কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অর্থ—৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। শনিবার দিনভর টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
মসজিদের ১১টি দানবাক্স চার মাস ১১ দিন পর খোলা হয়। এর মধ্যে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা। গণনার কাজে অংশ নেন রূপালী ব্যাংকের ৮০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ২৮৬ শিক্ষার্থীসহ মোট ৪৯৪ জন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এবার প্রাপ্ত ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা ইতোমধ্যে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দান হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার গয়নাও পাওয়া গেছে, যা পরে গণনা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছিল মসজিদের দানবাক্সে।
জানা গেছে, এই দানের অর্থ দিয়ে পাগলা মসজিদ, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা, এতিমখানা, গোরস্থানসহ জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয়।
নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। প্রায় ৫০০ বছর আগে দেওয়ান জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ হয়।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অর্থ—৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। শনিবার দিনভর টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
মসজিদের ১১টি দানবাক্স চার মাস ১১ দিন পর খোলা হয়। এর মধ্যে পাওয়া যায় ২৮ বস্তা টাকা। গণনার কাজে অংশ নেন রূপালী ব্যাংকের ৮০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ২৮৬ শিক্ষার্থীসহ মোট ৪৯৪ জন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এবার প্রাপ্ত ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা ইতোমধ্যে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দান হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার গয়নাও পাওয়া গেছে, যা পরে গণনা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছিল মসজিদের দানবাক্সে।
জানা গেছে, এই দানের অর্থ দিয়ে পাগলা মসজিদ, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা, এতিমখানা, গোরস্থানসহ জেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয়।
নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট পাগলা মসজিদটি কিশোরগঞ্জের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা। প্রায় ৫০০ বছর আগে দেওয়ান জিল কদর পাগলার নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ হয়।