টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুর রানী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)। ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে স্কুল চত্বরে একত্রিত হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের ভাই আশরাফ মাসুদের নেতৃত্বে কিছু লোক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে তাঁর চেয়ারটি জোর করে নিয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল বাছেদ বলেন,
> “একজন নেতা স্কুলে এসে আমার চেয়ার চান। আমি বলি, আমি তো উনাকে চিনি না। কিছুক্ষণ পর আমার অজান্তেই আমার চেয়ার নিয়ে যান এবং দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। পরে আমি মধুপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দায় এড়াল বিএনপি
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন,
> “ঘটনাটি আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা দলীয়ভাবে হতাশ। এমন কোনো কর্মকাণ্ড বিএনপি সমর্থন করে না।”
> তিনি আরও জানান, কর্নেল আজাদের দলে কোনো পদ-পদবি নেই।
পুলিশ বলছে, সমাধান চেষ্টায় আছি
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির বলেন,
> “প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পাওয়ার পর কর্নেল আজাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী শনিবার বসে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরকারি একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুর রানী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)। ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে স্কুল চত্বরে একত্রিত হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আসাদুল ইসলাম আজাদের ভাই আশরাফ মাসুদের নেতৃত্বে কিছু লোক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে তাঁর চেয়ারটি জোর করে নিয়ে যান।
প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল বাছেদ বলেন,
> “একজন নেতা স্কুলে এসে আমার চেয়ার চান। আমি বলি, আমি তো উনাকে চিনি না। কিছুক্ষণ পর আমার অজান্তেই আমার চেয়ার নিয়ে যান এবং দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। পরে আমি মধুপুর থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দায় এড়াল বিএনপি
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন,
> “ঘটনাটি আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষকের চেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমরা দলীয়ভাবে হতাশ। এমন কোনো কর্মকাণ্ড বিএনপি সমর্থন করে না।”
> তিনি আরও জানান, কর্নেল আজাদের দলে কোনো পদ-পদবি নেই।
পুলিশ বলছে, সমাধান চেষ্টায় আছি
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির বলেন,
> “প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পাওয়ার পর কর্নেল আজাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী শনিবার বসে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
---