই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা অবশেষে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হলে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সেবনে কলাকৌশলের গোমর ফাঁস হয়ে যায়।

দেশের প্রতিটি ওষুধের দোকানের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইনে বলা আছে ফার্মেসি পরিচালনার জন্য মালিক পক্ষ বা প্রতিনিধি ফার্মেসি কাউন্সিলের ব্যবসাধীনে গৃহীত ফার্মেসি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ড্রাগ লাইসেন্স অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ফার্মাসিস্ট স্বচ্ছলতার সনদপত্র, দোকান ভাড়ার রশিদ, চুক্তিনামা, নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিল, অঙ্গিকারপত্র, ফার্মাসিস্টদের নাগরিক সনদপত্র, ফরম নং-৭ ও ট্রেজারির চালান দিতে হবে। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইন না মানার কারণে সরকার যেমনি মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই রোগীরা হচ্ছেন চরম প্রতারণার শিকার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

back to top