গঙ্গা নদীর উজানে ভারতের তৈরি ফারাক্কা ব্যারাজের ফলে বাংলাদেশের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় ৬ কোটি মানুষ আজ পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন।
রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ও নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। এ সময় ফারাক্কা লং মার্চের অংশগহণকারী মাহমুদ জামাল কাদেরী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী তিনি জানান, ব্যারাজের কারণে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পসহ একাধিক সেচ প্রকল্পে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকুপ প্রায় সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে এবং অগভীর নলকূপগুলোর কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষিকাজ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
জলবৈচিত্রের উপর ভয়াবহ প্রভাব উল্যেখযোগ্যভাবে, পদ্মা নদীর গভীরতা ও পানিপ্রবাহ গত চার দশকে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এর ফলে নদীভিত্তিক জীববৈচিত্রে হুমকির মুখে। এক সময়ের পরিচিত নদীর প্রাণ-ডলফিন, ঘড়িয়াল ও ইলিশ-আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের জীবিকা ও দেশীয় মাছের উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফারাক্কা ব্যারাজের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও। গঙ্গার পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় সেখানে লবণাক্ততা বাড়ছে, যা কৃষিকাজ ও সুপেয় পানির উৎসকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। খুলনা ও সাতক্ষীরার অনেক কৃষক এবার ধান ফলাতে পারেননি এবং পানির অভাবে মানুষকে বাধ্য হয়ে দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পাচ্ছে, সে বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। এ ছাড়া চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার আগেই তা পুনর্মূল্যায়নের দাবি ওঠেছে।’
তিনি আরও সুপারিশ করেন, নতুন চুক্তিতে ১৯৭৭ সালের ‘গ্যারান্টি ক্লজ’ পুনঃস্থাপন, নদী কমিশনে নেপালের অন্তর্ভুক্তি, আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার প্রস্ততি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাহবুব সিদ্দিকী মনে করেন, ‘ফারাক্কার প্রভাব কেবল পানি সংকট নয়-এটি একটি ব্যাপক আর্থসামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক ইস্যু’ তার মতে, সমাধানের জন্য চাই জাতীয় ঐক্য, জোরালো কুটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক সহায়তা। সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ফারাক্কা লং মার্চে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ নেতারা, গবেষক ও পরিবেশবিদরা।
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
গঙ্গা নদীর উজানে ভারতের তৈরি ফারাক্কা ব্যারাজের ফলে বাংলাদেশের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে প্রায় ৬ কোটি মানুষ আজ পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন।
রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ও নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। এ সময় ফারাক্কা লং মার্চের অংশগহণকারী মাহমুদ জামাল কাদেরী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী তিনি জানান, ব্যারাজের কারণে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পসহ একাধিক সেচ প্রকল্পে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে গভীর নলকুপ প্রায় সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে এবং অগভীর নলকূপগুলোর কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষিকাজ কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
জলবৈচিত্রের উপর ভয়াবহ প্রভাব উল্যেখযোগ্যভাবে, পদ্মা নদীর গভীরতা ও পানিপ্রবাহ গত চার দশকে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এর ফলে নদীভিত্তিক জীববৈচিত্রে হুমকির মুখে। এক সময়ের পরিচিত নদীর প্রাণ-ডলফিন, ঘড়িয়াল ও ইলিশ-আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের জীবিকা ও দেশীয় মাছের উৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফারাক্কা ব্যারাজের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও। গঙ্গার পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় সেখানে লবণাক্ততা বাড়ছে, যা কৃষিকাজ ও সুপেয় পানির উৎসকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। খুলনা ও সাতক্ষীরার অনেক কৃষক এবার ধান ফলাতে পারেননি এবং পানির অভাবে মানুষকে বাধ্য হয়ে দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কী পরিমাণ পানি পাচ্ছে, সে বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। এ ছাড়া চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার আগেই তা পুনর্মূল্যায়নের দাবি ওঠেছে।’
তিনি আরও সুপারিশ করেন, নতুন চুক্তিতে ১৯৭৭ সালের ‘গ্যারান্টি ক্লজ’ পুনঃস্থাপন, নদী কমিশনে নেপালের অন্তর্ভুক্তি, আন্তনদী সংযোগ প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার প্রস্ততি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মাহবুব সিদ্দিকী মনে করেন, ‘ফারাক্কার প্রভাব কেবল পানি সংকট নয়-এটি একটি ব্যাপক আর্থসামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক ইস্যু’ তার মতে, সমাধানের জন্য চাই জাতীয় ঐক্য, জোরালো কুটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তর্জাতিক সহায়তা। সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ফারাক্কা লং মার্চে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ নেতারা, গবেষক ও পরিবেশবিদরা।