ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকা মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৪০ জনের প্রাণহানী ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাটিয়ারী এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. আব্দুল আহাদ আরিফ (২০) ও মো. জুয়েল (২৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের বড় দারোগারহাট থেকে সিটিগেইট পর্যন্ত ছোট-বড় অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারি, যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার বেশিরভাগ ঘটেছে পথচারিদের উদাসীনতা কারণে। এ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করা, দ্রুতগতিতে গাড়ি আসতে দেখেও দৌড়ে সড়ক পার হওয়ার চেষ্টায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। এ ছাড়া চালকের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, চালকদের গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতা ও ঘুমচোখে গাড়ি চালানোর কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা লরি-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ডিপু, সড়কে দাড়িয়ে থাকা ভারী যানবাহন ও কনটেইনার ডিপু দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ১৭টি স্থানে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানগুলো হলো সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট, ছোট দারোগারহাট, পৌর সদরের শেখপাড়া ইউটার্ন, সীতাকুণ্ড উত্তর বাইপাস, দক্ষিণ বাইপাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট এলাকা, শুকলাল হাট, বাড়বকুণ্ড বাজার, চাড়ালকান্দি ইউটার্ন, বাঁশবাড়িয়া বাজার, সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা, রয়েল গেট, জোড়আমতল, বার আউলিয়া, শীতলপুর, মাদাম বিবিরহাট ও বন্দর-ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড়ের সংযোগস্থল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। তারমধ্যে রয়েছে সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেইফ লাইন। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়া এগুলো চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মোমিন বলেন, পথচারী ও সাধারণ মানুষের উদাসীনতাই দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ। সেই সঙ্গে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তার সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটে অহরহ দুর্ঘটনা।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল বলেন, চালক এবং পথচারীদের অসর্তকতার পাশাপাশি ডিপু থেকে বের হওয়া বা ডিপুতে প্রবেশের জন্য মহাসড়কে দাড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের নজদারী বৃদ্ধি হলে ও অসতর্কভাবে পারাপার বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকা মৃত্যুকূপে পরিনত হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৪০ জনের প্রাণহানী ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাটিয়ারী এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. আব্দুল আহাদ আরিফ (২০) ও মো. জুয়েল (২৩) নামে দুজনের মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সাত মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের বড় দারোগারহাট থেকে সিটিগেইট পর্যন্ত ছোট-বড় অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় পথচারি, যাত্রী, চালক ও চালকের সহকারীসহ ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার বেশিরভাগ ঘটেছে পথচারিদের উদাসীনতা কারণে। এ ছাড়া রাস্তা পারাপারে পদচারী-সেতু ব্যবহার না করা, দ্রুতগতিতে গাড়ি আসতে দেখেও দৌড়ে সড়ক পার হওয়ার চেষ্টায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীরা। এ ছাড়া চালকের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, চালকদের গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতা ও ঘুমচোখে গাড়ি চালানোর কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা লরি-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ডিপু, সড়কে দাড়িয়ে থাকা ভারী যানবাহন ও কনটেইনার ডিপু দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ১৭টি স্থানে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানগুলো হলো সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট, ছোট দারোগারহাট, পৌর সদরের শেখপাড়া ইউটার্ন, সীতাকুণ্ড উত্তর বাইপাস, দক্ষিণ বাইপাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেট এলাকা, শুকলাল হাট, বাড়বকুণ্ড বাজার, চাড়ালকান্দি ইউটার্ন, বাঁশবাড়িয়া বাজার, সুলতানা মন্দির, ছোট কুমিরা, রয়েল গেট, জোড়আমতল, বার আউলিয়া, শীতলপুর, মাদাম বিবিরহাট ও বন্দর-ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড়ের সংযোগস্থল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে যাতায়াত করছে। তারমধ্যে রয়েছে সিএনজিচালিত লেগুনা ও সেইফ লাইন। এসব গাড়ির চালকদের বেশির ভাগই অদক্ষ। স্থানীয় রিকশাচালকেরা অভিজ্ঞতা ছাড়া এগুলো চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মোমিন বলেন, পথচারী ও সাধারণ মানুষের উদাসীনতাই দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ। সেই সঙ্গে চালকের ওভারস্পিড, ওভারটেক ও ওভারলোডের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে অধিকাংশ চালকের দুর্বলতা। বেশি টাকা উপার্জন ও একাধিক ট্রিপ মারতে ঘুমচোখে গাড়ি চালানো এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বহন করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ছাড়া চালকের পরিবর্তে তার সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলেও ঘটে অহরহ দুর্ঘটনা।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. বেলাল বলেন, চালক এবং পথচারীদের অসর্তকতার পাশাপাশি ডিপু থেকে বের হওয়া বা ডিপুতে প্রবেশের জন্য মহাসড়কে দাড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের নজদারী বৃদ্ধি হলে ও অসতর্কভাবে পারাপার বন্ধ করা গেলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।