ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানমনিপাড়া ও মোঘলটুলা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ইউএনও মোশাররফ হোসাইন ও ওসি রফিকুল হাসান। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওসিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোবাইলের চার্জার কেনাবেচা নিয়ে কয়েক মাস আগে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তারই জেরে গতকাল সন্ধ্যায় চানমনিপাড়ার হালিমা বেগম ও তাঁর ছেলে সাইফুলের সঙ্গে মোঘলটুলার তৌহিদ মিয়ার কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা, দা, বল্লম ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্ধকারে অনেকেই হাতে টর্চলাইট নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ইউএনওর হাঁটুতে এবং ওসির চোখের ওপরে আঘাত লাগে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, ‘সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান ঘটনাস্থলে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।’
ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সরাইলে সংঘর্ষে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনা আমি মেনে নিতে পারিনি। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে না গিয়ে পারলাম না। কথায় কথায় সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধের জেরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানমনিপাড়া ও মোঘলটুলা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ইউএনও মোশাররফ হোসাইন ও ওসি রফিকুল হাসান। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ওসিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোবাইলের চার্জার কেনাবেচা নিয়ে কয়েক মাস আগে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তারই জেরে গতকাল সন্ধ্যায় চানমনিপাড়ার হালিমা বেগম ও তাঁর ছেলে সাইফুলের সঙ্গে মোঘলটুলার তৌহিদ মিয়ার কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা, দা, বল্লম ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্ধকারে অনেকেই হাতে টর্চলাইট নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে ইউএনওর হাঁটুতে এবং ওসির চোখের ওপরে আঘাত লাগে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, ‘সরাইল থানার ওসি রফিকুল হাসান ঘটনাস্থলে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।’
ইউএনও মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সরাইলে সংঘর্ষে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনা আমি মেনে নিতে পারিনি। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে না গিয়ে পারলাম না। কথায় কথায় সংঘর্ষের সংস্কৃতি থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।’