ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হযরত শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহ (রহ.)-এর মাজারে সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার পর গভীর রাতে মাজারের একটি অংশ ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শহরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, নিন্দা জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
বুধবার রাতে মাজার প্রাঙ্গণে ওরস উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া এবং কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাত ১১টার দিকে জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. মোমেনশাহী বড় মসজিদের কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র সেখানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দেন। তাঁরা মঞ্চ, শামিয়ানা এবং সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। শিল্পীরা প্রাণে বাঁচতে স্থান ত্যাগ করেন।
এরপর রাত ৩টার দিকে আরও বড় একটি দল মাজারে গিয়ে হামলা চালায়। তারা মাজারের একটি অংশ ভেঙে ফেলে এবং অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাস্থলে খুব কম মানুষ থাকায় ভক্তরা সরাসরি বাধা দিতে পারেননি।
মাজারের পীরবাবা খলিলুর রহমান চিশতী নিজামী বলেন, “দেড়শ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা কোনো ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড করিনি। আমাদের সঠিক বিচার চাই।”
বাউল শিল্পী মিজান বাউলা বলেন, “৪৫ বছর ধরে এখানে গান করছি, কখনো এমন হয়নি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।”
জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময় গান এবং উচ্চ শব্দে বিরক্ত হয়েছিল। তারা রাগের বশে ভাঙচুর করেছে। তবে তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের এমন কাজে আর জড়িত না হওয়ার জন্য বোঝাচ্ছি।”
কোতোয়ালি থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়, এরপর রাতে মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি, আমরা তদন্ত করছি।”
হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। তরুণ কবি শামীম আশরাফ বলেন, “শিল্প-সংস্কৃতির এই শহরে এমন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম এবং বিএনপি নেতা আলমগীর মাহমুদ আলমসহ অনেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শান্তি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হযরত শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহ (রহ.)-এর মাজারে সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার পর গভীর রাতে মাজারের একটি অংশ ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শহরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, নিন্দা জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, সংস্কৃতিকর্মী এবং সাধারণ মানুষ।
বুধবার রাতে মাজার প্রাঙ্গণে ওরস উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া এবং কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাত ১১টার দিকে জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. মোমেনশাহী বড় মসজিদের কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র সেখানে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান ভেঙে দেন। তাঁরা মঞ্চ, শামিয়ানা এবং সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। শিল্পীরা প্রাণে বাঁচতে স্থান ত্যাগ করেন।
এরপর রাত ৩টার দিকে আরও বড় একটি দল মাজারে গিয়ে হামলা চালায়। তারা মাজারের একটি অংশ ভেঙে ফেলে এবং অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাস্থলে খুব কম মানুষ থাকায় ভক্তরা সরাসরি বাধা দিতে পারেননি।
মাজারের পীরবাবা খলিলুর রহমান চিশতী নিজামী বলেন, “দেড়শ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা কোনো ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড করিনি। আমাদের সঠিক বিচার চাই।”
বাউল শিল্পী মিজান বাউলা বলেন, “৪৫ বছর ধরে এখানে গান করছি, কখনো এমন হয়নি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।”
জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময় গান এবং উচ্চ শব্দে বিরক্ত হয়েছিল। তারা রাগের বশে ভাঙচুর করেছে। তবে তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের এমন কাজে আর জড়িত না হওয়ার জন্য বোঝাচ্ছি।”
কোতোয়ালি থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়, এরপর রাতে মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি, আমরা তদন্ত করছি।”
হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। তরুণ কবি শামীম আশরাফ বলেন, “শিল্প-সংস্কৃতির এই শহরে এমন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম এবং বিএনপি নেতা আলমগীর মাহমুদ আলমসহ অনেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শান্তি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।