ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা ও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজার গ্রাম-গঞ্জের, তিনআনি মোড়, চৌরাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসা গড়ে তুলে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে চিকিৎসা সেবার নামে হাতুড়ে ডাক্তাররা একটি শক্তিশালী বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দেদার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রায় ৫শ বর্গমাইল আয়তনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন আনুমানিক সহস্রাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী গড়ে তোলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ৯০ শতাংশ ফার্মেসিতে কোনো প্রকার ফার্মাসিস্ট ছাড়াই রোগীদের কাছ থেকে মৌখিক বর্ণনা শুনে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধের সবচেয়ে বেশি কমিশন থাকায় ক্রেতা সাধারণ একটু কম মূল্যে বেশি ওষুধ ক্রয় করতে পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক সময় ওষুধ সেবনে কোন সুফল আসছে না অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ টাকা থেকে ১শ টাকার ভিটামিন টনিক হাতে দিয়ে পুনরায় প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে- যা সেবনে কোনো কাজেই লাগে না। এসব ওষুধ সেবন করে ক্রমেই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা অবশেষে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হলে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সেবনে কলাকৌশলের গোমর ফাঁস হয়ে যায়।
দেশের প্রতিটি ওষুধের দোকানের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইনে বলা আছে ফার্মেসি পরিচালনার জন্য মালিক পক্ষ বা প্রতিনিধি ফার্মেসি কাউন্সিলের ব্যবসাধীনে গৃহীত ফার্মেসি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ড্রাগ লাইসেন্স অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ফার্মাসিস্ট স্বচ্ছলতার সনদপত্র, দোকান ভাড়ার রশিদ, চুক্তিনামা, নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিল, অঙ্গিকারপত্র, ফার্মাসিস্টদের নাগরিক সনদপত্র, ফরম নং-৭ ও ট্রেজারির চালান দিতে হবে। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইন না মানার কারণে সরকার যেমনি মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই রোগীরা হচ্ছেন চরম প্রতারণার শিকার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
নেত্রকোণার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা ও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজার গ্রাম-গঞ্জের, তিনআনি মোড়, চৌরাস্তা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসা গড়ে তুলে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে চিকিৎসা সেবার নামে হাতুড়ে ডাক্তাররা একটি শক্তিশালী বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দেদার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে জমজমাট ব্যবসা করছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
তিনটি উপজেলায় প্রায় ১০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রায় ৫শ বর্গমাইল আয়তনে ড্রাগ লাইসেন্স বিহীন আনুমানিক সহস্রাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী গড়ে তোলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ৯০ শতাংশ ফার্মেসিতে কোনো প্রকার ফার্মাসিস্ট ছাড়াই রোগীদের কাছ থেকে মৌখিক বর্ণনা শুনে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নিম্নমানের ওষুধ, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট বিক্রি করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধের সবচেয়ে বেশি কমিশন থাকায় ক্রেতা সাধারণ একটু কম মূল্যে বেশি ওষুধ ক্রয় করতে পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেক সময় ওষুধ সেবনে কোন সুফল আসছে না অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৫০ টাকা থেকে ১শ টাকার ভিটামিন টনিক হাতে দিয়ে পুনরায় প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে- যা সেবনে কোনো কাজেই লাগে না। এসব ওষুধ সেবন করে ক্রমেই জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা অবশেষে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হলে মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সেবনে কলাকৌশলের গোমর ফাঁস হয়ে যায়।
দেশের প্রতিটি ওষুধের দোকানের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইনে বলা আছে ফার্মেসি পরিচালনার জন্য মালিক পক্ষ বা প্রতিনিধি ফার্মেসি কাউন্সিলের ব্যবসাধীনে গৃহীত ফার্মেসি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ড্রাগ লাইসেন্স অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য ফার্মাসিস্ট স্বচ্ছলতার সনদপত্র, দোকান ভাড়ার রশিদ, চুক্তিনামা, নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিল, অঙ্গিকারপত্র, ফার্মাসিস্টদের নাগরিক সনদপত্র, ফরম নং-৭ ও ট্রেজারির চালান দিতে হবে। ১৯৯৪ সালের প্রণীত আইন না মানার কারণে সরকার যেমনি মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনই রোগীরা হচ্ছেন চরম প্রতারণার শিকার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।