ফেনীতে টানা দুদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা।
ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীতে পানি বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলার গদানগর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের প্রায় ১০ মিটার এবং বল্লামুখা এলাকায় মুহুরী নদীর সংস্কার করা বাঁধের অংশ ধসে গেছে। ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর রোড এলাকায় মুহুরী নদীর ভাঙনে দুটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বাঁধ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম। ফুলগাজী-রাজেষপুর আঞ্চলিক সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শহরের রামপুর, নাজির রোড, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, ডাক্তারপাড়া, শাহীন একাডেমিসহ অনেক এলাকাতেই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে আছে। জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দুর্ভোগ বাড়িয়েছে জানিয়ে কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা জোহরা হক বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় মোটর চালিয়ে পানি তোলা যাচ্ছে না, মোবাইলও চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। পুরো ভবনের বাসিন্দারা দুর্ভোগে আছি।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে খাল ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না। তবে ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন দাবি করেন, পৌরসভার কর্মীরা নিয়মিত পানি নিষ্কাশনে কাজ করছেন এবং খাল-নালা পরিষ্কারে বিগত কয়েক মাস ধরেই কার্যক্রম চলছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসন থেকে বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ২৯ জন প্রাণ হারান। প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকার বেশি।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
ফেনীতে টানা দুদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে শহরের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির প্রভাবে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা।
ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুহুরী নদীতে পানি বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পরশুরাম উপজেলার গদানগর এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের প্রায় ১০ মিটার এবং বল্লামুখা এলাকায় মুহুরী নদীর সংস্কার করা বাঁধের অংশ ধসে গেছে। ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর রোড এলাকায় মুহুরী নদীর ভাঙনে দুটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বাঁধ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম। ফুলগাজী-রাজেষপুর আঞ্চলিক সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শহরের রামপুর, নাজির রোড, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, ডাক্তারপাড়া, শাহীন একাডেমিসহ অনেক এলাকাতেই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে আছে। জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দুর্ভোগ বাড়িয়েছে জানিয়ে কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা জোহরা হক বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় মোটর চালিয়ে পানি তোলা যাচ্ছে না, মোবাইলও চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। পুরো ভবনের বাসিন্দারা দুর্ভোগে আছি।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে খাল ও ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হচ্ছে না। তবে ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন দাবি করেন, পৌরসভার কর্মীরা নিয়মিত পানি নিষ্কাশনে কাজ করছেন এবং খাল-নালা পরিষ্কারে বিগত কয়েক মাস ধরেই কার্যক্রম চলছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, “বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসন থেকে বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ২৯ জন প্রাণ হারান। প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকার বেশি।