জাতীয় পরিচয়পত্র সমস্যার সমাধান করতে এসে নিজেই আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক, যিনি ভুয়া তথ্য দিয়ে আগেই এনআইডি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবক মো. সাবের (২০) উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
পটিয়া উপজেলার সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সাবের এক রোহিঙ্গা নাগরিকের ব্লক করা এনআইডি সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাচন অফিসে আসেন। সন্দেহজনক আচরণ এবং ভাষার পার্থক্য দেখে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “সাবের প্রথমে নিজেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটার এবং পটিয়ার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। তবে তার ভাষা এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন, তিনি রোহিঙ্গা এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।”
সাবের আরও জানান, ২০২২ সালে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, সাবের এনআইডি জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা করে থাকা সিস্টেমের ফাঁকফোকর এবং সচেতনতার অভাব আবারও সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এমন জালিয়াতি প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় পরিচয়পত্র সমস্যার সমাধান করতে এসে নিজেই আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক, যিনি ভুয়া তথ্য দিয়ে আগেই এনআইডি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবক মো. সাবের (২০) উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের বাসিন্দা।
পটিয়া উপজেলার সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সাবের এক রোহিঙ্গা নাগরিকের ব্লক করা এনআইডি সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাচন অফিসে আসেন। সন্দেহজনক আচরণ এবং ভাষার পার্থক্য দেখে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, “সাবের প্রথমে নিজেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটার এবং পটিয়ার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। তবে তার ভাষা এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন, তিনি রোহিঙ্গা এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।”
সাবের আরও জানান, ২০২২ সালে মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, সাবের এনআইডি জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা করে থাকা সিস্টেমের ফাঁকফোকর এবং সচেতনতার অভাব আবারও সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এমন জালিয়াতি প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।