দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বর্ষার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চাঙাভাব ফিরে এসেছে সমুদ্র সৈকতসহ হোটেল মোটেল জোন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার বন্ধের সঙ্গে সাপ্তাহিক এবং নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে বৃহস্পিাতবার (১০ অক্টোবর) থেকে চারদিনের ছুটি কাটাতে ইতোমধ্যে হাজারো পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে এসেছে। পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকরা এবার সৈকত নগরী কক্সবাজারে আসছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল-গেস্ট হাউসের বুকিং ৮০% থেকে ১০০% সম্পন্ন হয়েছে। তবে, তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং হয়েছে শতভাগ। এর আগে পর্যটক টানতে ৯৫% ভাগ হোটেল ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক। সেই হিসেবে এবারের ছুটিতেও প্রতিদিন দেড় লক্ষ পর্যটক কক্সবাজার অবস্থান করছেন।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ছুটিতে কক্সবাজারের দীর্ঘ দিনের পর্যটক খরা কেটে যাবে। পর্যটকদের আথিতেয়তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মালিক পক্ষ। এতে লাখো পর্যটকের অবস্থানে কয়েকশ কোটি টাকা বাণিজ্য হতে পারে।
বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবদুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হলে চেনা রূপে ফিরবে কক্সবাজার।
হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জিএম রিয়াদ ইফতেখার বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী সৈকত, মহেশখালী, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও পর্যটক সমাগম ঘটেছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে কয়েকটি ভাগে সাজানো হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশকে। টেকনাফ ও ইনানীসহ সব স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্বপালন করছে। সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও টহল জোরদার করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে অবস্থান ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো সৈকত নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। থাকবে যৌথ টহল, প্রশাসনের মোবাইল টিম।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। সৈকতের প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক মোবাইল টিম বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বর্ষার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চাঙাভাব ফিরে এসেছে সমুদ্র সৈকতসহ হোটেল মোটেল জোন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার বন্ধের সঙ্গে সাপ্তাহিক এবং নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে বৃহস্পিাতবার (১০ অক্টোবর) থেকে চারদিনের ছুটি কাটাতে ইতোমধ্যে হাজারো পর্যটক কক্সবাজারে ছুটে এসেছে। পার্বত্য তিন জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকরা এবার সৈকত নগরী কক্সবাজারে আসছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল-গেস্ট হাউসের বুকিং ৮০% থেকে ১০০% সম্পন্ন হয়েছে। তবে, তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং হয়েছে শতভাগ। এর আগে পর্যটক টানতে ৯৫% ভাগ হোটেল ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউসে ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক। সেই হিসেবে এবারের ছুটিতেও প্রতিদিন দেড় লক্ষ পর্যটক কক্সবাজার অবস্থান করছেন।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এবারের ছুটিতে কক্সবাজারের দীর্ঘ দিনের পর্যটক খরা কেটে যাবে। পর্যটকদের আথিতেয়তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মালিক পক্ষ। এতে লাখো পর্যটকের অবস্থানে কয়েকশ কোটি টাকা বাণিজ্য হতে পারে।
বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবদুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হলে চেনা রূপে ফিরবে কক্সবাজার।
হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জিএম রিয়াদ ইফতেখার বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী সৈকত, মহেশখালী, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও পর্যটক সমাগম ঘটেছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে কয়েকটি ভাগে সাজানো হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশকে। টেকনাফ ও ইনানীসহ সব স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্বপালন করছে। সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও টহল জোরদার করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে অবস্থান ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো সৈকত নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। থাকবে যৌথ টহল, প্রশাসনের মোবাইল টিম।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে। সৈকতের প্রবেশ পথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক টানা ৪ দিনের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক মোবাইল টিম বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।