কক্সবাজারের রামুতে দিনদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীর চেয়েও বেশি প্রবল আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর ভর্তি বেড়ে চলেছে। আবার অনেক রোগী ডাক্তারের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গুর আক্রমণ প্রতিরোধে সম্ভাব্য স্হানে মশা নিধন ঔষধ বা স্প্রে প্রয়োগ করার দাবি করছেন সচেতন মহল।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রামুর জোয়ারিয়ানালা উত্তর মিঠাছড়ি পাহাড়িয়া পাড়া এলাকার ইমরান মো. ইমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে যুবকটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু করেছে বলে জানা গেছে।
রামু হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগস্ট মাসে মোট ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়েছে ১৩৪ জনের। তার মধ্যে ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া যায় ১৯জন। সেপ্টেম্বর মাসে মোট ডেঙ্গু টেস্ট হয়েছে ২৫৬ জনের।
তার মধ্যে ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৩ জন।
চলতি অক্টোবর মাসের এই ৫ দিনে মোট ডেঙ্গু টেস্ট হয়েছে ৫৯জনের। তারমধ্যে পজিটিভ ৬ জন। হাসপাতাল মোট ভর্তি আছে ৭ জন।
জানা যায়, পজিটিভ রোগীরা বেশীরভাগ ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাজারীকুল, মন্ডল পাড়া, মেরংলোয়া ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ।
হাজারীকুল এলাকার রিজন বড়ুয়া বলেন, হাজারীকুল গ্রামে ডেঙ্গুর অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আমার পরিবারে আমি সহ ২ জনের ডেঙ্গু পজিটিভ। তাছাড়া পুরো গ্রামে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। রামু হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পেলেও উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধক ঔষধ বা স্প্রে প্রয়োগ করতে দেখিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল যদি ধ্বংস করা যায় এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা যায় তবে দ্রুত হ্রাস পাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার। বসতবাড়ী ও সকল স্থাপনার আশেপাশে যেন জলাবদ্ধতা না থাকে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মশাবাহিত এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে শরণাপন্ন হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের। স্হানীয়ভাবে দেখা যায়, সাধারণ জনসাধারণের মাঝে ডেঙ্গু আক্রান্তের চেয়েও বেশি প্রবল হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, আজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২ জন, মোট ভর্তি রোগী ৭ জন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ডেঙ্গু টেস্ট কীট আছে। অভিজ্ঞ ডাক্তার ও দক্ষ টেকনিশিয়ান এবং নার্সরা নিরলসভাবে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জ্বর হলেই হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা যাবে না। পাশাপাশি সামাজিক ভাবে ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
কক্সবাজারের রামুতে দিনদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীর চেয়েও বেশি প্রবল আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর ভর্তি বেড়ে চলেছে। আবার অনেক রোগী ডাক্তারের পরামর্শে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গুর আক্রমণ প্রতিরোধে সম্ভাব্য স্হানে মশা নিধন ঔষধ বা স্প্রে প্রয়োগ করার দাবি করছেন সচেতন মহল।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রামুর জোয়ারিয়ানালা উত্তর মিঠাছড়ি পাহাড়িয়া পাড়া এলাকার ইমরান মো. ইমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে যুবকটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু করেছে বলে জানা গেছে।
রামু হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগস্ট মাসে মোট ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়েছে ১৩৪ জনের। তার মধ্যে ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া যায় ১৯জন। সেপ্টেম্বর মাসে মোট ডেঙ্গু টেস্ট হয়েছে ২৫৬ জনের।
তার মধ্যে ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৩ জন।
চলতি অক্টোবর মাসের এই ৫ দিনে মোট ডেঙ্গু টেস্ট হয়েছে ৫৯জনের। তারমধ্যে পজিটিভ ৬ জন। হাসপাতাল মোট ভর্তি আছে ৭ জন।
জানা যায়, পজিটিভ রোগীরা বেশীরভাগ ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাজারীকুল, মন্ডল পাড়া, মেরংলোয়া ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ।
হাজারীকুল এলাকার রিজন বড়ুয়া বলেন, হাজারীকুল গ্রামে ডেঙ্গুর অবস্থা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আমার পরিবারে আমি সহ ২ জনের ডেঙ্গু পজিটিভ। তাছাড়া পুরো গ্রামে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। রামু হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পেলেও উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধক ঔষধ বা স্প্রে প্রয়োগ করতে দেখিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল যদি ধ্বংস করা যায় এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা যায় তবে দ্রুত হ্রাস পাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার। বসতবাড়ী ও সকল স্থাপনার আশেপাশে যেন জলাবদ্ধতা না থাকে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মশাবাহিত এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে শরণাপন্ন হতে পরামর্শ চিকিৎসকদের। স্হানীয়ভাবে দেখা যায়, সাধারণ জনসাধারণের মাঝে ডেঙ্গু আক্রান্তের চেয়েও বেশি প্রবল হয়ে উঠেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, আজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২ জন, মোট ভর্তি রোগী ৭ জন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ডেঙ্গু টেস্ট কীট আছে। অভিজ্ঞ ডাক্তার ও দক্ষ টেকনিশিয়ান এবং নার্সরা নিরলসভাবে ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। জ্বর হলেই হাসপাতালে এসে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা যাবে না। পাশাপাশি সামাজিক ভাবে ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।