মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আরও একজনকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতের এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী হরিণছড়া চা বাগানের পশ্চিম লাইনে। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—হরিণছড়া চা বাগানের উদয় পটনায়েকের দুই ছেলে রানা পটনায়েক (১৭) ও শ্রাবণ পটনায়েক (১৯), জহর লাল রবিদাসের ছেলে কৃষ্ণা রবিদাস (১৯) এবং লক্ষ্মিন্দর ফুলমালির ছেলে নৃপেন ফুলমালি (২৭)। অসুস্থ চা শ্রমিক রবিন্দ্র বুনার্জীকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চা বাগানের বাসিন্দা সবুজ তজু জানান, বুধবার মধ্যরাতে রানা পটনায়েক টয়লেটে গেলে তার মোবাইল ফোনটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে তিনি মোবাইল তুলতে নেমে আর উঠে না এলে, তার ভাই শ্রাবণসহ আরও তিনজন একে একে ট্যাংকে নামেন। কিন্তু তারাও আর উঠতে পারেননি।
পরে বাগানের অন্য শ্রমিকরা সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাস বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আরও একজনকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতের এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী হরিণছড়া চা বাগানের পশ্চিম লাইনে। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—হরিণছড়া চা বাগানের উদয় পটনায়েকের দুই ছেলে রানা পটনায়েক (১৭) ও শ্রাবণ পটনায়েক (১৯), জহর লাল রবিদাসের ছেলে কৃষ্ণা রবিদাস (১৯) এবং লক্ষ্মিন্দর ফুলমালির ছেলে নৃপেন ফুলমালি (২৭)। অসুস্থ চা শ্রমিক রবিন্দ্র বুনার্জীকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চা বাগানের বাসিন্দা সবুজ তজু জানান, বুধবার মধ্যরাতে রানা পটনায়েক টয়লেটে গেলে তার মোবাইল ফোনটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে তিনি মোবাইল তুলতে নেমে আর উঠে না এলে, তার ভাই শ্রাবণসহ আরও তিনজন একে একে ট্যাংকে নামেন। কিন্তু তারাও আর উঠতে পারেননি।
পরে বাগানের অন্য শ্রমিকরা সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাস বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।