ফেনীর পরশুরামে ঘর থেকে বন্যার পানি নামার পর রান্নাঘরে সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৪৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পরশুরাম পৌরসভার সলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রিনা ছিলেন সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিনের বন্যায় তাদের বাড়িতে পানি উঠেছিল। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে শুক্রবার বিকালে তারা বাড়িতে ফেরেন। সন্ধ্যায় রিনা রান্নাঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে লুকিয়ে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়।
চিৎকার শুনে স্বামী শফিকুল তাকে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসাসেবায় আশ্বস্ত না হয়ে রিনাকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
শফিকুল বলেন, “পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে নিয়ে গেলে আশানুরুপ চিকিৎসা না পেয়ে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে একটি লিখিত স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখেন।”
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. রেদোয়ান বলেন, “রোগীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে হয়তো প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হতো।”
এদিকে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম জানিয়েছেন, জেলায় দুর্যোগকালীন চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম, খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ মজুদ রয়েছে। তাছাড়া ৭৬টি জরুরি মেডিকেল টিম এবং কন্ট্রোল রুমও চালু রয়েছে।
তবে রিনার স্বামীর অভিযোগ, পরশুরাম হাসপাতালে সাপে কাটার প্রতিষেধক না থাকায় তারা আরও দূরে ফেনী শহরে ছুটে যেতে বাধ্য হন, যা তার স্ত্রীর মৃত্যুর পেছনে অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ফেনীর পরশুরামে ঘর থেকে বন্যার পানি নামার পর রান্নাঘরে সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৪৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পরশুরাম পৌরসভার সলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রিনা ছিলেন সলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিনের বন্যায় তাদের বাড়িতে পানি উঠেছিল। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলে শুক্রবার বিকালে তারা বাড়িতে ফেরেন। সন্ধ্যায় রিনা রান্নাঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে লুকিয়ে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়।
চিৎকার শুনে স্বামী শফিকুল তাকে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসাসেবায় আশ্বস্ত না হয়ে রিনাকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
শফিকুল বলেন, “পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে নিয়ে গেলে আশানুরুপ চিকিৎসা না পেয়ে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার কাছ থেকে একটি লিখিত স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখেন।”
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. রেদোয়ান বলেন, “রোগীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে হয়তো প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হতো।”
এদিকে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ রুবাইয়াত বিন করিম জানিয়েছেন, জেলায় দুর্যোগকালীন চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম, খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও অন্যান্য ওষুধ মজুদ রয়েছে। তাছাড়া ৭৬টি জরুরি মেডিকেল টিম এবং কন্ট্রোল রুমও চালু রয়েছে।
তবে রিনার স্বামীর অভিযোগ, পরশুরাম হাসপাতালে সাপে কাটার প্রতিষেধক না থাকায় তারা আরও দূরে ফেনী শহরে ছুটে যেতে বাধ্য হন, যা তার স্ত্রীর মৃত্যুর পেছনে অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।