সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের চিনেডাঙ্গা এলাকায় ১৬ জুলাই গভীর রাতে হেলমেট ও মাস্ক পরে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেই মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়, যার ভাষা ছিল উসকানিমূলক। দেখে মনে হয় এটি আওয়ামী লীগের মিছিল হলেও, বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মিছিলের ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবহাটা উপজেলা আহ্বায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজ। একই পোস্টে তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হুমকিও দেন।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের নজরে আসে, মিছিলের একজন ছিলেন মুজাহিদ নিজেই, যিনি হেলমেট ও মাস্ক পরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে মিছিলে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সোলায়মান হোসেন। পরবর্তী সময়ে মিছিলের আরও একটি স্পষ্ট ভিডিও প্রকাশ হলে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ ঘটনায় মুজাহিদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখা। জেলা আহ্বায়ক মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, “দায়িত্বশীল পদে থেকেও তিনি একাধিকবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। আগেও তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কোনো পরিবর্তন না আসায় সংগঠনের স্বার্থে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর দেবহাটা উপজেলা আমির মাওলানা মো. অলিউল ইসলাম বলেন, “ওই মিছিলে থাকা অন্যরা জামায়াতকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোলায়মান জামায়াতের রোকন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জানা গেছে, ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী জেলা কমিটির কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ বছর বয়সী মুজাহিদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার মুজাহিদ বিন ফিরোজ ও সোলায়মান হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের চিনেডাঙ্গা এলাকায় ১৬ জুলাই গভীর রাতে হেলমেট ও মাস্ক পরে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেই মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মিছিল থেকে বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয়, যার ভাষা ছিল উসকানিমূলক। দেখে মনে হয় এটি আওয়ামী লীগের মিছিল হলেও, বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মিছিলের ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবহাটা উপজেলা আহ্বায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজ। একই পোস্টে তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হুমকিও দেন।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের নজরে আসে, মিছিলের একজন ছিলেন মুজাহিদ নিজেই, যিনি হেলমেট ও মাস্ক পরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে মিছিলে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সোলায়মান হোসেন। পরবর্তী সময়ে মিছিলের আরও একটি স্পষ্ট ভিডিও প্রকাশ হলে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ ঘটনায় মুজাহিদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখা। জেলা আহ্বায়ক মো. আরাফাত হোসাইন বলেন, “দায়িত্বশীল পদে থেকেও তিনি একাধিকবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন। আগেও তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। কোনো পরিবর্তন না আসায় সংগঠনের স্বার্থে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর দেবহাটা উপজেলা আমির মাওলানা মো. অলিউল ইসলাম বলেন, “ওই মিছিলে থাকা অন্যরা জামায়াতকর্মী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সোলায়মান জামায়াতের রোকন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জানা গেছে, ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামী জেলা কমিটির কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ বছর বয়সী মুজাহিদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার মুজাহিদ বিন ফিরোজ ও সোলায়মান হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।